Select Page

গল্প চুরি করে ‘গহীন বালুচর’ নির্মাণের অভিযোগ?

গল্প চুরি করে ‘গহীন বালুচর’ নির্মাণের অভিযোগ?

# গল্প চুরির অভিযোগ উঠেছে বদরুল আনাম সৌদের বিরুদ্ধে
# বলা হচ্ছে, আবু ইসহাকের ‘পদ্মার পলিদ্বীপ’ থেকে সিনেমাটির গল্প নেওয়া হয়েছে
# ‘গহীন বালুচর‘ নির্মিত হয়েছে সরকারি অনুদানে

নাট্য নির্মাতা বদরুল আনাম সৌদের সিনেমা ‘গহীন বালুচর’ মুক্তি পায় ২০১৭ সালের শেষ দিকে। সেই সিনেমা নিয়ে গল্প চুরির অভিযোগ উঠেছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। অবশ্য এ নিয়ে এখনো আনুষ্ঠানিক কোনো বক্তব্য আসেনি নির্মাতার তরফ থেকে।

ওমর ফারুক নামের একজন ফেসবুকে পোস্টে জানান, ‘গহীন বালুচর’র গল্প আবু ইসহাকের উপন্যাস থেকে নেওয়া হলেও কোথাও স্বীকার করা হয়নি। এ নিয়ে বেশ তোলপাড় শুরু হয়েছে।

ওই পোস্টে লেখা হয়েছে- “মিডিয়ায় সম্পৃক্ত যারা আছেন তাদের কাছে আকুল আবেদন – আমার এই লেখাটা পড়বেন ।

আপনারা যারা বদরুল আনাম সৌদকে চিনেন। তারা বিষয়টা কিভাবে নিবেন আমি জানি না। আমার কাছে খটকা লেগেছে, তাই আমি আপনাদের কাছে আমার খারাপ লাগাটা তুলে ধরছি। সৌদের একটা ছবি রিলিজ হয়েছিল ২০১৭ সালে। একদিন রাতে ইউটিউবের কল্যাণে ছবিটা দেখে অনেক প্রশংসা করেছিলাম। এক ফোঁটাও ঘুমে জড়াইনি সেদিন। কারণ কত সুন্দর একটা গল্প। আমি তখনই এটাকে একটা উপন্যাস ভেবেছিলাম। আমি সেদিনই উক্ত সিনেমা নিয়ে যথেষ্ট সুনাম ছড়িয়েছি। আজ আমিই আবার তাদের সমস্ত কলাকুশলি সহ পরিবেশক, পার্টনারস, অন্যান্য সকলের নামে ভৎসনা করছি…

আপনারা হয়তো লেখক আবু ইসহাকের নাম শুনে থাকতে পারেন। ছোটবেলায় ‘মহাপতঙ্গ’ নিয়ে কোন গল্প পেড়েছেন কী? কিংবা কেউ হয়তো ‘সূর্য-দীঘল বাড়ি’ সাহিত্যকর্ম/উপন্যাসটিও পড়ে থাকতে পারেন।

আবু ইসহাক জন্মেছেন শরীয়তপুরে ১৯২৬ সালে, বদরুল আনাম সৌদ কোথায় কত সালে জন্মেছেন আমার জানা নেই।

তিনি যে ‘গহীন বালুচর’ সিনেমাটি বানিয়েছেন; সেটিও আবু ইসহাকই লিখে গেছেন। বেচারা আজ বেঁচে থাকলে কী করতেন আমি জানি না। আমারই গাঁ শিরশির করছে। রাগে ঘুম আসছে না পর্যন্ত।

গহীন বালুচর গল্প/সিনেমাটি আবু ইসহাকের লেখা “পদ্মার পলিদ্বীপ” উপন্যাসের অংশ বিশেষ ‘খুনের চর’ থেকে হুবহু নকল করা। আপাদমস্তক কপি বা নকলকে কেউ যদি নিজের বলে চালায় আপনার কেমন লাগবে?- আমারে ক্ষমা করবেন! আমারে সেন্সরের ভয় দেখাইয়েন না। আমি আমার মন ভরে গালিগালাজ করব …

কেননা, আমি আজ আবার উক্ত ছবির নাম বা টাইটেল গুলো সব টেনে টেনে দেখেছি। গুগল, উইকিপিডিয়া, ইউটিউব, পোষ্টার, প্রচারের কোথাও আবু ইসহাকের নাম-গন্ধও নাই। সবখানেই বদরুল আনাম সৌদের। সে নাকি রচনা করেছে!”

অন্য একটি পোস্টে তিনি কয়েকটি ছবি দিয়ে উল্লেখ করেন, “চতুর্থ ছবি: বইয়ের মধ্যে যে নুরু চরিত্র সেটি ছোট্ট ছেলেটি। আর ফজল হল নায়ক চরিত্রটি। এ দুজনের সম্পর্কও চাচা – ভাতিজা ।

পঞ্চম ছবি: যে বকের ঝাঁক বলা হয়েছে সেখানে সিনেমাটিতে একটি বক দেখানো হয়।

ষষ্ঠ ছবি: এরফান মাতবর ফজল/নায়কের বাবা ছিলেন তিনি হুকা/তামুক খেতেন। সুবর্ণার তামুক খাওয়ার এবং সর্দার হওয়ার কারনই হল উনি এরফান মাতবরের রোল প্লে করেছেন।

সপ্তম ছবি: যেই চর দশবছর আগে জন্মেছিলো, এবং এ নিয়ে পূর্বে দুইদলে খুনাখুনি হয়েছে এখানে সিনেমাতে এসে শুধু এক বছর বাড়িয়ে এগারো বানানো হল।”

সরকারি অনুদানে নির্মিত ‘গহীন বালুচর’-এ অভিনয় করেছেন  সুবর্ণা মুস্তাফা, আবু হুরায়রা তানভীর, জান্নাতুন নূর মুন, নীলাঞ্জনা নীলা, রাইসুল ইসলাম আসাদ, ফজলুর রহমান বাবু, জিতু আহসান, শাহাদাৎ হোসেনসহ অনেকে।

এর আগে সরকারি অনুদানে নির্মিত মুরাদ পারভেজের ‘বৃহন্নলা’ সিনেমার বিরুদ্ধে সৈয়দ মুস্তাফা সিরাজের গল্প চুরির অভিযোগ উঠে ও প্রমাণিত হয়।


মন্তব্য করুন