Select Page

ওটিটি বিষয়ে অতিকল্পনা

ওটিটি বিষয়ে অতিকল্পনা

একদা মুদ্রনে কম্পুটার প্রযুক্তি আসার পরে নীলক্ষেত-কাঁটাবন এলাকাগুলোতে ঢাউস ঢাউস ট্রাংকের মাপের সেসব কম্পুটারের সামনে যেসব অল্প-আয়ের কম্পুটার-চালকেরা বসতেন, তাঁদের অনেকেই রাতারাতি বইয়ের প্রচ্ছদকার হয়ে পড়েছিলেন। বইয়ের প্রচ্ছদে শিল্পী হিসাবে তাঁদের আবির্ভাবকে আমি মনে মনে স্বাগত জানিয়েছিলাম। অন্তত এই কারণে যে, চিত্রশিল্পের দুনিয়ার মানুষজনের খবরদারির বাইরেই নতুন ‘শিল্পচর্চা’ শুরু হতে পেরেছিল। তবে আমার স্বাগত জানানোর মুডের কারণে এই লোকগুলোর বিশেষ আয় বাড়েনি। বলা চলে, তাঁদের নিয়মিত কাজের উপর এটা হয়েছিল একটা বাড়তি বোঝা। তারপরও ‘শিল্পী’ হবার আনন্দে অনেকেই সেটা খুশি মনে করতেন। তবে একটা গোলযোগ অবশ্যই হয়েছিল। কম্পুটার প্রযুক্তিতে রঙ ও মোটিফ সুলভ বলে ওই প্রচ্ছদগুলো প্রায়শই হয়ে পড়েছিল শিল্পীর খেয়ালখুশির জঞ্জাল। আমার কথা যথেষ্ট নির্ভরযোগ্য না মনে হলে ওই সময়ের কিছু পুস্তক সংগ্রহ করে দেখতে সুপারিশ করি। মোডালিটি বা ধরন বদলে যা কিছু সুলভ হতে পারে তা কিছুর পরিণতি আরামদায়ক বা স্বস্তিকর নাও হতে পারে।          

ওটিটি বিষয়ে বিশাল আশাবাদগুলো আসলে কী নিয়ে? মোটামুটি যাঁরা আলাপ-আলোচনাগুলোর দিকে মনোযোগ দিচ্ছেন তাঁরা জানেন যে আশাবাদের হেতু এতে সম্প্রচারিত বিষয়বস্তু বা কনটেন্ট নিয়ে। খুব সরল করে বললে, আশাবাদটা দাঁড়িয়ে আছে এই আন্দাজ বা অভিজ্ঞতার উপরে যে নন-ওটিটি বা এর আগের পদ্ধতিগুলোতে মনমতো গল্প বলা যায় না কিংবা ইচ্ছামতো কাজ করা যায় না ইত্যাদি। ‘মনমতো গল্প বলা যায় না’ কিংবা ‘ইচ্ছামতো কাজ করা যায় না’ এই ধারণাগুলো বেশ পেঁচানো ধরনের। একটু খেয়াল করলেই দেখা যাবে সম্প্রচার ব্যবস্থার কর্তৃপক্ষ এবং তারও উপরে সরকার/রাষ্ট্র কিছু বিষয়বস্তুতে অশান্তি বোধ করতে পারেন, করে থাকেন, কিংবা আরও স্পষ্টভাবেই আপত্তি করতে পারেন বা করে থাকেন। কিন্তু প্ল্যাটফর্ম কিংবা সম্প্রচার ব্যবস্থা বদলানোর সুযোগে নির্মাতারাও যে দারুণ সব ‘বিপজ্জনক’ কাজ করছেন তার কোনো উল্লেখযোগ্য প্রমাণ হাজির করা কঠিন। বিশেষত নতুন ধরনের সম্প্রচার ব্যবস্থার উপর আইন ও বিধির খবরদারি প্রতিষ্ঠিত করবার আগে একটা ঢিলাঢালা কাল থাকে। জগতের ইতিহাসে তা সুলভ। কর্তাদের চোখ-গলে বা হাত-ফসকে যাবার সেই কালে নানাবিধ বিপ্লবাত্মক জোস সমেত সাংস্কৃতিক উৎপাদন তাহলে হবার কথা। পরিস্থিতি ঠিক তেমন নয়। এখানে আগের ধরন বা প্ল্যাটফর্মে কাজের কিছু অসুবিধা দূর হতে পারে তা যেমন সত্য, নতুন অসুবিধা নিজগুণে দেখা দেবে তাও তেমনি সত্য। পুরানা আইনকানুন বিধিগুলো নতুন প্ল্যাটফর্মের প্রডাক্টকে নিয়ন্ত্রণ করে কুলাতে পারবে না তা যেমন সত্য, আবার নতুন আইন-কানুন-বিধিমালা প্রণীত হতে থাকবে তাও সত্য। পরিশেষে, অডিও-ভিজ্যুয়াল/শ্রুতিদৃশ্য মাধ্যমে কী সারবস্তু আসবে তা নিছক বিধিমালার সাথে সম্পর্কিত নয়, তা নির্মাতার নিয়তের সাথে সম্পর্কিত।

নির্মাতা গুরুত্বপূর্ণ সংঘর্ষ চান না, কিংবা নির্মাতা সূক্ষ্ম প্রশ্ন হাজির করতে যথেষ্ট প্রস্তুত নন যখন তখন প্রযুক্তির মোডালিটি বদলে কিংবা আইনের ফাঁকফোকর কমবেশি হবার কী এমন পার্থক্য থাকে? যেগুলোকে সংশ্লিষ্টরা ‘বিনোদন’ বা এন্টারটেইনমেন্ট আইটেম হিসাবে সাব্যস্ত করেছেন সেগুলোর বেলায় প্রসঙ্গ বা প্রশ্ন উত্থাপনের দক্ষতা এবং/বা ইচ্ছা আরও গুরুত্বপূর্ণ। একদা বাংলাদেশ টেলিভিশনের নাটকগুলো সাবলেটিং শুরু হলো। বিটিভির স্টুডিও আর দেয়াল আর সোফা আর কমলা রঙের টেলিফোন নাটকের প্রপস/ব্যাকগ্রাউন্ড হিসাবে দেখতে থাকার ক্লান্তির মধ্যে এটা অবশ্যই একটা চক্ষু-আরাম। কিন্তু বাস্তবে নাটকের দ্রব্যগুণে গুরুতর কোনো ভিন্নতা আসেনি। অভিনয় ও নির্মাণ মানের উঠতি বা পড়তি আরেকটা প্রসঙ্গ; এখানে আমি তা এড়াতে চাইব। কেন এই সাবলেট-নাটকগুলোর নাম প্যাকেজ নাটক হলো তার বোধগম্য কোনো ইতিহাস আমার জানা নেই। তবে প্যাকেজ শব্দটা দিয়ে বাজেট বুঝলে এখনকার আগ্রহীরা ভাল বুঝবেন। প্যাকেজ নাটকে সরকারের কম খরচ হতো নাকি বিটিভি-প্রযোজিত নাটকে, তা সম্পূর্ণ আলাদা প্রশ্ন। কিন্তু বাজেট একটা বরাদ্দের বিষয় ছিল প্যাকেজ নাটকে। পক্ষান্তরে, বিটিভির নিজের প্রযোজিত নাটকগুলোতে কলাকুশলীর মজুরি পূর্বনির্ধারিত রাষ্ট্রীয় ‘বেতনকাঠামো’তে হতো। দেখুন, মূল পার্থক্যটা হলো কিন্তু নিয়োগপদ্ধতি আর মজুরিচুক্তিতে। বিশ্বাস করুন আর কোনো ‘অশ্বডিম্ব’ এখান প্রসূত হয়নি। তবে যাঁদের চোখ ভাল, তাঁরা হয়তো বিটিভির গড়গড়া দৃশ্য-সম্পাদনার দুরাবস্থার সাথে কিছুটা এডিটিং ভিন্নতা প্যাকেজ নাটকগুলোতে দেখাতে সমর্থ হবেন। নিন্দুকেরা বরং দেখাতে সমর্থ হবেন, বিটিভির ঘ্যানঘ্যানানির মধ্যেও সামগ্রিক ‘সিরিয়াস’নেস বেশি ছিল, যা প্যাকেজকালে বিলুপ্ত হয়েছে।

স্যাটেলাইট টিভি এবং/বা ব্যক্তিমালিকানাধীন টেলিভিশনকালে ‘বিনোদন’ শ্রুতিদৃশ্য কাজগুলো উৎপাদনগুলো কমবেশি প্যাকেজ জমানার লজিক দ্বারাই পরিচালিত হয়েছে। এখানে পাঠকের সাথে আমি সাফ আমার বোঝাবুঝি বলে রাখি। স্যাটেলাইট > ব্যক্তিমালিকানাধীন > প্যাকেজ তিনটা ধারণাকে আমি যথাক্রমে প্রযুক্তিগত, মালিকানা-আইনগত ও উৎপাদন-ব্যবস্থাপনাগত বিষয় হিসাবে দেখি। তার মানে একটা নির্দিষ্ট আউটলেটের বিভিন্ন প্রকরণ বোঝার শব্দ ওগুলো আমার জন্য। আবার পেঁচানো সম্পর্কিত। যেমন নন-স্যাটেলাইট বা টেরেস্টিয়ালেও ‘ব্যক্তিমালিক’ থাকতে পারত, থেকেও ছিল। আবার স্যাটেলাইট আসার কারণে টিভিস্টেশনের অধিক মালিক হবার সুযোগ বেড়েছে। এখন বাস্তবে আমিও অনেক লোকের মতো সরকারী টিভি দেখতে দেখতে ক্লান্ত ছিলাম। কিন্তু রাশি রাশি ব্যক্তিমালিক আসার পর টেলিভিশন দারুণ আকর্ষণীয় উৎপাদন তৈরি করেছে তা আমার মনে হয়নি বিশেষ। এবং আমি একটার সাপেক্ষে আরেকটাকে অধিক নম্বর দিতে এসব কথা তুলিনি। আমার উদ্দেশ্যে তিনটা জিনিস স্পষ্ট করা: প্রথমত, প্রাযুক্তিক পাটাতন বদলে কনটেন্টের গুণমান বদলানোর কোনো ঐশী বন্দোবস্ত নাই; দ্বিতীয়ত, ‘কাজের সুযোগ’ একটা হৈহৈ ভাষামালা যা আসলে প্রচলিত ব্যবস্থাকে গুরুতর কোনো চ্যালেঞ্জ জানানোর উদ্দেশ্যে বলা হয়ে থাকে না। সর্বোপরি তৃতীয়ত, চ্যানেল বা রেডিওর অল্প সংখ্যক কেন্দ্রের কালে যে কোনো কন্টেন্ট যে গুরুত্ব তৈরি করতে পারত তা কিছুতেই নতুন উল্লম্ফিত বা বিস্ফারিত চ্যানেলের কালে সম্ভব নয়। নির্মাতারা সেটা জানেন নিশ্চয়ই, কিন্তু নতুন ধরনের একটা গৌণতার চ্যালেঞ্জ তাঁরা বহন করতে থাকেনই।

ওটিটি প্রসঙ্গে এই পর্যালোচনা আপাতগ্রাহ্যে অপ্রাসঙ্গিক লাগতে পারে। তবে আমি প্রাসঙ্গিক হিসাবেই তুলেছি। একটা মোডালিটি থেকে আরেকটা মোডালিটিতে যাবার সবচেয়ে বড় তাৎক্ষণিক উপকারটা হয় বোধহয় আগের প্রডাকশন চেইনের আশু একটা বদল। যেকোনো প্রডাকশন চেইনই আমলাতান্ত্রিক হয়ে পড়তে পারে, ভুক্তভোগী মাত্র জানেন। এই ব্যুরোক্রেসির জন্য আসলেই সেক্রেটারিয়েটের অফিসারদের আসতে হয় না। খোদ শ্রুতিদৃশ্য মাধ্যমের উদ্যোক্তা, নির্মাতা, ব্যবস্থাপক, বিজ্ঞাপক বা পৃষ্ঠপোষক, ফড়িয়া, অভিনেতা, টেকনিশিয়ান, শ্রমিক মিলে একটা বিশাল দল কাজ করেন। আর সেখানে দীর্ঘদিন ধরে একটা ব্যুরোক্রেসি ও পাওয়ারপুল তৈরি হয়। নতুন মোডালিটি এই ব্যবস্থাটাকে ‘ফাঁকি’ দিয়ে কাজ করার একটা সুযোগ দেয়। অন্তত কিছুদিনের জন্য। রাষ্ট্র বা আইনী নিয়ন্ত্রণের ঢের আগের প্রসঙ্গ এটা। বাস্তবে নিজেদের মধ্যে রাগ করে যাঁরা ‘মাফিয়া’ শব্দটি ব্যবহার করেন, তাঁরা জানেন যে ওটিটি  মিডিয়া-মাফিয়াদের পুরাতন ক্ষমতা-জারিজুরির বাইরে কিছু কাজবাজ করতে জমিন দিয়েছে, অন্তত কিছু কালের জন্য।

মোটের উপর ঢাকাতে ‘সুযোগ-সুবিধা’ ডিসকোর্সে ওটিটি যা ও যতটুকু আলোচিত তা আসলে যৌনাত্মক দৃশ্য নির্মাণের অপেক্ষাকৃত বেশি পরিসরকে ঘিরে। কোনো সন্দেহ নেই রাষ্ট্রায়ত্ত মাধ্যম ও রাষ্ট্র পলিসি এ যাবৎ দৃশ্যের দুনিয়াকে একটা ঘেরাটোপ বানিয়ে রেখেছিল। এমনকি স্যাটেলাইট টেলিভিশনের কালও যৌনতা বিষয়ক ছুৎমার্গ বিষয়ে তেমন একটা ভিন্ন ছিল না কখনো। কিন্তু আমি ঠিক তাঁদের দলে নই যাঁরা এসবের জন্য কেবল রাষ্ট্র্রের জবরজং নীতিমালা/আইনকেই দায়ী করে থাকে। এখানে সমাজ-সংস্কৃতির কারিগরির একটা গুরুতর ভেজাল আছে। যে স্যাটেলাইট দর্শকদের সপ্তাহে কয়েক ঘণ্টা কাটে পাশ্চাত্যের অপেক্ষাকৃত যৌনগন্ধী টিভি-প্রডাক্ট দেখে, তাঁরাই হয়তো হৈহৈ করছেন স্থানীয় টিভি-প্রডাক্টে কোনোরকম ‘ইঙ্গিত’ দেখেও। রাষ্ট্র এখানে এসব দৃষ্টিভঙ্গির দরকষাকষির দায়িত্ব নিতে পারে। আর সেটা কেবল পলিসির প্রশ্ন নয়, শিক্ষানীতি ও বাস্তবায়নের প্রশ্ন। আবার আমি তাঁদের দলেও নই যাঁরা টিভিতে হাফপ্যান্ট-পরা মনুষ্যচরিত্র দেখে তাকে অগ্রসরতা কিংবা ‘অবাধ দৃশ্য গণতন্ত্র’ হিসাবে ভেবে খুশি হয়ে যাব। কনটেন্টের স্বাধীনতার প্রশ্নটাকে নিছক চুমাচুমি আর হাঁটু-আলগা জায়গায় পরিসীমিত করার দুর্মতি যেন আমার কখনোই না হয়। সাম্প্রতিক সময়ে কিছু নজরকাড়া কাজ হয়েছে যার সাথে বরং যৌনতার গুরুতর তেমন কোনো সম্বন্ধই নাই। হতে পারে ওসব কাজই বরং সতর্ক রাষ্ট্র-নজরদারিতে থাকলে না হতে পারে। কথাবার্তা সেখানে অবশ্যই গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু আবারও, যে স্বাধীনতা দিলে আধুনিক রাষ্ট্রের আসলে তেমন কিছুই যাবে আসবে না, সেই স্বাধীনতা আসলে ধীরে ধীরে সুলভই হবে। কেবল ওটিটি নয়, আধুনিক অনেক রাষ্ট্রে এমনকি চলচ্চিত্র কারখানাতে পর্যন্ত ‘খল রাষ্ট্রনায়ক’ বা রাষ্ট্রের বজ্জাতি বহুল প্রদর্শিত। ওসব রাষ্ট্রের এসব সাংস্কৃতিক উৎপাদের কারণে কোনো উৎপাতই হয় না। পক্ষান্তরে, বাংলাদেশেই বরং হালি হালি নির্মাতা আমি অনায়াসে দেখি না যাঁরা রাজনীতি বা সমাজ-মর‍্যালের চাঁছাছোলা সমালোচনা করে ‘বিনোদন’ কনটেন্ট বানাতে যাচ্ছেন। নমুনা নাই এরকম আশাবাদের।

কিন্তু সঙ্কটটা আরও তীব্র ও গভীরতর। কেউ কি জানেন স্যাটেলাইট টেলিভিশনগুলোতে শেষমেশ অনুষ্ঠানের প্রডাকশন-কস্ট কমতে-কমতে বা কমাতে-কমাতে কোথায় দাঁড়িয়ে গেছিল? কিংবা এখনো তাই আছে যে? আবার কিছু ক্ষেত্রে খোদ নির্মাতাদের পৃষ্ঠপোষক (তথা বিজ্ঞাপনদাতা) যোগাড় করে নিজের প্রডাকশন-কস্টের নিশ্চয়তা বিধান করে কাজ করতে হচ্ছে। মেহেরবানি করে নিশ্চিত থাকুন যে, এসব ঘটনা নির্মাতার তথাকথিত দক্ষতা বা শিল্পীসত্তার অভাবের কারণে নয়। এটাই এখানকার ব্যবস্থা। এই দুর্দশার তো একটা রাজনৈতিক-অর্থশাস্ত্রীয় দিক আছে। তাই না? কী মন্ত্রবলে ওটিটি এসে এই হেনস্তামূলক পরিস্থিতি নির্মাতা বা শিল্পীর জন্য বদলে দেবে? আমি এই মন্ত্রবল নাই বলে মনে করি। এখন পর্যন্ত বাংলাদেশে ওটিটি ধরে নিতে হবে একটা। বাংলা ভাষা হিসাব করলে আবার ভিন্ন। কানকথাকে গুরুত্ব দিলে, এখন পর্যন্ত ওটিটি ‘লাভ’ করতে শুরু করতে পারেনি এখানে। সেগুলো জটিল হিসাব নিকাশ। যদি প্রচুর লগ্নি না থাকে, ওটিটি বাস্তবে এসব নির্মাতা ও কলাকুশলীদের জন্য আবারও ‘কৃচ্ছতাসাধনের’ জায়গা হয়ে দাঁড়াবে। চূড়ান্ত বিচারে, হয়তো লগ্নি নয়, প্রয়োজন ভর্তুকিরও। কিন্তু ভর্তুকিটা দেবে কে? বিজ্ঞাপনদাতা নাকি রাষ্ট্র? তারপরও বৈশ্বিক সম্প্রচারকদের সাথে লড়াই নাই ভাবার কোনো কারণ নেই। বিশ্বে বহু অঞ্চলে বৈশ্বিক ওটিটি-মালিকেরা বা তাদের ফ্র্যাঞ্চাইজ স্থানীয় ভাষায় অনুবাদ করে কনটেন্ট বাজারে আনছে। দেশজ তারকাদের দেখার ‘বাসনা’ দর্শকদের আছে। নিশ্চয়ই। কিন্তু ঠিক এই মুহূর্তের বাসনা দিয়ে একটা ‘বিনোদন’ উৎপাদন ব্যবস্থা দীর্ঘ সময়ের টিকে থাকতে পারবে তা নিশ্চিত হওয়া কঠিন। বরং অনুবাদকৃত প্ল্যাটফর্ম দ্রুত এখানে প্রতিদ্বন্দ্বী হবার কথা।

আদাবর। ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৩।। প্রকাশ: দৈনিক সময়ের আলো বর্ষপূর্তি বিশেষ সংখ্যা, ০২ মার্চ ২০২৩        


About The Author

মানস চৌধুরী

লেখক, শিক্ষক ও নৃবিজ্ঞানী

Leave a reply