‘টক অব দ্য কান্ট্রি’ মারামারির পর ফের সেলিব্রেটি ক্রিকেট লীগ!
শুরুতে সেলিব্রেটি ক্রিকেট লীগ (সিসিএল) নিয়ে আম-দর্শকের কোনো আগ্রহ ছিল না। কিন্তু মারামারির সূত্রে এখন ‘টক অব দ্য কান্ট্রি’। সোশ্যাল মিডিয়ায় তুমুল হাসাহাসির মাঝে ‘তারকারা’ ভীষণ ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। পক্ষ-বিপক্ষে জমে ছিল তর্ক।
২৮ সেপ্টেম্বর শুরু হওয়া লীগটি প্রথম দিন বেশ ভালোভাবেই চলছিল। কিন্তু পরদিন সৃষ্টি হয় জটিলতার। দুটি দলের সদস্যদের মধ্যে হওয়া মারামারির কারণে সাময়িক স্থগিত হয়ে যায় লীগটি।
আয়োজক প্রতিষ্ঠান জি নেক্সটের কর্মকর্তা অর্নিল হাসান সারাবাংলাকে জানান, আজ (মঙ্গলবার ৩ অক্টোবর) অংশগ্রহণকারী ৮ দলের অধিনায়করা একত্রে বসেছিলেন। তারা লীগটি আবার শুরু করার ব্যাপারে সম্মত হয়েছেন।’
তিনি জানান, তারা আগামী ১৫ থেকে ২০ অক্টোবরের মধ্যে যেকোনো একদিন লীগের বাকি খেলাগুলোর আয়োজন করতে চাইছেন। যথাযথ কর্তৃপক্ষের অনুমতি পাওয়ার পর তারিখ জানানো হবে।
সেলিব্রেটি ক্রিকেট লিগে মোট আটটি দলে ভাগ হয়ে লড়ছেন শোবিজের কলাকুশলীরা। প্রতি দলে নারী-পুরুষ তারকারা অংশ নিচ্ছেন। এসব দলের নেতৃত্বে দিচ্ছেন, গিয়াসউদ্দিন সেলিম, সালাহউদ্দিন লাভলু, শিহাব শাহীন, চয়নিকা চৌধুরী, দীপঙ্কর দীপন, সকাল আহমেদ, মোস্তফা কামাল রাজ ও রায়হান রাফী।
খেলা স্থগিত যাওয়ার কারণে গ্রুপ পর্যায়ের ৩টি, সেমিফাইনেলের ২টি এবং ফাইনালসহ ৬টি ম্যাচ বাকি। সবগুলো ম্যাচ একদিনেই অনুষ্ঠিত করার ইচ্ছে রয়েছে আয়োজকদের।
এর আগে ২৯ সেপ্টেম্বর টস জিতে ব্যাটিংয়ে নামে মোস্তফা কামাল রাজের দল। নির্ধারিত ছয় ওভারে ১১৯ রান সংগ্রহ করে তারা। দীপঙ্কর দীপনের টিম বিরাট রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে সমানুপাতিক হারেই রান তুলছিল। তবে শেষ পর্যন্ত ৭ রানে হেরে যায় তারা। দলটি নির্ধারিত ৬ ওভারে ১১২ রান করে। ম্যাচ শেষেই ঘটে মারামারির ঘটনা। দীপনের দলের ছয় জনকে হাসপাতালে গিয়ে চিকিৎসা নিতে হয়। আর দীপন পরদিন লিখিত অভিযোগ করেন।
ঘটনার প্রেক্ষিতে ৩০ সেপ্টেম্বর দুপুরে মিটিংয়ে বসে আয়োজক কমিটি ও ম্যাচ রেফারি। সেখানে দীপংকর দীপনের করা লিখিত অভিযোগের প্রেক্ষিতে উভয়পক্ষ তাদের বক্তব্য উত্থাপন করে। সেদিন সন্ধ্যায় এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে আয়োজকরা। সেখানে তারা জানায়, তারকাদের মধ্যে কোনো ‘মরামারির ঘটনা’ ঘটেনি। তবে হামলার ঘটনা ঘটেছে। আর এটি ঘটেছে দুদলের জার্সি পরা সমর্থকদের কারণে। এ ঘটনায় তারা থানায় তারা মামলা করেছেন। তবে কোন থানায় মামলা হয়েছে এবং কয়জনকে আসামি করা হয়েছে তা জানাতে অস্বীকৃতি জানায় তারা।
জি নেক্সটের অর্নীল জানান, মঙ্গলবারের মিটিংয়ে আট অধিনায়ক মামলাটি চালিয়ে নেওয়ার ব্যাপারে একমত হয়েছেন। তবে এবারও তারা মামলার ব্যাপারে বিস্তারিত জানাতে সম্মত হয়নি।