তমা মির্জার তিন সিনেমা অনিশ্চিত
বাংলাদেশের চলচ্চিত্রে ডিজিটাল প্রযুক্তিতে অগ্রগণ্য প্রতিষ্ঠান দ্য রেইন পিকচার্স। প্রতিষ্ঠানটি চলচ্চিত্র নির্মাণের ঘোষণা দিয়েছিল। তিনটি সিনেমারই নায়িকা ছিলেন তমা মির্জা। বেশ কিছুদিন ধরে সিনেমাগুলোর কোনো খবর নেই। ফলে তমার ক্যারিয়ারের তিনটি বড় কাজ অনিশ্চিত হয়ে পড়ল। খবর মানবজমিন।
তমা নতুন প্রজন্মের গ্ল্যামারাস ও প্রতিভাময়ী অভিনেত্রী। কিন্তু বড় কোনো ব্যানারের সঙ্গে যুক্ত না হওয়ায় ঝলসে উঠতে পারেননি। সর্বশেষ রেইন পিকচার্সের ঘটনায় আরেক দফা তা-ই দেখা গেল।
রেইনের প্রথম ছবির নাম লাভলী (মন বোঝে না)। শ্রীলঙ্কার শুরু হয়েছিল আরেফিন শুভ ও তমা মির্জাকে নিয়ে এ ছবির শুটিং। শুরুতেই ঘাপলা লেগে গিয়েছিল পরিচালক ছিলেন সোহানুর রহমান সোহানের সঙ্গে। আউটডোরে যাবার আগের দিন তিনি ছবিটি ছেড়ে দেন। তখন রেইন পিকচার্সের কর্ণধার ফয়েজুল ইসলাম শাহিন নিজেই আউটডোরে চিত্রপরিচালক ও চিত্রগ্রাহকের দায়িত্ব পালন করেন। পরবর্তীতে দেশে ফিরে ছবি শেষ করার দায়িত্ব দেন শাহাদাৎ হোসেন লিটনকে।
লিটন ছবিটির শুটিং শেষ করার আগে শাহিন ঘটা করে দুটি ছবির মহরত করেন। ছবি দুটির নাম ‘মিশন আমেরিকা’ ও ‘বয়ফ্রেন্ড গার্লফ্রেন্ড’। ‘মিশন আমেরিকা’ পরিচালনার দায়িত্ব দেন আশিকুর রহমানকে এবং ‘বয়ফ্রেন্ড গার্লফ্রেন্ড’ ছবি পরিচালনার দায়িত্ব নেন তিনি নিজেই। সিনেমা দুটির নায়ক আমেরিকা প্রবাসী বাংলাদেশী এবং ‘লাভ ইন আমেরিকা’ ছবির নায়ক প্রযোজক ফয়সাল আজিজের ছেলে শায়ের আজিজ। আমেরিকায় এ দুটি ছবির শুটিং হওয়ার কথা।
কিন্তু বর্তমানে দ্য রেইন পিকচার্সের কর্ণধার ফয়েজুল ইসলাম শাহিন ছবিগুলো নিয়ে ভাবতে চাইছেন না।
ছবি তিনটির মধ্যে ‘লাভলী’র কাজ প্রায় শেষ। কিন্তু আপাতত ছবিটি মুক্তি দেয়ার কোন ইচ্ছাই তাদের নেই। ইচ্ছা নেই ‘মিশন আমেরিকা’ ও ‘বয়ফ্রেন্ড গার্লফ্রেন্ড’ ছবি দুটি কাজও শুরু করার।
এ বিষয়ে দ্য রেইন পিকচার্সের কর্ণধার ফয়েজুল ইসলাম শাহিন মানবজমিনকে বলেন, ‘বাংলাদেশের ডিজিটাল প্রযুক্তিতে চলচ্চিত্র নির্মাণ প্রচলন আমিই প্রথম করি। কিন্তু আমার কিছু ব্যক্তিগত ভুলের কারণে এবং না বুঝে ছবি প্রযোজনা করতে গিয়ে আমি মূলত আমার স্বপ্নের প্রতিষ্ঠান দ্য রেইন পিকচার্সের ক্ষতি করে ফেলি।’
তিনি আরো বলেন, ‘কিছু মানুষকে বিশ্বাস করতে গিয়ে আমি ঠকেছি। আমার একটি ক্যামেরা প্রায় দেড় বছর যাবৎ ব্যাংককে আটকে আছে। ছবির প্রযোজক পরিচালক উধাও। ছবি প্রযোজনা করতে গিয়ে নানান জটিলতার কারণে মানসিকভাবে বিপর্যস্ত আমি। কিন্তু আমার পরিবারের উৎসাহ অনুপ্রেরণা এবং আমার কিছু শুভাকাঙ্ক্ষীর সহায়তায় আমি আবার নতুন করে শুরু করেছি। তবে এখন আমার ধ্যানজ্ঞান সবকিছুই হচ্ছে দ্য রেইন পিকচার্স। আবার এটা আমি শক্তভাবে দাঁড় করাবো। ছবি প্রযোজনার বিষয়টি পরে ভাববো।’