Select Page

২৫ বছরে ‘স্বপ্নের ঠিকানা’: পাত্তা না পাওয়া ছবিটি এখন অলটাইম ব্লকবাস্টার

২৫ বছরে ‘স্বপ্নের ঠিকানা’: পাত্তা না পাওয়া ছবিটি এখন অলটাইম ব্লকবাস্টার

ঈদুল আজহার প্রথম সপ্তাহে ঢাকার কোন হল মালিক ছবিটি চালাতেই চায়নি। ঢাকার বাইরের সিনেমা হলগুলোর ‘হাউজফুল’ বোর্ড তাদের এক প্রকার বাধ্য করে ‘স্বপ্নের ঠিকানা’ চালাতে। সেই ছবি এখন ঢালিউডের অন্যতম অলটাইম ব্লকবাস্টার।

সালমান শাহ ও জনপ্রিয় নায়িকা শাবনূর অভিনীত ও এম এ খালেক পরিচালিত ছবিটির ২৫ বছর পূর্তি হলো সোমবার। ১৯৯৫ সালের ১১ মে ঈদ উপলক্ষে মুক্তি পায় ছবিটি।

‘অচিরেই আসছে আপনার প্রেক্ষাগৃহে/শাশ্বত প্রেমের অবিস্মরণীয় চিত্ররূপ’— এমন ক্যাপশনে ছাপা হয়েছিলো ‘স্বপ্নের ঠিকানা’র পত্রিকার বিজ্ঞাপন। গল্প আহামরি না হলেও দর্শক হৃদয়ে দিয়ে ছিলো দোলা।

বাংলা চলচ্চিত্রের ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি ব্যবসাসফল ছবি ‘বেদের মেয়ে জোসনা’। এরপরেই আছে ‘স্বপ্নের ঠিকানা’।

প্রযোজক মো. নুরুল ইসলাম পারভেজ জানিয়েছিলেন তিনি ১৮ কোটি টাকা আয় করেছেন। আরও অনেক টাকা হল মালিকদের কাছ থেকে তার পাওনা ছিল। তা আর ফেরত পাওয়া হয়নি।

শাবনূর এক গরীব ফুল বিক্রেতা। তার নাম সুমী। অন্যদিকে ধনীর দুলাল সালমান শাহ্‌ তথা সুমন। দুজনের মধ্যে প্রেম-ভালোবাসা। কিন্তু দুর্ঘটনায় সুমন স্মৃতিশক্তি হারিয়ে ফেললে তার জীবনে আসে নতুন আরেকজন। তখন সুমীর সামনে ভালোবাসার অগ্নিপরীক্ষা। পারবে কি প্রেমিককে সুস্থ করে তুলে নিজের হারানো প্রেম ফিরে পেতে? এমনই গল্পের ছবি ‘স্বপ্নের ঠিকানা’।

তরুণদের হৃদয়ে প্রেমের এমন পরীক্ষা বেশ দাগ কেটেছিল। আর তো ছিল সালমান-শাবনূরের অসাধারণ রোমান্স, অভিনয়। যা ছিলো ছবিটির ‘ইউনিক সেলিং পয়েন্ট (ইউএসপি)’। আরেক ‘ইউএসপি’ এর গান। ‘এই দিন সেই দিন কোনোদিন তোমায় ভুলবোনা/চলতে চলতে পাবো দুজন স্বপ্নের ঠিকানা’সহ ছবির সব কটি গান ছিলো তখনকার সময়ে রেডিও’র টপচার্টে।

এটলাস মুভিজের প্রযোজনায় ছবিতে আরও ছিলেন রাজিব, আবুল হায়াত, ডলি জহুর, দিলারা ও সোনিয়া।

সে বছরের ঈদে আরও পাঁচটি ছবি মুক্তি পায়— মুক্তির সংগ্রাম, ভাংচুর, সংসারে সুখ দুঃখ, বুকের ধন ও বাংলার কমান্ডো। বুকের ধন ও বাংলার কমান্ডো ব্যতীত সব কয়টি ছবিই ব্যবসা সফল হয়। কিন্তু ‘স্বপ্নের ঠিকানা’ পরিণত হয় অলটাইম ব্লকবাস্টারে।

সারাবাংলা ডটনেটের প্রতিবেদন অবলম্বনে


মন্তব্য করুন