কলকাতায় সপ্তাহ না ফুরাতে লাভের মুখ দেখছে ছবি
বাংলা মুভি ডেটাবেজ শুধু ঢাকার সিনেমার খবর জানালেও পশ্চিমবঙ্গে একটি খবর নজর কেড়েছে। সেটা হলো স্বরস্বতী পূজা উপলক্ষে সেখানে মুক্তি পাওয়া শিবপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় ও নন্দিতা রায় প্রযোজিত ‘বাবা বেবি ও’ ছবির বক্সঅফিস স্কোর।
বলা হচ্ছে, করোনা কাঁটা কাটিয়ে ফের প্রেক্ষাগৃহমুখী দর্শক। কলকাতা থেকে শুরু করে জেলা, সপ্তাহান্তে ‘হাউজফুল’ দেখল দুই বাংলা ছবি। অন্য ছবিটি হলো সৃজিত মুখার্জির ‘কাকাবাবুর প্রত্যাবর্তন’।
শিব-নন্দিতা জানিয়েছেন যিশু সেনগুপ্ত অভিনীত তাদের ‘বাবা বেবি ও’র বাজেট এক কোটিরও কম। কিন্তু প্রথম তিনদিনেই অর্ধেকের বেশি বাজেট তুলে নিয়েছে।
সোশ্যাল মিডিয়ায় দর্শকদের ধন্যবাদ জানিয়ে একটি পোস্ট করেছিলেন ছবির প্রযোজক শিবপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়। সেখানে তিনি তুলে ধরেছিলেন তার প্রযোজিত দুই ছবির হিসাব-নিকেশ। এর আগে অরিত্র মুখোপাধ্যায় পরিচালিত ও শিবপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়-নন্দিতা রায় প্রযোজিত প্রথম ছবি ‘ব্রহ্মা জানেন গোপন কম্মটি’ মাত্র ১২ দিন প্রেক্ষাগৃহে চলেছিল। এরপর শুরু হয় করোনার লকডাউন। ১২ দিনে ৭২ লাখ রুপির ছবি এক সপ্তাহতেই ৯৫ লাখ রুপি ব্যবসা করেছিল। আর ‘বাবা বেবি ও’র বাজেট ছিল ৮৮ লাখ রুপি। তিনদিনে ছবিটি ব্যবসা করেছে ৫৫ লাখ।
বলা বাহুল্য, এ সব ছবি আবার টেলিভিশন ও স্ট্রিমিং প্ল্যাটফর্মে ভালো অঙ্কে বিক্রি হয়।
অন্যদিকে বাজেট উল্লেখ না করলেও ‘কাকাবাবুর প্রত্যাবর্তন’ তিন দিনে আয় করেছেন কোটি রুপি, এ খবরও দিয়েছেন প্রযোজক। সে দিকে এ ছবিও হিট।
কলকাতার এ খবর বিএমডিবি এ জন্য জানাচ্ছে, কারণ ঢাকায় সবকিছুর আগে বাজেটের আলাপ আগে আসে। সেখানে বলা হয়, কোটি টাকা না হলে ছবি হয় না। কিন্তু দেখা যাচ্ছে, ভালো বাজেট দিয়েও শীর্ষ তারকা সিনেমা হিট করতে পারছে না। হলে না আসার জন্য দর্শকদের দোষ দেওয়া হয়। অথচ গড়পরতা গল্প ভারতের অনুকরণ, চমক বা প্রচারহীন মান্ধাতার আমলের কাহিনিতে নির্মিত। সেদিক থেকে কলকাতায় ভিন্ন ধরনের গল্প বা এখন সেখানে মূলধারা হয়ে গেছে, খুবই জনপ্রিয়তা পাচ্ছে। কিন্তু সেটা এমন নয় যে, ঢাকার সিনেমাকে ‘বাবা বেবি ও’র মতো হতে হবে। কারণ, ওই গল্পের প্রেক্ষাপট এখনো ঢাকা হয়ে উঠেনি। তাহলে ঢাকার নিজের গল্প কী? সেটাই হলো বিষয়।