Select Page

জায়েদ খানের বিরুদ্ধে যত অভিযোগ ও তার উত্তর

জায়েদ খানের বিরুদ্ধে যত অভিযোগ ও তার উত্তর

ওমর সানীর চড় ও জায়েদ খানের পিস্তল বের করার ঘটনা এখন ‘টক অব দ্য সোশ্যাল মিডিয়া’। যদিও ডিপজলের ছেলের বিয়ের এই ঘটনা ওমর সানী স্বীকার করলেও জায়েদ বলছেন অন্য কথা।

অভিনয়ের জন্য জায়েদ খানের খ্যাতি না থাকলেও বা এক যুগে কোনো হিট সিনেমা না থাকা সত্ত্বেও বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচনে পরপর সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হওয়া ও এবারের ঝুলে থাকা পদ নিয়ে আলোচনা আছেন তিনি। তবে এ অভিনেতার বিরুদ্ধে দখল, হামলাসহ নানা অভিযোগ উঠেছে অতীতে। বরাবরই সে সব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন তিনি। তেমন কয়েকটি ঘটনা নিচে তুলে ধরা হলো।

হাসপাতাল দখল

জায়েদ খান ও তার ভাইদের বিরুদ্ধে পিরোজপুর পৌর শহরের মাছিমপুর এলাকার এলজিইডি সংলগ্ন বাইপাস সড়ক এলাকায় পাঁচতলা বিশিষ্ট সার্জিকেয়ার ক্লিনিক ও ডায়াগনিষ্টিক নামের একটি ক্লিনিক ও তার জমি দখলের অভিযোগ উঠেছে বছর দুই-এক আগে।

গত ১৩ ফেব্রুয়ারি বাংলা ট্রিবিউন এক সংবাদে জানায়, চিত্রনায়ক জায়েদ খান, তার ভাই ওবাইদুল হক পিন্টু ও শহীদুল হক মিন্টুর বিরুদ্ধে পিরোজপুর সদরের একটি হিন্দু পরিবারের বাড়ি ও ক্লিনিক দখলের অভিযোগ উঠেছে। রবিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) ঢাকায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধনে দাবি করা হয়েছে, ছয় বছর আগে ‘অন্তর জ্বালা’ ছবির দৃশ্যধারণের নামে এই কর্মকাণ্ড করেছেন তারা। পিরোজপুর জেলা সদরের সরকারি সোহরাওয়ার্দী কলেজের সাবেক উপাধ্যক্ষ গীতা রানী মজুমদার এই অভিযোগ করেছেন।

এসব অভিযোগ অস্বীকার করে জায়েদ খান ভিডিও বার্তায় বলেছেন, ‘হিন্দু ক্লিনিক দখলের মিথ্যা অভিযোগ খুবই দুঃখজনক এবং হাস্যকর। আমি এর প্রতিবাদ জানাই। বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচনকে ঘিরে একটি পক্ষ আমার বিরুদ্ধে কাজ করছে, বিভিন্ন ষড়যন্ত্রে লিপ্ত আছে। তারাই এবার আমাকে একটি হত্যা মামলার আসামি সাজানোর অপচেষ্টা চালাচ্ছে।’

শাকিব খানের ওপর হামলা

২০১৭ সালে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচনের রাতে এফডিসিতে শাকিব খানের ওপর হামলা হয়। সে ঘটনার দায় পড়ে জায়েদের ওপর। এ নিয়ে শাকিব আইনি পদক্ষেপও নেন।

ওই বছরের ৯ মে এক প্রতিবেদনে চ্যানেল আইন অনলাইন জানায়, ৫ মে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচনের রাতে ঘটে যাওয়া অপ্রীতিকর ঘটনার জন্য চিত্রনায়ক জায়েদ খান ও সায়মন সাদিকের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিয়েছেন চলচ্চিত্রের শীর্ষ নায়ক শাকিব খান। গতকাল সোমবার তিনি তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেছেন। সা​ধারণ ডায়েরি নম্বর ৩৬৫। যাদের বিরুদ্ধে শাকিব অভিযোগ করেছেন সেই তালিকায় চিত্রনায়ক জায়েদ খান ও সাইমন সাদিকের নাম রয়েছে। এছাড়া রয়েছে আরও কয়েকজনের নাম।

লিখিত অভিযোগে শাকিব বলেন, আমি বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির বর্তমান সভাপতি পদে দায়িত্বরত আছি। ৫ মে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। ৬ মে দিবাগত রাত প্রায় ১টা ৩০ মিনিটে বিভিন্ন মারফত আমার কাছে খবর আসে যে নির্বাচনের ফলাফল এখন পর্যন্ত প্রকাশিত হয়নি। আপিল বিভাগের লোকজন শিল্পী সমিতির ভেতরে ভোট গণনা কেন্দ্রে অবস্থান করছেন। চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির বর্তমান সভাপতি হিসেবে বিষয়টি দেখা আমার এখতিয়ারভুক্ত বিধায় আমি বিএফডিসিতে আসি। এবং দেখি যে, বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির অফিসে আপিল বিভাগের লোকজন ও বাইরে বহিরাগত লাল গেঞ্জি পরিহিত পিস্তল হাতে একজন সন্ত্রাসীসহ চাপাতি হাতে কয়েকজন লোক অবস্থান করছে।

শাকিব আরও লিখেছেন, ‘এই সকল বহিরাগত লোকজন বিএফডিসির ভেতরে এতো রাতে কীভাবে এলো এবং কেন অস্ত্র হাতে অবস্থান করছে, জানতে চাইলে ওখানে উপস্থিত সাইফ খান কালু (নৃত্য পরিচালক), সায়মন সাদিক (নায়ক), জিয়া (অভিনেতা) ফাইটার শামীমসহ অজ্ঞাতনামা অনেক লোক আমার ওপর হামলা করতে আসে। আমাকে ছুরি দিয়ে আঘাত করার চেষ্টা করে। আমার একজন ভক্ত আমাকে রক্ষা করতে গেলে আক্রমণকারীর ছুরির আঘাতে তার হাত কেটে যায়। আমি নিজের প্রাণ রক্ষার্থে পুলিশ, আমার ব্যক্তিগত দেহরক্ষী, কিছু কলাকুশলীর সহযোগিতায় দ্রুত ঘটনাস্থল ত্যাগ করি।’

বিষয়টি নিয়ে একই সংবাদমাধ্যমকে জায়েদ খান বলেন, ‘নির্বাচনের পর রাতে কিছু উশৃঙ্খল ব্যক্তি শাকিব খানের সঙ্গে দূর্ব্যবহারের চেষ্টা করছিল। তখন মিশা সওদাগর এগিয়ে আসেন তাকে রক্ষা করতে। সঙ্গে আমিও ছিলাম। কিন্তু আমার বিরুদ্ধে শাকিব খান থানায় অভিযোগ করেছেন শুনে অবাক হয়েছি। তিনি তো নিজেই দেখেছেন আমি তাকে রক্ষার চেষ্টা করেছি।’

শিল্পী সমিতিকে পরীমনির সদস্যপদ স্থগিত

২০২১ সালের ৪ আগস্ট মাদক মামলায় নিজ বাসা থেকে গ্রেপ্তার হন পরীমনি। এরপরই তড়িগড়ি এ নায়িকার সদস্যপদ স্থগিত করে শিল্পী সমিতি। কিন্তু এ ঘটনায় সিনিয়র নায়কদের অনেকে অভিযোগ করেন, পরীমনি সদস্যপদ স্থগিত করা ঠিক হয়নি। উল্টো এ ঘটনায় তাদের জড়িয়েছে জায়েদ খান।

এ বিষয়ে প্রথম আলোকে আলমগীর বললেন, ‘আমার সঙ্গে এই বিষয়ে কেউ কোনো কথা বলেনি। আমি ওই সমিতির উপদেষ্টা পরিষদেরও কেউ না। আই অ্যাম নট এন এক্সিকিউটিভ মেম্বার। আমার নাম কেন জড়ানো হচ্ছে, জানি না। শিল্পী সমিতি থেকে এখন কেউ যদি আমার নাম বলে থাকে, সেটা মোটেও ঠিক হচ্ছে না। আবারও বলছি, আমার সঙ্গে কেউ কোনো ধরনের যোগাযোগ করেনি।’

ইলিয়াস কাঞ্চনও শিল্পী সমিতির বিপরীতে যুক্তি দেন। তিনি বলেন, বলেন, ‘ওদের জিজ্ঞেস করেন, ইলিয়াস কাঞ্চন সাহেব কী বলেছিল? আমি কিন্তু সদস্যপদ স্থগিতের ব্যাপারটি নিষেধ করছি। আমার সঙ্গে যোগাযোগ করেছিল, তখন আমি বলেছি, একজন শিল্পীর নামে মাত্র অভিযোগ এসেছে। কোনো কিছুই প্রমাণিত হয়নি। অভিযোগ যখন প্রমাণিত হয়নি, কী কারণে তোমরা সদস্যপদ স্থগিত করবা? তারা আমাকে বোঝানোর চেষ্টা করেছে, আমরা তো স্থায়ীভাবে করছি না। সাময়িকভাবে করছি। তখন আমি বলেছি, এই স্থগিতই–বা কেন করবা। স্থগিত করাটা ঠিক হবে না। স্থগিতের বিষয়ে আমার মত নেওয়া হয়নি। আমাকে বলেছে, অন্যদের সঙ্গেও যোগাযোগ করবে। অন্যরা কী বলছে, তা তো আমি বলতে পারব না।’

নির্বাচনে টাকা

চলতি বছরের ২২ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত শিল্পী সমিতির নির্বাচনে টাকা দিয়ে ভোট কিনছেন জায়েদ খান। এমন অভিযোগ করেন সাধারণ সম্পাদক পদে তার প্রতিদ্বন্দ্বী নিপুণ।

বার্তা২৪ জানায়, এফডিসির প্রধান ফটকের সামনে থেকে জায়েদ খান ভোটারদের মিশা-জায়েদ পরিষদের ব্যাচ পরিয়ে দিচ্ছেন ও ভোট কিনছেন, এমনটি বলছিলেন নায়িকা। তবে অভিযোগ অস্বীকার করে জায়েদ খান বলেন, আমি শুধু ভোটারদের সঙ্গে কথা বলছি ভোট চাচ্ছি এবং আমাদের পরিষদের ব্যাচ পরিয়ে দিচ্ছি।

তিনি আরও বলেন, ভোট চাওয়া তো অন্যায় নয়। তাছাড়া নিপুণ পরিষদের অনেক লোক তো এখানে থেকে ভোট চাচ্ছেন। আমি অন্যায় করলে তারাও করছে। আমি ভোট কিনছি না কি করছি এখানে সিসি ক্যামেরা আছে আপনারা দেখতে পারেন।

পপির বুকে পিস্তল ঠেকিয়েছিল জায়েদ খান

বছর দেড়েক অন্তরালে থাকা নায়িকা সাদিকা পারভীন পপি জানুয়ারির শেষ দিকে শিল্পী সমিতির নির্বাচনের আগে হাজির হন ভিডিও বার্তা নিয়ে।

বাংলানিউজ২৪ জানায়, অভিনেতা জায়েদ খানের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ এনেছেন অভিনেত্রী সাদিকা পারভীন পপি। তিনি দাবি করেছেন, জায়েদ খান তার বুকে পিস্তল ঠেকিয়েছিল। একটি বেসরকারি টেলিভিশনের সঙ্গে ভিডিওকলে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এমন অভিযোগ করেনতিনি। 

পপি বলেন, ‘জায়েদ খান একটা পিস্তল কেনার জন্য আমার কাছে টাকা ধার নিয়েছিল। সেই টাকা দিয়ে সে পিস্তল কিনেছে। আমি একটা জায়গায় শুটিং করছিলাম, শুটিংয়ে গিয়ে সে বলল একটা কথা আছে, জরুরি কথা। শুটিং শেষ করে গাড়িতে বসলাম। সে হঠাৎ করেই আমার কানের পাশ দিয়ে ধম ধম করে গুলি ফোটালো। ভয় পেয়ে গেলাম খুব, আমি তো এসব দেখে অভ্যস্ত না। একটু পর নাকি সেই পিস্তলের নল আমার বুকে ঠেকিয়ে জায়েদ খান বলে, বেশি বাড়াবাড়ি করার দরকার নেই, যতটুকু পারো কাজবাজ করে চলচ্চিত্র থেকে বেরিয়ে যাও। আমাকে বিভিন্ন রকম হুমকি-ধমকি দিতে থাকল।’

তবে এই চিত্রনায়িকার হঠাৎ সামনে আসার বিষয়টি ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবেই মনে করেন জায়েদ খান। তিনি বলেন, ‘‘তার (পপি) সঙ্গে আমার খুব ভালো সম্পর্ক ছিল। তার সঙ্গে একশ’র অধিক স্টেজ শো করেছি, একই প্যানেলে নির্বাচন করেছি। তার মতানৈক্য বা মতাদর্শ থাকতেই পারে। সেটা নিজেদের ফোরামে বলাই ভালো। তাকে খুঁজেই পাচ্ছি না। তার মোবাইল বন্ধ। হঠাৎ করে একদিন আগে তাকে দিয়ে কিছু বলানো হচ্ছে। যাক বলেছে। আপনারা তো বলেন আমি আলোচিত মানুষ। হয়তো এ কারণে বলেছে। তার আক্ষেপ-অভিযোগ থাকলে সামনে এসে বললেই ভালো হতো। একটা কথা মনে রাখবেন, ‘যে গাছে ফল হয় বেশি, সেখানে ঢিলও পড়ে বেশি। আর অন্য কেউ তো বলেনি, পপি বলেছেন। আমি এনজয় করছি।’’

মৌসুমীকে ডিস্টার্ব করার জেরে চড় ও পিস্তলের হুমকি

১২ জুন রাতে চলচ্চিত্রের খল অভিনেতা ডিপজলের ছেলের বিয়ের অনুষ্ঠানে চিত্রনায়ক ওমর সানীকে পিস্তল দিয়ে গুলি করার হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে জায়েদ খানের বিরুদ্ধে।

এ বিষয়ে প্রথম আলোকে ওমর সানী বললেন, ‘আমি জায়েদ খানকে চড় মেরেছি। কিন্তু কী কারণে মেরেছি, সেটাও তো জানতে হবে সবাইকে। আর চড় মারার পর আমাকে মারতে সে পিস্তল বের করবে! কত্ত বড় সাহস!’

অনেক দিন ধরে জায়েদের বেয়াদবি মার্ক করছিলাম। তারপর বিয়েতে দেখার পর, কাছে গেছি। এরপর কষে থাপ্পড় মেরেছি। থাপ্পড় মারার পর সে পিস্তল বের করে বলে, গুলি করে দেব কিন্তু।

ওমর সানী আরও বলেন, ‘ইন্ডাস্ট্রির ক্ষতি, মানুষের ক্ষতি করতে করতে জায়েদের সাহস বেড়ে গেছে। কেউ কথা বলছিল না। চড় দিয়ে আমি না হয় শুরু করেছি। জায়েদ খান চরম বেয়াদবি করছিল। অনেক দিন ধরে জায়েদের বেয়াদবি মার্ক করছিলাম। তারপর বিয়েতে দেখার পর, কাছে গেছি। এরপর কষে থাপ্পড় মেরেছি। থাপ্পড় মারার পর সে পিস্তল বের করে বলে, “গুলি করে দেব কিন্তু।” আমি কইছি (সরি ফর মাই ল্যাঙ্গুয়েজ), পিস্তল তোর…(প্রকাশের অযোগ্য)। … পোলা।’ ওমর সানী আরও বলেন, ‘জায়েদ খান তো সব সময় পিস্তল নিয়ে ঘোরে। আমার কথা হইছে, ইন্ডাস্ট্রিতে ওর অত্যাচার সহ্য করতে করতে অনেকেই বিরক্ত। কেউ হয়তো মুখ ফুটে বলে না মানসম্মান হারানোর ভয়ে। আমি ভাবলাম, আর দেরি নয়, এখনই শুরু করতে হবে। তাই চড়টা দিয়ে শুরু করলাম। আমি চড় মেরেই বিয়ের অনুষ্ঠান থেকে বের হয়ে যাই।’

তবে প্রথম আলোর কাছে চড় ও পিস্তলের হুমকির কথা অস্বীকার করেন জায়েদ। প্রতিবেদকের প্রশ্ন ছিল, ডিপজলের ছেলের বিয়েতে আপনার সঙ্গে ওমর সানীর গন্ডগোল হয়েছে। তিনি আপনাকে চড় মেরেছেন, এরপর আপনি তাকে মারার জন্য পিস্তল বের করেছেন? হঠাৎ কেন এমনটা ঘটল? এমন প্রশ্নে জায়েদ বলেন, ‘কে বলে এসব কথা? আমার তো মনেও নাই কী হয়েছে।’ সবাই বলছে আপনার সঙ্গে কথা–কাটাকাটি হয়েছে, তাই চড় মেরেছেন ওমর সানী? ‘একদমই এমন কিছু হয়নি, কে বলল এসব কথা। আন্দাজে…এটা কোনো কথা। এসব মিথ্যা কথা। আমি চড় খেয়েছি, পিস্তল বের করেছি—কে বলেছে বলেন, আমি তার সঙ্গে কথা বলব। আমি তাদের মুখে এটা শুনতে চাই।’ আপনি চড় খেয়েছেন? ‘না না না।’ পিস্তল বের করেছিলেন? ‘তেমন কিছুই হয় নাই। এসব মিথ্যা কথা। শত্রুতামি করে কেউ এসব কথা বলতেছে।’


মন্তব্য করুন