ডিরেক্টরস গিল্ডের সদস্য না হলে নাটক প্রচারে বাধা!
অদ্ভুত এক অনুরোধ করছে টেলিভিশন নাট্যকারদের সংগঠন ডিরেক্টরস গিল্ড। দোহাই হিসেবে বলছে, নাট্যাঙ্গনে শৃঙ্খলা ফেরানোর উদ্যোগ হিসেবে এমনটা করছেন তারা।
প্রথম আলো এক প্রতিবেদনে জানায়, তাদের সদস্য নন এমন কোনো পরিচালকের নির্মিত কোনো অনুষ্ঠান সম্প্রচার করা থেকে বিরত থাকতে চ্যানেলগুলোকে অনুরোধ করেছে ডিরেক্টর গিল্ড। এ বিষয়ে চ্যানেলগুলোকে চিঠি দেওয়া হবে।
এ বিষয়ে প্রথম আলোকে ডিরেক্টরস গিল্ডের সহসভাপতি শিহাব শাহীন বলেন, ‘বহুদিন ধরেই এই চেষ্টা চলছে। কারণ নাটকের নানা অসামঞ্জস্য নিয়ে প্রায়ই আমাদের প্রশ্নের মুখোমুখি হতে হয়। দেখা যায় যাকে নিয়ে কথা হচ্ছে তিনি আমাদের সংগঠনের সদস্যই নন। সাংগঠনিকভাবে এটা করার উদ্দেশ্য—কাজের জায়গায় এক ধরনের স্বচ্ছতা, জবাবদিহি তৈরি করা, নিয়ম–শৃঙ্খলার মধ্যে কাজ করা। তাহলে বিতর্কিত কিছু বা কোনো সমস্যা হলে নিজেরা মিলেই সমাধানের পথ খুঁজে পাওয়া যাবে। প্রায় সব টেলিভিশন চ্যানেলই আমাদের সঙ্গে একমত প্রকাশ করেছে। তারাও একটি শৃঙ্খলার মধ্যে কাজ করতে চায়।’
ডিরেক্টর গিল্ডের প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, ইতিমধ্যে টেলিভিশন চ্যানেল, মন্ত্রণালয় ও দেশের বিভিন্ন থানাসহ গুরুত্বপূর্ণ জায়গাগুলোর নীতিনির্ধারকদের সঙ্গে মৌখিক আলোচনা হয়েছে। টেলিভিশন চ্যানেলসহ অন্যান্য সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানে চিঠির মাধ্যমে নির্মাতাদের নামের লিস্ট পাঠানো হবে। চ্যানেল কর্তৃপক্ষ ডিরেক্টরস গিল্ডের সদস্য নন এমন কোনো পরিচালকের নির্মিত কোনো অনুষ্ঠান সম্প্রচার করবে না। সংশ্লিষ্ট অন্য প্রতিষ্ঠানগুলোও শুধু ডিরেক্টরস গিল্ডের নিয়মিত সদস্যদের সহযোগিতা করবে।
সাধারণ সম্পাদক কামরুজ্জামান সাগর বলেন, ‘সবার সহযোগিতায় আগামী ডিসেম্বর মাস থেকে নিয়মটি কার্যকর হতে যাচ্ছে। এখানে সবার জন্য একই নিয়ম থাকবে। সিনিয়র নির্মাতা যাঁরা নাটক নির্মাণ করতে চান, তাঁরাও আমাদের সদস্য হয়ে কাজ করতে পারবেন। তাঁদের অনুরোধ করব সদস্য হতে। আমাদের সংগঠনের পক্ষ থেকে সব ধরনের সহযোগিতা করব।’
এ খবর প্রকাশের পর সোশ্যাল মিডিয়ায় অনেকে সমালোচনা করেছেন। একে তার বাংলাদেশের সংবিধান পরিপন্থী বলেন উল্লেখ করেন। আবার কেউ কেউ বিদ্রূপে মেতেছেন।