দেখতে যেমন ‘সিক্স’
‘সিক্স’ ক্রাইম থ্রিলার ও সাইফাই ঘরানার মিশ্রণে ছয় এপিসোডের সিরিজ …
শিল্পী তালিকায় যদি থাকেন তারিক আনাম খান, সাদিয়া ইসলাম মৌ, মানস বন্দ্যোপাধ্যায়, ইফতেখার আহমেদ ফাহমী, সোহেল মন্ডল, ইয়াশ রোহান, অপর্ণা ঘোষ ও দিলরুবা দোয়েল এবং ট্রেলার যদি ভালো কিছুর আভাস দেয় তাহলে স্বাভাবিকভাবেই আলাদা একটা আগ্রহ তৈরি হয়।
‘সিক্স’ ক্রাইম থ্রিলার ও সাইফাই ঘরানার মিশ্রণে ছয় এপিসোডের সিরিজ, সম্প্রতি রিলিজ পেয়েছে ভারতীয় ওটিটি প্ল্যাটফর্ম ‘ইরোস নাউ’তে। বাংলাদেশে আনুষ্ঠানিকভাবে প্ল্যাটফর্মটি যাত্রা শুরু করেছে তানিম পারভেজের রচনা ও পরিচালনায় এ ওয়েব সিরিজের মাধ্যমে।
সিরিজের প্রথম এপিসোডের সূচনাই এমন কিছু দৃশ্য আর শব্দের মাধ্যমে, যা পুরো এপিসোড দেখার জন্য আগ্রহী করে তোলে। আগুনের লেলিহান শিখার মাঝেই একটি শিশুর আর্তনাদ মেশানো কান্নার শব্দের সাথে পাশে একজন মহিলার অচেতন দেহ। আবার একজন মানুষ আগুন লাগা সেই ঘর থেকে বের হতে চাচ্ছে নিজেকে বাঁচানোর জন্য। এমন দৃশ্য দিয়ে যে সিরিজ শুরু সেটা স্বাভাবিকভাবেই মনে অনেক প্রশ্নের জন্ম দেয়।
হ্যাঁ এটা ভিন্ন বিষয় যে, রুচি, চাহিদা এবং পছন্দ-অপছন্দ ভেদে পুরো সিরিজটি নানা কারনেই কারো কাছে খারাপ লাগতে পারে আবার কারো কাছে খুবই ভালো। তবে নির্মাতা তানিম পারভেজ গল্পের শুরু যেভাবে করলেন তা নজরকাড়া তো বটেই।
প্রতিটা এপিসোডের ব্যাপ্তি ৩০-৩৫ মিনিট। ছয় এপিসোডের এই সিরিজের প্রতিটা এপিসোডেই গল্প এবং চিত্রনাট্য নিয়ে বেশ নিরীক্ষা করা হয়েছে। এমন ঘরানার কাজ আমাদের দেশে কম হয় তাই নতুনত্ব নিয়েই নির্মাতা এবং তার পুরো টিম ব্যতিক্রমী একটি ফিকশন উপহার দিয়েছেন। একটি ল্যাব ও একে ঘিরে কিছু অসাধু চক্রের মানুষজনের অবৈধ কাজকর্ম যেমন গল্পে স্থান পেয়েছে তেমনি বৈজ্ঞানিক পরীক্ষামূলক কার্যক্রমও দেখা গিয়েছে। এবং পুরো ঘটনার সাথে জড়িত কিছু মানুষের টানাপোড়েনের গল্পও বলা হয়েছে।
কিছু কিছু জায়গায় গল্প, চিত্রনাট্য, সংলাপ নিয়ে উতরে গেলেও আবার অনেক জায়গায় দূর্বলও লেগেছে ‘সিক্স’। গল্প অনেক জায়গায় যতটা শক্তভাবে সামনে আসার দরকার ছিলো তা না হয়ে খেই হারিয়েছে আবার ডাবিং নিয়েও একটা আক্ষেপ রয়ে গেছে। আরো একটু সময় নিয়ে ডাবিং সম্পন্ন করলে ভালো তো হতোই, সাথে দর্শকের মনোযোগ ছুটে যেতো না। ব্যা
কগ্রাউন্ড স্কোর ভালো তবে টেকনিক্যাল ডিপার্টমেন্টে সবচেয়ে দূর্বল লেগেছে কালার গ্রেডিং। এই সময়ে আমরা অনেক সিরিজ বা ওয়েবফিল্মেই এরচেয়ে ভালো কালার দেখেছি তাই এখন এমন কালার কারেকশন চোখে লাগে। তবে ব্যতিক্রমী কনটেন্টে ভিন্নধর্মী নির্মাণ এবং অভিনয়শিল্পীদের দক্ষতায় ‘সিক্স’ একটি নতুন ধরনের প্রচেষ্টা হিসেবে বেশ ভালো।