জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার (২০১১-২০১২)
২০১১
এই বছর আজীবন সম্মাননায় ভূষিত হন নায়করাজ রাজ্জাক। সেরা চলচ্চিত্র, পরিচালক সহ মোট ২৪ টি শাখায় পুরস্কার প্রদান করা হয়। সব্যসাচী লেখক সৈয়দ শামসুল হকের নিষিদ্ধ লোবান ও পরিচালকের ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা নিয়ে নির্মিত মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক চলচ্চিত্র ‘গেরিলা’ সেরা চলচ্চিত্র সহ সর্বোচ্চ ১০টি শাখায় পুরস্কার লাভ করে। এই ছবিতে বিলকিস চরিত্রে অনবদ্য অভিনয়ের জন্য প্রথমবারের মত জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করেন নন্দিত অভিনেত্রী জয়া আহসান। জনপ্রিয় শিশুসাহিত্যিক মুহম্মদ জাফর ইকবাল তাঁর উপন্যাস নিয়ে নির্মিত আমার বন্ধু রাশেদের জন্য জাতীয় পুরস্কার লাভ করেন। হালের জনপ্রিয় সংগীত ব্যক্তিত্ব হাবিব ওয়াহিদ, শফিক তুহিন ও ন্যান্সি প্রথমবারের মত জাতীয়ভাবে পুরস্কৃত হন। মধুমতি সিনেমার জন্য সেরা অভিনেতা হিসেবে প্রথমে রিয়াজের নাম আসলেও পরবরর্তীতে পুরস্কৃত হন ফেরদৌস। তবে নায়ক ‘আলমমগীর জুরি বোর্ডের সদস্য হওয়া সত্ত্বেও পুরস্কার প্রাপ্তি নিয়ে বিতর্ক উঠে।
১.আজীবন সম্মাননা: আব্দুর রাজ্জাক
২.সেরা প্রামান্যচিত্র: আলবদর ও লোকনায়ক কাঙাল হরিনাথ
৪.সেরা চলচ্চিত্র: গেরিলা
৫.সেরা পরিচালক: নাসিরউদ্দিন ইউসুফ বাচ্চু (গেরিলা)
৬.সেরা কাহিনীকার: মুহম্মদ জাফর ইকবাল (আমার বন্ধু রাশেদ)
৭.সেরা চিত্রনাট্যকার: নাসিরউদ্দিন ইউসুফ বাচ্চু ও এবাদুর রহমান (গেরিলা)
৮.সেরা সংলাপ রচয়িতা: নাসিরউদ্দিন ইউসুফ বাচ্চু ও এবাদুর রহমান (গেরিলা)
৯.সেরা সংগীত পরিচালক: হাবিব ওয়াহিদ (প্রজাপতি)
১০.সেরা অভিনেতা: ফেরদৌস (কুসুম কুসুম প্রেম)
১১.সেরা সহ অভিনেতা: আলমগীর (কে আপন কে পর)
১২.সেরা সহ অভিনেত্রী: ববিতা (কে আপন কে পর)
১৩.সেরা শিশু শিল্পী: সেমন্তী (খন্ডগল্প ৭১)
১৪.সেরা গীতিকার: শফিক তুহিন (প্রজাপতি)
১৫.সেরা সুরকার: ইমন সাহা (কুসুম কুসুম প্রেম)
১৬.সেরা গায়ক: কুমার বিশ্বজিৎ (প্রজাপতি)
১৭.সেরা গায়িকা: ন্যান্সি (গেরিলা)
১৮.সেরা চিত্রগ্রাহক: অপু রোজারিও (আমার বন্ধু রাশেদ)
১৯.সেরা সম্পাদক: সামির আহমেদ (গেরিলা)
২০.সেরা শিল্প নির্দেশক: অনিমেষ আইচ (গেরিলা)
২১.সেরা শব্দগ্রাহক: রতন পাল (আমার বন্ধু রাশেদ)
২২.সেরা পোশাক ও সাজসজ্জা: শিমুল ইউসুফ (গেরিলা)
২৩.সেরা রুপসজ্জাকর: মো:আলী বাবুল (গেরিলা)
২০১২
এই বছর আজীবন সম্মাননায় ভূষিত হন শক্তিমান অভিনেতা খলিলউল্লাহ খান। এই বছর সেরা চলচ্চিত্র সহ মোট ২৪টি শাখায় পুরস্কার প্রদান করা হয়। শাহনেওয়াজ কাকলীর পরিচালনায় ইমপ্রেস টেলিফিল্মের ছবি ‘উত্তরের সুর’ সেরা চলচ্চিত্রের পুরস্কার লাভ করে। এছাড়া জনপ্রিয় কথাসাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদের সর্বশেষ ছবি ‘ঘেটুপুত্র কমলা’ সর্বোচ্চ ৮ টি শাখায় পুরস্কৃত হয়, তিনি নিজেও দুটি পুরস্কার(মরনোত্তর) লাভ করেন। এই বছর সেরা অভিনেতা হিসেবে শাকিব খানের পুরস্কার বিতর্কের সৃষ্টি করে।
১.আজীবন সম্মাননা: খলিলউল্লাহ খান
২.সেরা চলচ্চিত্র: উত্তরের সুর
৩.সেরা পরিচালক: হুমায়ূন আহমেদ (ঘেটুপুত্র কমলা)
৪.সেরা কাহিনীকার: শাহনেওয়াজ কাকলী (উত্তরের সুর)
৫.সেরা চিত্রনাট্যকার: হুমায়ূন আহমেদ (ঘেটুপুত্র কমলা)
৬.সেরা সংলাপ রচয়িতা: রেদোয়ান রনি (চোরাবালি)
৭.সেরা সংগীত পরিচালক: ইমন সাহা (ঘেটুপুত্র কমলা)
৮.সেরা অভিনেতা: শাকিব খান (খোদার পরে মা)
৯.সেরা অভিনেত্রী: জয়া আহসান (চোরাবালি)
১০.সেরা সহ অভিনেতা: এটিএম শামসুজ্জামান (চোরাবালি)
১১.সেরা সহ অভিনেত্রী: লুসি তৃপ্তি গোমেজ
১২.সেরা শিশু শিল্পী: মামুন (ঘেটুপুত্র কমলা)
১৩.বিশেষ শাখায় সেরা শিশু শিল্পী: মেঘলা (উত্তরের সুর)
১৪.সেরা খল অভিনেতা: শহিদুজ্জামান সেলিম (চোরাবালি)
১৫.সেরা গীতিকার: মিল্টন খন্দকার (খোদার পরে মা)
১৬.সেরা সুরকার: ইমন সাহা (পিতা)
১৭.সেরা গায়ক: পলাশ (খোদার পরে মা)
১৮.সেরা গায়িকা: রুনা লায়লা (তুমি আসবে বলে)
১৯.সেরা চিত্রগ্রাহক: মাহফুজুর রহমান খান (ঘেটুপুত্র কমলা)
২০.সেরা সম্পাদক: মো:সলিমুল্লাহ (ঘেটুপুত্র কমলা)
২১.সেরা শিল্পনির্দেশক: উত্তম গুহ ও কলমতর (রাজা সূর্য খাঁ)
২২.সেরা শব্দগ্রাহক: রিপন নাথ (চোরাবালি)
২৩.সেরা পোশাক ও সাজসজ্জা: এস এম মহিউদ্দিন ফুয়াদ (ঘেটুপুত্র কমলা)
২৪.সেরা রুপসজ্জাকর: খলিলুর রহমান (ঘেটুপুত্র কমলা)