Select Page

কেমন হলো ‘ধ্যাততেরিকি’?

কেমন হলো ‘ধ্যাততেরিকি’?

শুক্রবার সারাদেশের ৯২টি সিনেমা হলে মুক্তি পেয়েছে ‘ধ্যাততেরিকি’। কমেডিধর্মী সিনেমাটিতে শামীম আহমেদ রনির পরিচালনায় অভিনয় করেছেন আরিফিন শুভ, নুসরাত ফারিয়া, রোশান ও ফারিনসহ অনেকে। ‌‘ধ্যাততেরিকি’ দর্শকদের কেমন লেগেছে জানতে বাংলা মুভি ডেটাবেজ ঢু মেরেছে সিনেমা বিষয়ক ফেসবুক গ্রুপ বাংলা চলচ্চিত্রে। সেখানে পরস্পরবিরোধী মতামত পাওয়া গেছে। দেখা গেছে নায়কদের ভক্ত কেন্দ্রিক বিবাদ। তবে অনেকেই জানিয়েছেন সিনেমাটির দর্শক সমাগম ভালোই।

খান মোহাম্মদ ফয়সাল সিকদার লেখেন, ধ্যাত্যেরিকি দেখে আসলাম। রিভিউ লেখার মত কিছুই নেই। এই প্রথম কোন গল্প,সিনেমাটিক সংলাপ ছাড়া কোন সিনেমা দেখলাম। তবে দর্শক সমাগম ভালই ছিল। ফাস্ট ডে,পার্ফেক্ট টাইম,উৎসব হিসেবে।

প্ল্যান করে কিংবা অনেকদিনের অপেক্ষার কোন সিনেমা নয়। সারাদিনের বিনোদনের ইতি টানতে সিনেমা দেখা। কোন এক্সপেকটেশন ছিলনা। তাই চাওয়া পাওয়ারও কোন হিসেব নেই। আরেকটা জিনিস,,আমাদের দেশে যে আর্টিস্টদের ব্যবহার করতে পারেনা তার আরেকবার প্রমাণ দেখে আসলাম।কলকাতার প্রায় সেরা কমেডিয়ান গুলো এখানে ছিল অথচ এই সিনেমায় তাদের দেখেও আপনি বিরক্ত হবেন। বাকিদের কথা বাদ দিলাম। ইমরানের গাওয়া (শুভ নুসরাত ফরিয়া )আর রঙ্গিলা রঙ্গিলা(রোশান ফারিন) গান দুইটা ভাল্লাগছে।

আল আমীন মোল্লা লিখেছেন, সিনেমার একমাত্র টুইস্ট যখন ওপেনিং সিনে দর্শক বুঝে যায় তখন বাকি সময়টা হলে বসে থাকতে রীতিমত যুদ্ধ করতে হয়!

ধ্যাততেরেকি কেমন লাগলো তা নিয়ে আপাতত কিছু বললাম না।তবে যারা রনিকে ডিজিটাল বদি ট্যাগ দিয়েছিলেন তাদের সাথে সহমত পোষণ করছি!

শুভ সাহেব, জাজ বড় প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান বলে তাদের অফার করা সব সিনেমায় বাছবিচার ছাড়া কাজ করতে হবে এমন কোন কথা নেই!!

শুভাগত রায় চৌধুরীর মতে, ভাইয়ারা কমেডি ছবিতে যাওয়ার উদ্দ্যেশ্য কি? নিশ্চয়ই হাসা। তাই হাসতেই যদি না পারেন তাহলে হলে গিয়ে লাভ কি। কমেডি ছবিতে গল্প খোজা মহাপাপ। ধাততেরিকি এমনি একটা ছবি আপনি হাসতে পারবেন। সো হলে গিয়ে দেখাটা মিস করবেন না। শেষ কথা বাংলাদেশি সিনেমায় এমন কমেডি আর দেখিনি।

ওবায়দুল্লাহ আল মুজাহিদ বলেন, আমি ও আমার বন্ধুরা শুভর এই সিনেমা দেখে চরম হতাশ ও বিরক্ত। তাদের কথা হল শুভর সিনেমা চুজ এতো খারাপ কেনো হলো? জোড়াতালি দেয়া গল্প আর গাজাখুরি পরিচালনা, কমেডিয়ানদের অতি অভিনয় ভালো লাগেনি।

গুলজার আহমেদ লেখেন, প্রেমী ও প্রেমী, মেয়েটি এখন কোথায় যাবে, ভুবন মাঝি (অডিটোরিয়ামে দেখেছি,হলে আসেনি), সুলতানা বিবিয়ানা, সত্তা ও সর্বশেষ ধ্যাততেরিকি। এর মাঝে সবচেয়ে ভালো কোনটা সেটা নিয়ে বিতর্ক হতে পারে, তবে আমার মতে সবচেয়ে বাজে কোয়ালিটির মুভি হল ধ্যাততেরিকি।

অনেকগুলো কারণ- দুর্বল ও গোজামিল দেওয়া স্টোরি, কমেডির নামে অতিরিক্ত ভাড়ামি ও আতলামি, অহেতুক লাউড সংলাপ, বাংলা সিনেমায় হিন্দি গান ও ডায়লগ কয়েক জায়গায় ব্যবহার,ফারিনের রোবটের মতো অভিনয়, পার্শ্বচরিত্র অনেকের বাজে অভিনয়, ছোট পোশাকে অপ্রয়োজনীয় শরীর দেখানো…চাইলে লিস্ট লম্বা করা যাবে।

তবে ভালো লাগার উপাদান যে নেই তা নয়। শুভর উন্নতি এই সিনেমাতেও দেখা গেছে। ফারিয়াও উন্নতি করেছে বিশেষ করে উচ্চারণগত সমস্যা কাটিয়ে উঠেছে। রোশান ভালো অভিনয় করেছে, রজতাভ দত্ততো জাত অভিনেতা। তবে পার্শ্বচরিত্রে অনেকের কমেডির নামে আতলামি আর জোর করে হাসানোর প্রচেষ্টা চরম বিরক্তিকর লেগেছে।

রনির পরিচালিত আগের মুভিগুলা দেখিনি তবে এটা দেখার পর সিদ্ধান্ত নিয়েছি উনার সিনেমাকে গুডবাই। বদী,সাফিরা বস্তাপচা বানাতো আর উনি বানায় ‘ডিজিটাল বস্তাপচা’।


মন্তব্য করুন