এত অসাধারণ কপি কেমনে করে?
এত অসাধারণভাবে কপি কেমনে করে? ঈদুল ফিতরের পরদিন পাশাপাশি দুইটা চ্যানেলে ‘কেয়ামত থেকে কেয়ামত’ ও ‘হৃদয়ের বন্ধন’ দেখাচ্ছিল। যা যথাক্রমে হিন্দি ‘ক্যায়ামত সে ক্যায়ামত তক’ ও ‘ধড়কান’-এর কপি।
প্রথমটা অফিসিয়াল রিমেক বলে জানি। সিনেমা হলে বসেই দেখছিলাম। পরেরটা টিভিতে সামান্য কিছু অংশ দেখছি, অফিসিয়াল রিমেক কি-না জানি না। অবাক হইলাম, এরা ফ্রেম টু ফ্রেম কেমনে নকল করে (সামান্য ব্যতিক্রম বাদে, যা মূলত বাজেট ও অনিবার্য কিছু কারণে)। নিজেদের ক্রিয়েটিভির দফারফা করে ছাড়ে আরকি!
আমি আর ভাগনি হাসতে ছিলাম ‘কেয়ামত থেকে কেয়ামত’ সিনেমায় হিন্দির অনুকরণে মৌসুমীর বাগদান দেখে। বাংলাদেশে মেঝেতে বসে এই অনুষ্ঠান করার চল নাই, বাট হিন্দিতে যেহেতু এ রকম (ধর্মীয় কারণেও সম্ভবত), ওই রকমই করতে হবে। হাসি পাইলো একটা পরিবারের সব পুরুষের নামই ‘খান বাহাদুর’ দিয়া শুরু দেখে! এটা হয়তো ঢাকার ক্রিয়েটিভিটি! অন্যদিকে ‘হৃদয়ের বন্ধন’-এ নায়িকারে তো শিল্পা শেঠির আদলে মঙ্গল সূত্র পরানো যাবে না, তা-ই ওই রকম একটা হার গলায় ঝোলানো থাকে সব সময়! ওভাবে শাড়িও পরে সারাক্ষণ। হা হা হা।
দুই সিনেমার গানও সরাসরি হিন্দির অনুবাদ। সম্ভবত গানগুলো বাণিজ্যিক কারণে রিমেকে বেশি গুরুত্বপূর্ণ! আর বিজিএমও সারাক্ষণ হিন্দিটার কথা মনে করায়া দেবে।
হ্যাঁ, দুই নায়িকারে দেখতে বেশ লাগে। আরেকটা বিষয় হলো- হিন্দিতে অনুকরণ করতে গিয়া এই সব সিনেমার চরিত্রগুলোর সংলাপ বলার ঢং সাধারণত প্রথাগত বাংলা সিনেমার মতো লাউড হয় না। ব্যতিক্রম যে নাই তা না! যেমন; প্রথম সিনেমার আহমদ শরীফ, দ্বিতীয়টাই আমিন খান।