Select Page

শাবনূর অভিনীত এ ১০ সিনেমা দেখতে পারেন

শাবনূর অভিনীত এ ১০ সিনেমা দেখতে পারেন

shabnurনব্বই পরবর্তী বাংলা চলচ্চিত্রের সফল নায়িকাদের মধ্যে অন্যতম শাবনূর। স্নিগ্ধ চেহারা ও প্রাণবন্ত অভিনয়ের মাধ্যমে তিনি খুব দ্রুতই চলচ্চিত্রে স্থায়ী আসন করে নেন। বর্তমানে সেভাবে দেখা না গেলেও বাংলা চলচ্চিত্র নিয়ে কথা বললে শাবনূরের নাম আলোচনায় আসবেই।

শাবনূর ১৯৭৯ সালের ১৭ ডিসেম্বর জন্মগ্রহণ করেন। তার পর্দার পেছনের নাম নুপুর। প্রথম চলচ্চিত্র কিংবদন্তি পরিচালক এহতেশামের ‘চাঁদনী রাতে’। ১৯৯৩ সালের ১৫ অক্টোবর ‘চাঁদনী রাতে’ মুক্তি পায়। সাব্বিরের বিপরীতে অভিনীত চলচ্চিত্রটি ব্যবসায়িকভাবে ব্যর্থ হয়। পরে সালমান শাহের সঙ্গে জুটি বেঁধে সফলতা পান। এটি বাংলাদেশের চলচ্চিত্রে সফল জুটিগুলোর অন্যতম। সালমান মৃত্যু পরবর্তী সময়ে ওমর সানী, রিয়াজ, শাকিব খান ও ফেরদৌসসহ অন্যদের সঙ্গে অভিনয় করে সফল হন শাবনূর। এর মধ্যে রিয়াজের সঙ্গে অর্ধশত চলচ্চিত্রে জুটি বাঁধেন।

তিনি ১৫০টির মতো চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন। সেখান থেকে বাছাই করা ১০টি চলচ্চিত্রের কথা জেনে নিন-

তোমাকে চাই (১৯৯৪) : এটি মূলত সালমান শাহর চলচ্চিত্র। স্টাইলিশ, মুডি সালমানকে দেখতে এ ছবি আপনাকে দেখতেই হবে। অন্যদিকে শাবনূরকে দেখতে হবে কী করে তিনি পরিণত হচ্ছেন। ধনী-গরীব প্রেমের চলচ্চিত্রটিতে দারুণ কিছু আবেগী মুহূর্ত রয়েছে। আর রয়েছে অসাধারণ কিছু গান। যা এখনো শ্রোতাদের আবিষ্ট করে রাখে। এ চলচ্চিত্রে ব্যবহৃত হয়েছে বিখ্যাত ‘ভাল আছি ভাল থেকো’ গানটি। সাধারণ দৃশ্যায়নে সবাইকে চমকে দিয়েছেন পরিচালক মতিন রহমান।

স্বপ্নের ঠিকানা (১৯৯৫) : সালমান শাহ-শাবনূর জুটির অন্যতম সফল চলচ্চিত্র এটি। এম এ খালেক অতি প্রচলিত ধনী-গরীব ফর্মূলায় ছবিটি নির্মাণ করেন। কিন্তু টানটান চিত্রনাট্য, সফল কিছু গান ও অভিনয়ের কারণে ছবিটি মোটামুটি ক্লাসিক হয়ে গেছে। এ ছাড়া পাবেন পরিণত শাবনূরকে।

বিয়ের ফুল (১৯৯৮) : মতিন রহমান পরিচালিত এ চলচ্চিত্রটি মুম্বাইয়ের ‘দিওয়ানা’র অফিসিয়াল রিমেক। শাবনূরের অভিনয় ও গানই এ ছবির প্রাণ। আহমেদ ইমতিয়াজ বুলবুল হিন্দি ছবির গানগুলো না রেখে নতুন কিছু সুর তৈরি করেছেন। এর মধ্যে ‘তোমায় দেখলে মনে হয়’ গানটি এখনো জনপ্রিয়। শাবনূরের সঙ্গে অভিনয় করেছেন রিয়াজ ও শাকিল খান। এ ছবিতে পরিণত অভিনয়শৈলীতে শাবনূরের ভিন্ন দুটি দিক দর্শকের মনে দাগ কাটে। ছবির প্রথম অর্ধেকের চপলতা ও দ্বিতীয় অর্ধেকের টানাপোড়ন দর্শককে ধরে রাখে।

shabnur1

ভালবাসা কারে কয় (২০০২) : জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত পরিচালক জাকির হোসেন রাজুর ভিন্ন ধরনের ভালবাসার গল্প এটি। সন্ত্রাসী রিয়াজের অতি আবেগ ও তার হাত থেকে রেহাই পেতে শাবনূরের প্রত্যাখ্যান এ ছবিতে প্রেমের নতুন ব্যাঞ্জনা তৈরি করে। বিয়োগান্তিক পরিণতির চলচ্চিত্রটি দর্শক বেশ পছন্দ করেন। এ ছবিতে আরও অভিনয় করেন রাজিব ও বাপ্পারাজ।

দুই বধু এক স্বামী (২০০৩) : এফ আই মানিক পরিচালিত এ চলচ্চিত্রের মাধ্যমে প্রথমবারের মতো পর্দা ভাগাভাগি করেন শাবনূর ও মৌসুমী। চলচ্চিত্র প্রযোজক ও নায়ক ছিলেন মান্না। বলা যায় মান্নার চমক কাজে লেগেছিল। দর্শক চলচ্চিত্রটি দারুণভাবে লুফে নেয়। মৌসুমী ও শাবনূর সমানতালে যুদ্ধ করেছেন। শাবনূরের ব্যক্তিত্ব আপনার চোখে লাগবেই।

shabnur2ব্যাচেলর (২০০৪) : এটি প্রচলিত ধাঁচের চলচ্চিত্র নয়। মোস্তফা সরয়ার ফারুকীর এ ছবিতে আমরা অন্য ধরনের শাবনূর পাই। অভিনয় ও গ্ল্যামার দুটোই চোখে পড়ার মতো। এ চলচ্চিত্রে শাবনূরের চরিত্রে সামান্য খাদ ছিল। তা অবশ্য শাবনূরের দোষ নয়। তার বদলে অন্য কেউ এ ছবিতে ডাবিং করে ছিলেন। তা সত্ত্বেও বোঝা যায় আধুনিক চরিত্রেও কম যান না তিনি।

মোল্লা বাড়ীর বউ (২০০৫) : এটিএম শামসুজ্জামানের গল্পে নির্মিত একটি জনপ্রিয় চলচ্চিত্র। ‘মোল্লা বাড়ীর বউ’ নির্মাণ করেন টেলিভিশন নাটকের জনপ্রিয় নির্মাতা সালাউদ্দিন লাভলু। রিয়াজের বিপরীতে অভিনয় করেন শাবনূর ও মৌসুমী। শাবনূরের সহজাত কমিক সবাইকে হাসায়। বিশেষ করে মৌসুমীর বিষাদের বিপরীতে এটি ছিল স্বস্তির জায়গা। কিন্তু পরিণতিতে সবার মন আর্দ্র করে দেন শাবনূর।

দুই নয়নের আলো (২০০৬) : মোস্তাফিজুর রহমান মানিক পরিচালিত এ চলচ্চিত্রে শাবনূরের বিপরীতে ছিলেন তিন তিনজন নায়ক। ফেরদৌস, শাকিল খান ও রিয়াজ। কিন্তু শাবনূরের দাপটে কারও কিছু করারই ছিল না। অবশ্য কাহিনীও কাহিনীনির্ভর। নিম্নবিত্ত একটি মেয়ের জীবন-সংগ্রাম ও মর্যাদার লড়াই নিয়ে ‘দুই নয়নের আলো’র কাহিনী আবর্তিত হয়েছে। শাবনূর ভালভাবে উৎরে গেছেন।

shabnur3
নিরন্তর (২০০৬) : হুমায়ূন আহমেদের উপন্যাস ‘জনম জনম’ অবলম্বনে আবু সাইয়ীদের অন্যতম সেরা চলচ্চিত্র ‘নিরন্তর’। বাবার অন্ধত্বের কারণে তিথিদের পরিবারে আকস্মিক দুর্যোগ নেমে আসে। কোনো চাকরি যোগাড় করতে না পেরে তিথি অন্ধকার পথে পা বাড়ায়। ছোট ভাইয়ের ব্যবসায় এক সময় তিথিদের পরিবার সচ্ছলতা ফিরে পায়। তিথিও দেহব্যবসা ছেড়ে দেয়। কিন্তু তার জীবন দিন দিন ফ্যাকাসে হতে থাকে। অফ ট্র্যাক পরিচালকের চাহিদার কারণে শাবনূর খানিক নিষ্প্রভ। তারপরও শাবনূরকে চিনতে ভুল হয় না।

এক টাকার বউ (২০০৮) : পি এ কাজলের এ চলচ্চিত্রে আরও আছে শাকিব খান, রোমানা, রাজ্জাক ও দিঘী। তা সত্ত্বেও এটি মূলত শাবনূরের ছবি। কাহিনীর উত্থান-পতনের সঙ্গে শাবনূর দারুণভাবে অভিনয় করেছেন। বিশেষ করে নারী দর্শকদের এটি খুবই পছন্দের চলচ্চিত্র। সম্ভবত এটি শাবনূরের শেষ দিকের সবচেয়ে বড় হিট চলচ্চিত্র।


About The Author

বিএমডিবির সহপ্রতিষ্ঠাতা

Leave a reply