‘এটা সত্যি আজ সব দায় আমার’, কিন্তু কেউ মানা করেনি কেন?
‘নবাব এলএলবি’র ‘অশ্লীল সংলাপ’ নিয়ে মামলায় পড়ে কিছুদিন কারাগারে ছিলেন অনন্য মামুন। জামিন পাওয়ার পর একাধিক সংবাদমাধ্যমে তিনি সাক্ষাৎকার দিয়েছেন। নিজের সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্টেও সরব।
নিজের ‘দায়’ স্বীকার করে সেখানেই অনন্য প্রশ্ন তুলেছেন, আর যারা এ দৃশ্যগুলোর সঙ্গে যুক্ত বা দেখেছেন তারা কেন মানা করেননি?
অভিনেত্রী অর্চিতা স্পর্শিয়া সংবাদ মাধ্যমে জানান, ওই দৃশ্যে অভিনয়কালে বারবার তিনি নিষেধ করেছেন। কিন্তু মামুন সেই দাবি নাকচ করে দিলেন।
এ ছাড়া ‘নবাব এলএলবি’ গল্প, চিত্রনাট্য ও সংলাপ অনন্য মামুন একা করেননি। ছিলেন একজন স্ক্রিপ্ট ডক্টরও। নির্মাতার বিপদে তাদের প্রকাশ্যে কোনো মন্তব্য করতে দেখা যায়নি। তাদের দিকেও অভিযোগের তীর ছুড়লেন মামুন।
তিনি বৃহস্পতিবার রাতে ফেসবুকে লেখেন, “আমি জানি পুলিশের দৃশ্যে শব্দের ব্যবহারগুলো ঠিক হয়নি. এটা সত্যি আজ সব দায় আমার। যারা সিনেমায় কাজ করেছেন তারা তো অনেকবার দেখেছেন দৃশ্যটা, আমাকে মানা করেনি কেন?”
“একটা প্রিমিয়ার শো করেছিলাম ১৬ ডিসেম্বর সেখান ৩০ সাংবাদিকসহ ৬০ ছিলেন তারা আমাকে বাধা দিলেন না কেন, স্পশিয়া বলেছে সে নাকি আমাকে দৃশ্যটা করার সময় নিষেধ করেছেন? আমার কাছে ভিডিও আছে আপনি চারবার শট দিয়েছেন দৃশ্যটা ভালো করার জন্য, লেখক ও সংলাপ রচয়িতা লিখছেন ডায়লগগুলো। ক্যামেরাম্যান শুটিং করেছে, এডিটর এডিট করছে। এখন সব আমার দোষ কেউ আমার পাশে দাড়ালেন না কিন্তু যারা সত্যিকারে মানুষ তারা আমার পাশে ছিলেন… আমি পুলিশ প্রশাসনের কাছে ক্ষমা চেয়েছি, কিন্তু আপনাদের ক্ষমা করবো না… আন্তর্জাতিক মিডিয়ার সাপোর্ট পেয়েছি… আমি আমার জীবন নিয়ে ভয়ে আছি …।”
সম্প্রতি এ ঘটনার সূত্র ধরে অনন্য মামুনকে আজীবন নিষিদ্ধি করেছে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতি।
দুই ভাগে অ্যাপে মুক্তি পাওয়া ‘নবাব এলএলবি’ সেন্সর বোর্ডে জমা পড়েছে। আশা করা হচ্ছে, শাকিব খান ও মাহিয়া মাহি অভিনীত ছবিটি শিগগিরই ছাড়পত্র পাবে।