Select Page

গোপনে চলচ্চিত্র শেষ করে এনেছেন উজ্জ্বল!

গোপনে চলচ্চিত্র শেষ করে এনেছেন উজ্জ্বল!

পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র নির্মাণ করছেন ছোটপর্দার নামি নির্মাতা মাসুদ হাসান উজ্জ্বল। এমন খবর অনেকদিন ধরে শোনা যাচ্ছিল। দীর্ঘসুত্রিতায় অনেকেই ভেবেছিলেন সিনেমাটি হচ্ছে না। অথচ গোপনে গোপনে পুরো কাজ শেষ করে এনেছেন নির্মাতা! এমনটাই জানাচ্ছে একাধিক গণমাধ্যম।

সংবাদমাধ্যমটি বলছে, চলচ্চিত্রটির নাম ‘ঊনপঞ্চাশ বাতাস’। নির্মাণ শুরু হয়েছে অক্টোবরে। সবার অগোচরে সে তথ্য গোপন রেখেছেন নির্মাতা ও ছবির কলাকুশলীরা।

চলতি মাসেই ছবির নির্মাণ সমাপ্ত হবে। সম্পাদনার কাজে শিগগিরই নির্মাতা যাচ্ছেন কলকাতায়।

এ বিষয়ে উজ্জ্বল বলেন, “কেউই জানতো না। সব গুছিয়ে আনার পর জানাচ্ছি সবাইকে। আমাদের এখানে খুব বেশি বেশি সংবাদ প্রচার হয়, এটা আসলে ফিল্মের পক্ষে যায় না। গ্লোবালি এটা কোথাও প্র্যাক্টিস হয় না। আমাদের দেশে আমি কবে একটা ফিল্ম ভাবলাম এ নিউজটাও অনেকেই করতে চায়। আমি চেয়েছি একটা নিয়মতান্ত্রিক উপায়ে যেতে। যেটা আমার ফিল্মের জন্য মঙ্গলজনক হবে।”

চলচ্চিত্রটিতে কেন্দ্রীয় চরিত্রে অভিনয় করছেন ছোটপর্দার হালের এক অভিনেত্রী। কিন্তু নাম প্রকাশে আপত্তি নির্মাতার। “এখনই নয়, একযোগে সবাইকে জানাতে চাই, খুব শিগগিরই।”

তিনি বলেন, ‌‘আমি গুরুত্ব দিচ্ছি এ জায়গায় যে, এটা ফিল্ম মেকারের ফিল্ম। এখানে নির্মাণ ও অভিনয় খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এখানে কোনো সেলিব্রেটি কাস্টিং নাই শুধু মাত্র এ কারণে। আমার গল্পটাই এমন যে, এটা কোনো জনপ্রিয় শিল্পীকে ডিমান্ড করে না। গল্পটা হচ্ছে আমার, আপনার গল্প। আমি খুব চেনা একটা সেলিব্রেটিকে দিয়ে করাতে পারতাম, কিন্তু আমি দেখতে চেয়েছি সিনেমার শক্তি কতখানি, গল্পের শক্তি কতখানি। তাতে, নতুন দুটি তরুণ-তরুনী শিল্পীকে গল্পই অনেক দূরে নিয়ে যেতে পারবে বলে আমার বিশ্বাস।”

চলচ্চিত্রটির মিউজিক ডিরেক্টর নির্মাতা নিজেই। জানালেন, চলচ্চিত্রটির জন্য একটি গান গাইবেন দুই বাংলার জনপ্রিয় একজন শিল্পী। সে নামও গোপন রইল।

‘ঊনপঞ্চাশ বাতাস’ ছবিটি দর্শক কবে দেখতে পাবেন? মাসুদ হাসান উজ্জ্বল বলেন, ‘কোনো উৎসব উপলক্ষে আমি ছবিটি মুক্তি দিতে চাই। খুব ইচ্ছা আছে পয়লা বৈশাখে।’

পরিচালনার পাশাপাশি ‘ঊনপঞ্চাশ বাতাস’ ছবির কাহিনি, সংলাপ ও চিত্রনাট্য লিখেছেন, শিল্পনির্দেশনা ও সংগীত পরিচালনা করছেন মাসুদ হাসান উজ্জ্বল। ছবিটির নির্মাণ প্রতিষ্ঠান রেড অক্টোবর। প্রযোজনা করছেন আসিফ হানিফ। নির্বাহী প্রযোজক সৈয়দা শাওন।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের ড্রইং অ্যান্ড পেইন্টিং বিভাগ থেকে স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করে অনেক কাজই করেছেন মাসুদ হাসান উজ্জ্বল। তবে মাথার মধ্যে লুকিয়ে ছিল সিনেমার ভূত। তারকভস্কির ডায়েরি পড়ে সেই ভূতটা কৈশোরেই ঢুকে পড়েছিল খুব যতনে। নাটক লেখা দিয়েই যাত্রা করেন শোবিজে। তবে যখন দেখেছেন সবাই তাকে নাট্যকার বানিয়ে দিচ্ছে, তখন তিনি নিজের নির্মাতা পরিচয়কে প্রকাশ করলেন ‌’ছায়াফেরী’ নামের নাটক দিয়ে। ‘যে জীবন ফড়িংয়ের’, ‘রোদ মেখ সূর্যমুখী’, ‘অর্থহীন মানিপ্ল্যান্ট’, ‘কাগজ কার্বণে সম্মোহন’, ‘কালো বরফ জমাট অন্ধকার’, ‘ধুলোর মানুষ মানুষের ঘ্রাণ’, ‘অক্ষয় কোম্পানির জুতো’, ‘দাস কেবিন’ নামের টেলিভিশন প্রোডাকশনগুলো নির্মাণ করে নিজের রুচির পরিচয় দিয়েছেন এ নির্মাতা।

নাটক টেলিছবি নির্মাণের পাশাপাশি নিয়মিত বিজ্ঞাপনচিত্রও বানান এই নির্মাতা। তার উল্লেখযোগ্য কাজগুলোর মধ্যে রয়েছে, ‘পন্ডস এজ মিরাকেল মাই সেকেন্ড হানিমুন’, ‘লাক্স চ্যানেল আই সুপার স্টার’, ‘দৈনিক সমকাল’, ‘নূরজাহান’, ‘পেপসোডেন্ট’।


মন্তব্য করুন