ঢাকার ছবিতে কম দেখা যায় কেন?
‘আসলে আমি যে ধরনের কাজ করতে চাই, সেগুলো বাংলাদেশে কম হচ্ছে। টু মাচ কর্মাশিয়াল ছবি ওখানে তৈরি হচ্ছে। দর্শকও দেখছেন। আমি অনেক বেশি অর্থবহ ছবি করতে চাই। যেখানে অভিনয়ের জায়গা রয়েছে।’— ঢাকার সিনেমায় অভিনয় করা না করা প্রসঙ্গে এমনটা বলেন জয়া আহসান।
১ জুলাই ছিল এই অভিনেত্রীর জন্মদিন। ওই উপলক্ষে নেওয়া সাক্ষাৎকারে নানা বিষয়ে কথা বলেন জয়া। ‘কাজের ক্ষেত্রে কমফর্ট জোন কোথায় বেশি?’ এমন প্রশ্নের উত্তরে বলেন, ‘আমি ভারত-বাংলাদেশ দু’জায়গাতেই স্বচ্ছন্দ। তবে ভারতে সব আলাদা ডিপার্টমেন্ট। তাই টলিউডে কাজ করাটা অনেক আরামের। বাংলাদেশে অনেক বেশি নিজের দায়িত্বে কাজ করতে হয়। কস্টিউম কী পরব নিজেকে ভাবতে হয়, বা কোনও কোনও ক্ষেত্রে আর্টিস্ট হিসেবেও মাথা ঘামাতে হয়। হলেরও সমস্যা আছে। দর্শকদের হলে যাওয়ার প্রবণতা কমে গিয়েছে। সেটা আবার ফিরিয়ে নিয়ে আসা, রুচির পরিবর্তন— এ সব নিয়ে ভাবতে হবে। একটু সময় লাগবে হয়ত। তবে ভাল ছবির জন্য সরকার অনুদান দিচ্ছে, সেটা খুব ভাল। আসলে ভাল কাজের জন্য প্রযোজকের খুব অভাব ওখানে।
ভারত-বাংলাদেশ যৌথ প্রযোজনা সম্পর্কে বলেন, “আমার এখানকার ইন্ডাস্ট্রির লোকেরা বলছেন, এই ছবিগুলো একদম চলছে না। কয়েক দিন হলে থেকেই চলে যাচ্ছে। ফলে দু’দেশেই ভাল ভাবে চলছে এমনটা নয় কিন্তু। এই প্রজেক্টের কোনও ছবিই আমি হিট বলতে পারছি না। এখনও পর্যন্ত পজিটিভ কিছু দেখছি না। তবে ‘মনের মানুষ’ বা ‘শঙ্খচিল’-এর মতো ছবি আরও হওয়া উচিত। আসলে বাণিজ্যের বাইরে গিয়ে সংস্কৃতির বিষয়টা মাথায় রেখে কাজ হওয়া উচিত।”
যৌথ প্রযোজনায় অভিনয় না করা নিয়ে বলেন, ‘আমি কনভিন্সড হইনি বলে কাজ করিনি।’
মুক্তির মিছিলে রয়েছে জয়া আহসান অভিনীত দুই বাংলাদেশি ছবি ‘খাঁচা’ ও ‘পুত্র’। শুটিং চলছে ‘লাল মোরগের ঝুঁটি’ ও ‘পেয়ারার সুবাস’র। হাতে আছে সরকারি অনুদানের ‘বিউটি সার্কাস’ ও ‘দেবী’। ‘দেবী’র প্রযোজক জয়া নিজেই।