Select Page

এফডিসির শুটিং ফ্লোর ভেঙে হচ্ছে শপিং মল ও সিনেপ্লেক্স

এফডিসির শুটিং ফ্লোর ভেঙে হচ্ছে শপিং মল ও সিনেপ্লেক্স

এফডিসির ৩ ও ৪ নম্বর ফ্লোর দুটি ভেঙে ফেলা হচ্ছে। সেখানে গড়ে উঠবে ১৫ তলা ভবন। থাকবে শপিং মলের পাশাপাশি সিনেপ্লেক্সও।

৫ জুলাই থেকে ভবন ভাঙার কাজ শুরু করেছে শ্রমিকরা। এই প্রজেক্টের সহকারী পরিচালক আইয়ুব আলী বলেন, ‘অনেক আগেই বাণিজ্যিক ভবন তৈরির পরিকল্পনা নিয়েছিল এফডিসি। পরে মন্ত্রণালয় পাসও করেছে। কবিরপুর ফিল্ম সিটি এখন শুটিং করার জন্য উপযুক্ত। যে কেউ চাইলে সেখানে গিয়ে শুটিং করতে পারবেন; যদিও নির্মাণাধীন ভবনের দুটি ফ্লোর শুটিংয়ের জন্য বরাদ্দ রাখা হয়েছে।’

‘এফডিসি ভবন’ প্রকল্পের সহকারী পরিচালক আইয়ুব আলী জানিয়েছেন, এখানে ১২ তলা ভবন নির্মিত হবে। যেখানে থাকবে সিনেমা হল, শুটিং ফ্লোর, সুইমিংপুল, আবাসিক হোটেল, স্টুডিওসহ আধুনিক সুযোগ সুবিধা।

দুটি ফ্লোর বন্ধ হয়ে গেলে পরিচালকদের সমস্যা হবে না বলেও জানিয়েছেন আইয়ুব আলী। তিনি বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু ফিল্ম সিটিতে অনেক আগে থেকেই শুটিং করা যাচ্ছে। ওখানে চাইলেই পরিচালকরা তাদের ছবির শুটিং করতে পারবেন।’

তবে শুটিং ফ্লোর ভেঙে নতুন ভবন নির্মাণের বিষয়ে হতাশা ব্যক্ত করেছেন চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতির মহাসচিব বদিউল আলম খোকন।

তিনি বলেন, ‘বড় দুটি ফ্লোর বন্ধ হয়ে গেলে অবশ্যই বিপদে পড়তে হবে নির্মাতাদের। কবিরপুর ঢাকা থেকে বেশ দূরে। দিনে দিনে সেখানে গিয়ে শুটিং করে ফিরে আসা সম্ভব নয়। তা ছাড়া আউটডোরে সেট ফেলে শুটিং করাটাও ঝুঁকিপূর্ণ। নতুন ভবনে শুটিংয়ের জন্য ফ্লোর থাকলে সেটা ভালো হবে।’

গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার কবিরপুরে বঙ্গবন্ধু ফিল্ম সিটি অবস্থিত। ৩০০ কোটি টাকা ব্যয়ে ফিল্ম সিটির উন্নয়ন প্রকল্প চলছে। ২০২১ সালে সেটি শেষ হবার কথা।

অন্যদিকে ২০১৮ সালের ৩ অক্টোবর জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) বৈঠকে বিএফডিসি ভবন নির্মাণে ৩২২ কোটি ৭০ লাখ টাকার প্রকল্প অনুমোদন দেওয়া হয়। প্রকল্পের আয়তন ৯৮ কাঠা। ২০২১ সালের মধ্যে প্রকল্প শেষ হওয়ার কথা। যদিও প্রকল্প কর্মকর্তারা এ সময়ের মধ্যে কাজ শেষ করা সম্ভব নয় বলে জানিয়েছেন।

প্রকল্পের পরামর্শক প্রতিষ্ঠানের দায়িত্ব পাওয়া ডেস্টারাস কনসাল্টিং ফার্ম ‘এফডিসি ভবন’র নকশা প্রস্তুত করেছে। করোনাভাইরাসের কারণে ভবন নকশা অনুমোদনে দেরি হচ্ছে বলে জানা গেছে। নকশা অনুমোদন হলেই মূল ভবন নির্মাণের কাজ শুরু হবে।


মন্তব্য করুন