দর্শক ফিরলেই প্রেক্ষাগৃহে ‘মিশন এক্সট্রিম’
ঈদুল ফিতরে মুক্তি পাবে ‘মিশন এক্সট্রিম‘- এমনটা ছিল ঠিকঠাক। কিন্তু বাঁধ সাধলো করোনাভাইরাস। দেশের সকল সিনেমা বন্ধ গত ১৮ মার্চ থেকে, কবে খুলবে তার কোনো ঠিক নেই। তাহলে সিনেমাটি মুক্তি নিয়ে নির্মাতাদের পরিকল্পনা কী?
কপ ক্রিয়েশন’র ব্যানারে নির্মিত হয়েছে ‘মিশন এক্সট্রিম’। ইতোমধ্যে এর দুটি পর্বের শুটিং শেষ হয়েছে। ছবিটি পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিট তথা ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের ‘সিটিটিসি’র কিছু শ্বাসরুদ্ধকর অভিযান নিয়ে এর গল্প।
যৌথভাবে ‘মিশন এক্সট্রিম’ নির্মাণ করেছেন সানী সানোয়ার ও ফয়সাল আহমেদ। সারাবাংলা ডটনেটের সাথে আলাপে মুক্তির ব্যাপারে খুব একটা আশার বাণী শোনাতে পারেননি সানী সানোয়ার। বলেন, ‘আমরা আসলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ার অপেক্ষা করছি। সবকিছু স্বাভাবিক হলে মুক্তির তারিখ নিয়ে চিন্তা করবো।’
সকল সিনেমা হল খুলে দেওয়ার পরও তো মানুষ প্রথম ২-৩ মাস কোন হলে যেতে ভয় পাবে। অনেক কম থাকবে দর্শক সংখ্যা। সে কথা মাথায় রয়েছে সানী সানোয়ারের। তারপরও তাদের ভাবনা সিনেমা হলে মুক্তি। তিনি বললেন, ‘আমাদের ছবিটি বেশ বড় বাজেটের। হুট করে মুক্তি দিলে হবে না। আমরাও এখন পর্যন্ত সিনেমা হলেই মুক্তি দিতে চাই। তবে দর্শক হলে আসার পরিমাণ স্বাভাবিক হলেই কেবল মুক্তি দেব।’
বলিউডের অনেক বড় বাজেটের ছবি ওটিটি প্ল্যাটফর্ম অর্থাৎ ডিজিটাল ভিডিও স্ট্রিমিং সাইটে মুক্তির ঘোষণা আসছে। তাহলে কি সে ভাবনা নেই তাদের মাথায়? জানালেন সানী, ‘আমাদের সাথে অনেকগুলো প্ল্যাটফর্মের কথা হচ্ছে। কোন কিছুই চূড়ান্ত নয়। কিন্তু এখনও সিনেমা হল প্রধান লক্ষ, কারণ প্রধান আয়টা ওই জায়গা থেকে আসে।’
‘মিশন এক্সট্রিম’র প্রধান চরিত্রে অভিনয় করেছেন আরিফিন শুভ, জান্নাতুল ফেরদৌস ঐশী, তাসকিন রহমান, সাদিয়া নাবিলা, সুমিত সেনগুপ্ত, শতাব্দী ওয়াদুদ, মাজনুন মিজান, ইরেশ জাকের, মনোজ প্রামাণিক, আরেফ সৈয়দ, রাশেদ মামুন অপু, এহসানুল রহমান, দীপু ইমাম প্রমুখ।