Select Page

কিছু লোক যৌথ প্রযোজনার অপব্যবহার করেছে: সব্যসাচী চক্রবর্তী

কিছু লোক যৌথ প্রযোজনার অপব্যবহার করেছে: সব্যসাচী চক্রবর্তী

২১তম ঢাকা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবের উদ্বোধনী আয়োজনে অংশ নিয়েছেন ভারতের জনপ্রিয় অভিনেতা সব্যসাচী চক্রবর্তী। উদ্বোধনী ছবি ফাখরুল আরেফীন খান পরিচালিত ‘জেকে ১৯৭১’-এর অন্যতম মুখ তিনি। এ সফরে বাংলা ট্রিবিউনের মুখোমুখি হয়ে নানা বিষয়ে কথা বলেছেন ‘ফেলুদা’ তারকা। সেখান থেকে যৌথ প্রযোজনা ও ভারতীয় সিনেমা আমদানি সংক্রান্ত প্রশ্ন-উত্তরগুলো তুলে ধরা হলো—

টলিউড ও ঢালিউড। দুই বাংলায় দুটো ইন্ডাস্ট্রি। যৌথ প্রযোজনায় অনেক দারুণ দারুণ ছবি হয়েছে। ব্যবসা সফল ছবি। কিন্তু সেটি ক্রমশ কঠিন হয়ে গেলো নানা আইন-কানুন জটিলতায়। প্রথম জিজ্ঞাসা, এই যে কমে গেলো যৌথ উদ্যোগটা- এটাকে কীভাবে দেখছেন?

আমার মনে হয় কিছু লোক যৌথ প্রযোজনার অপব্যবহার করেছে। এজন্যই বন্ধ হলো। এটা পুরোটাই তো পশ্চিমবঙ্গ সরকারের ওপর নির্ভর করে না। এটা ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের ওপর নির্ভর করে। কাজেই কেন্দ্রীয় সরকার যেভাবে চাইবে তার একটু বাইরে গেলেই সেটা বন্ধ হবে। এটাই স্বাভাবিক।

কিন্তু এটা চালু থাকলে ভালো হতো। আমি নিজেও যৌথ প্রযোজনার অনেক ছবি করেছি।

একটা পক্ষ বলছে বাংলাদেশে সিনেমার বাজার ওপেন করে দিলে হল মালিক বাঁচবে, দর্শক ফিরবে, উন্নয়ন হবে ইন্ডাস্ট্রির। আরেকটি পক্ষ বলছে ওপেন করে দিলে বাংলাদেশের সিনেমা মার খাবে, নির্মাতারা বেকার হবে, দেশটা ভারতীয় সিনেমার বাজারে পরিণত হবে! এখানটায় আপনার বিশ্লেষণ বা অভিজ্ঞতা কী বলে?

দুইপক্ষেই আমি। দুটোই ঠিক। যদি বাংলাদেশের দরজা খুলে যায়- তবে বাংলা ছবির প্রভূত উন্নতি হবে। কিন্তু এটা তো বাংলাতে সীমাবদ্ধ থাকবে না। হিন্দি, তামিল, তেলুগু আসবে। সেগুলোও বাঙালিরা পছন্দ করবেন। দিনশেষে দুই বাংলাই কিন্তু মার খাবে। তাহলে যে কারণে ভাষা আন্দোলন হয়েছে, যে কারণে বাংলাদেশের জন্ম হয়েছে, সেটা তো বিফলে যাবে। তার মানে দুইপক্ষ যা বলছে ঠিক বলছে!

তাহলে এর সমাধানটা কী হতে পারে?

আমি কি সমাধান করার লোক? সমাধান করবে যারা বুদ্ধিমান। যারা পলিসি মেকার। আমি তো সাধারণ একজন কর্মী মাত্র। শুধু এটুকু চাই, এমন কিছু হোক যাতে সবার ভালো হয়। বিশ্ব চলচ্চিত্রের ভালো হয়।

বাংলাদেশ থেকে যেটা আমরা দেখতে পাই বা ফিল করি, সেটা হলো বলিউডের চাপে টলিউডও বেশ কোণঠাসা।

একদম তাই। কারণ, একটা মাল্টিপ্লেক্সে বাংলা ছবির স্ক্রিনিং যদি হয় ৫টা তবে হিন্দি ছবির স্ক্রিনিং হয় ২০টা। তার মানে কী, হিন্দি ছবিটাই দেখছে বেশি মানুষ। বাংলাটা মার খাচ্ছে। হিন্দিটা না থাকলে হয়তো ২৫টা স্ক্রিনই বাংলার হতো।

কিন্তু আমাদের (বাংলা ছবি) যদি কুড়িটা শো দেয়, সেটা কি দর্শক দেখবে? হয়তো এত স্ক্রিনই থাকতো না হিন্দি ছবি না এলে।

তাই আমি বারবার বলছি, এসব না ভেবে আমাদের বাংলা ছবিকে আরও গ্লোবালাইজ করতে হবে। হিন্দি, তামিল, তেলুগুর মতো অ্যাডভান্স হতে হবে। যেন টক্কর দিতে পারি। দোষারোপ করে লাভ নেই।


মন্তব্য করুন