ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে বাংলা চলচ্চিত্র !!
বাংলাদেশ স্বাধীন হবার প্রায় ৪২ বছর পর আমাদের চলচ্চিত্রকে সরকার “শিল্প” হিসেবে যখন ঘোষণা দিলো তখন ধারণা করেছিলাম এইবার বোধহয় বাংলাদেশি চলচ্চিত্র মুখ তুলে দাঁড়াবে এবং আমরা একটা অসাধারণ সময়ের মধ্যে ছিলাম যখন একের পর এক দুর্দান্ত সব চলচ্চিত্র নির্মিত হচ্ছে এবং নতুন বেশ কিছু পরিচালক, লেখক এবং অভিনেতা-অভিনেত্রি খুঁজে পেয়েছি আমরা, যাদের নিয়ে বিশ্ব চলচ্চিত্র অঙ্গনে আমরা গর্ব করতে পারি রীতিমত আর ঠিক এমনই একটা সময়ে ভারতীয় চলচ্চিত্র প্রচারের অনুমতি প্রদান করে তিল তিল করে গড়ে উঠা এই শিল্পকে ধ্বংসের দ্বার প্রান্তে নিয়ে গেছে…
যখন আমাদের টেলিভিশন চ্যানেলের সংখ্যা কম ছিলো তখন ভারতীয় চ্যানেল প্রচারের মাধ্যমে আমাদের দর্শকদের বিনোদন দেয়ার কথা বলা হলেও সেটা আদতে বর্তমানে কি রুপ ধারণ করেছে সেটা আমি আপনি সকলেই জানি, আজকে যদি আমাদের প্রেক্ষাগৃহে তাদের চলচ্চিত্র প্রদর্শনের অনুমতি দেয়া হয় তাহলে ধীরে ধীরে অবস্থা যে সেদিকে পৌছাবে তা আর ভাবতে দ্বিতীয় কোন প্রশ্ন লাগেনা।
আমি চলচ্চিত্রের অবাধ প্রচারের বিশ্বাসী, তবে এই মুহুর্তে সেইটা আমাদের মৃত্যুর কারন হয়ে দাঁড়াবে, যদি ভারতীয় চলচ্চিত্র প্রদর্শন করতেই হয় তাহলে সেটা আরো অনেকটা পরে যখন আমরা মাথা উঁচু করে দাঁড়াবো তখন করা উচিত, আর যেখানে আমাদের চলচ্চিত্রের সর্বোচ্চ বাজেট থাকে ১ কোটি টাকা, সেখানে তাদের ২০০ কোটি টাকা খরচ হয়… আমাদের জন্য লড়াইয়ের অবস্থান এখনো শক্ত হয়নি, সরকারের এহেন আত্মহত্যার সিদ্ধান্ত আমাকে অবাক করে তুলেছে।
আমি তীব্র ধিক্কার জানাই।