জিরো ডিগ্রীঃ সব কিছুই ছিল শুধু…
শুক্রবার বলাকায় সন্ধার শোতে দেখে ফেললাম জিরো ডিগ্রি ছবিটি। কেমন লাগল? এই প্রশ্নের উত্তরে এক বাক্যে কিছু বলা যাবে না , সিনেমার অনেক কিছুই ছিল উপভোগ করার মত। অনেক কিছুই সমসাময়িক বাংলা সিনেমা থেকে এই সিনেমার প্রভেদ টেনে দেয়। কিন্তু সব কিছুর পরে আমার যা বলার আছে সেটা হল , আমার খুব বেশি ভাল লাগে নি।
সিনেমার ট্যাগ লাইনে unexpected থাকার সার্থকতা মনে হয় এই যে এই রকম সাইকো থ্রিলার বাংলাদেশের সিনেমাতে এই প্রথম। যদিও থ্রিলার বলতে আমি যা expect করি মুভি তে টার অভাব ছিল প্রকট।
কাহিনীঃ দুই জন ভিন্ন পরিবেশে বেড়ে উঠা মানুষের প্রিয় জনের মাধ্যমে প্রতারিত হওয়া ও তাদের প্রতিশোধের গল্প নিয়ে সিনেমা। সম্পুর্ন কাহিনি না হয় হলে বসে দেখে নিন।
কাহিনীর প্রথম অর্ধেক প্রতারিত হওয়া ও পরের টুকু প্রতিশোধ। সম্পুর্ন expected . মুলত কোথাও কোন টার্ন নাই। ২য় ধাপে কাহিনী একটু ঝুলে গেছে বলেও মনে হয়। পুলিশ ইনভেস্টিগেশনে যে সব ইনফর্মেশন পুলিশ ফাইন্ড আউট করে, দর্শকরা তা আগে থেকেই জানে। সো ইনভেস্টিগেশন গুলো বোরিং ।
অভিনয়ঃ মুল চরিত্র সবাই পরীক্ষিত অভিনেতা। তারা তাদের সবটুকু দিয়ে চেষ্টা করেছেন এবং সফল হয়েছেন। আমার সন্দেহ ছিল রুহিকে নিয়ে। তার অন্য কোন কাজ আমার দেখার সুযোগ হয় নাই। কিন্তু আমার সন্দেহ অমুলক ছিল। রুহি ভালভাবেই পাশ করেছেন। সিংগাপুরে, সিগারেট হাতে একটু সময় ছাড়া বাকি সময় বেশ মানানসই।
পার্শ্ব অভিনেতারাও সবাই পরিক্ষিত। টেলিসামাদ অসাধারন, তারিক আনাম খান ভাল, ইরেশ যাকের চলনসই মোট কথা খারাপ লাগার মত অভিনয় কারো ছিল না।
সংগীত আর ব্যাকগ্রাউন্ড স্কোর ছিল ফাটাফাটি। সময়ে সময়ে রবীন্দ্র সঙ্গীত এত ভাল লাগছিল! ব্যাকগ্রাউন্ড মিউজিক থ্রিলারের জন্য পারফেক্ট। কিন্তু সাস্পেনসটাই ছিল না কাহিনীতে।
ক্যামেরা চিত্রনাট্য আর পরিচালনা নিয়ে কিছু বলার নাই । অসাধারন হয়েছে সব।
আসলে সবই ভাল ছিল সিনেমার, ওই যে বললাম শুধু সাস্পেন্স ছিল না।