Select Page

ধ্বংস যুগের আগের অধ্যায়ে বাংলাদেশের চলচ্চিত্র

ধ্বংস যুগের আগের অধ্যায়ে বাংলাদেশের চলচ্চিত্র

আমার কাজই হলো আপনাদের অতীতে নিয়ে যাওয়া। আজ আপনাদের আবার একটু পেছনে ফিরিয়ে নিয়ে যাই। বিস্তারিত কথায় যাওয়ার আগে আপনাদের কিছু তথ্য প্রমানস্বরূপ দিলাম। চলচ্চিত্র নিয়ে যারা কাজ করেন তারা নিচের তথ্যগুলো খুব ভালো করে একটু লক্ষ্য করেন।

জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার ১৯৯১
শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র- পদ্মা মেঘনা যমুনা,
শ্রেষ্ঠ পরিচালক – এ জে মিন্টু (পিতা মাতা সন্তান),
শ্রেষ্ঠ অভিনেতা – আলমগীর (পিতা মাতা সন্তান),
শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী – শাবানা (অচেনা),
শ্রেষ্ঠ পার্শ্বচরিত্রে অভিনেতা – রাজিব (দাঙ্গা),
শ্রেষ্ঠ পার্শ্বচরিত্রে অভিনেত্রী – নতুন (স্ত্রীর পাওনা),
শ্রেষ্ঠ সঙ্গীত পরিচালক – খন্দকার নুরুল আলম (পদ্মা মেঘনা যমুনা),
শ্রেষ্ঠ স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র – ‘গোধূলী’,
শ্রেষ্ঠ কাহিনীকার – মোহাম্মদ মহিউদ্দিন (পদ্মা মেঘনা যমুনা),
শ্রেষ্ঠ স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র – ‘গোধূলী’,
শ্রেষ্ঠ কাহিনীকার – মোহাম্মদ মহিউদ্দিন (পদ্মা মেঘনা যমুনা),
শ্রেষ্ঠ সঙ্গীতশিল্পী (পুরুষ) – অ্যান্ড্রু কিশোর (পদ্মা মেঘনা যমুনা),
শ্রেষ্ঠ সঙ্গীতশিল্পী (নারী) – সাবিনা ইয়াসমিন (দাঙ্গা),
শ্রেষ্ঠ গীতিকার – নুরুল ইসলাম বাবু (পদ্মা মেঘনা যমুনা),
শ্রেষ্ঠ চিত্রগ্রাহক – আবু হেনা বাবলু (পিতা মাতা সন্তান)

জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার ১৯৯২
শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র – শঙ্খনীল কারাগার,
শ্রেষ্ঠ পরিচালক – মতিন রহমান (অন্ধ বিশ্বাস),
শ্রেষ্ঠ অভিনেতা – আলমগীর (অন্ধ বিশ্বাস),
শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী – ডলি জহুর (শঙ্খনীল কারাগার),
শ্রেষ্ঠ পার্শ্বচরিত্রে অভিনেতা মিজু আহমেদ (ত্রাস),
শ্রেষ্ঠ পার্শ্বচরিত্রে অভিনেত্রী – আনোয়ারা (রাধা কৃষ্ণ),
শ্রেষ্ঠ সঙ্গীত পরিচালক – আলম খান (দিনকাল),
শ্রেষ্ঠ স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র – ধূসর যাত্রা
শ্রেষ্ঠ কাহিনীকার – হুমায়ূন আহমেদ (শঙ্খনীল কারাগার),
শ্রেষ্ঠ চিত্রনাট্যকার কাজী হায়াৎ (ত্রাস),
শ্রেষ্ঠ সংলাপ রচয়িতা কাজী হায়াৎ (ত্রাস),
শ্রেষ্ঠ সঙ্গীতশিল্পী (পুরষ) – সৈয়দ আব্দুল হাদী (ক্ষমা),
শ্রেষ্ঠ সঙ্গীতশিল্পী (নারী) – সাবিনা ইয়াসমিন (রাধা কৃষ্ণ)।

জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার ১৯৯৩
সেরা চলচ্চিত্র – পদ্মা নদীর মাঝি,
সেরা পরিচালক – এ জে মিন্ট (বাংলার বধু)
সেরা অভিনেতা – রাইসুল ইসলাম আসাদ (পদ্মা নদীর মাঝি),
সেরা অভিনেত্রী – চম্পা (পদ্মা নদীর মাঝি),
সেরা পার্শ্বচরিত্রে অভিনেত্রী – আনোয়ারা (বাংলার বধু)
সেরা সঙ্গীত পরিচালক – আজাদ রহমান (চাঁদাবাজ),
সেরা কাহিনীকার – কাজী হায়াৎ (চাঁদাবাজ)
সেরা চিত্রনাট্যকার – এ জে মিন্ট (বাংলার বধু),
সেরা সংলাপ রচয়িতা – সেলিম আল দীন (একাত্তরের যিশু),
সেরা সঙ্গীতশিল্পী (পুরুষ) – আজাদ রহমান (চাঁদাবাজ)
সেরা সঙ্গীতশিল্পী (নারী) – ফরিদা পারভীন (অন্ধ প্রেম),
সেরা গীতিকার – হাসান ফকির (চাঁদাবাজ) (বাংলার বধু)

জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার ১৯৯৪
সেরা চলচ্চিত্র – আগুনের পরশমণি ও দেশপ্রেমিক,
সেরা পরিচালক – কাজী হায়াৎ (দেশপ্রেমিক),
সেরা অভিনেতা – আলমগীর (দেশপ্রেমিক),
সেরা অভিনেত্রী – বিপাশা হায়াৎ (আগুনের পরশমণি),
সেরা পার্শ্বচরিত্রে অভিনেতা – অমল বোস (আজকের প্রতিবাদ),
সেরা পার্শ্বচরিত্রে অভিনেত্রী – আনোয়ারা (অন্তরে অন্তরে),
সেরা সঙ্গীত পরিচালক – সত্য সাহা (আগুনের পরশমণি),
সেরা স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র – ঠিকানা (পরিচালক রেজানুর রহমান),
সেরা কাহিনীকার – হুমায়ূন আহমেদ (আগুনের পরশমণি),
সেরা চিত্রনাট্যকার – কাজী হায়াৎ (দেশপ্রেমিক),
সেরা সংলাপ রচয়িতা – হুমায়ূন আহমেদ (আগুনের পরশমণি),
সেরা সঙ্গীতশিল্পী (পুরুষ) – খালিদ হাসান মিলু (হৃদয় থেকে হৃদয়),
সেরা সঙ্গীতশিল্পী (নারী) – রুনা লায়লা (অন্তরে অন্তরে),
সেরা গীতিকার – মাসুদ করিম (হৃদয় থেকে হৃদয়),
সেরা চিত্রগ্রাহক – কাজী বশির ও হাসান আহমেদ (ঘৃণা) ও (ঘরের শত্রু),
সেরা চলচ্চিত্র – অন্য জীবন,
সেরা পরিচালক – শেখ নিয়ামত আলী (অন্য জীবন),
সেরা অভিনেতা – রাইসুল ইসলাম আসাদ (অন্য জীবন)
সেরা অভিনেত্রী – চম্পা (অন্য জীবন),
সেরা পার্শ্বচরিত্রে অভিনেতা – আবুল খায়ের (অন্য জীবন),
সেরা পার্শ্বচরিত্রে অভিনেত্রী – শান্তা ইসলাম (অন্য জীবন),
সেরা স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র – মুক্তির গান (তারেক মাসুদ ও ক্যাথরিন মাসুদ),
সেরা কাহিনীকার – তানভীর মোকাম্মেল (নদীর নাম মধুমতি),
সেরা চিত্রনাট্যকার – শেখ নিয়ামত আলী (অন্য জীবন),
সেরা সংলাপ রচয়িতা – তানভীর মোকাম্মেল (নদীর নাম মধুমতি),
সেরা সঙ্গীতশিল্পী (পুরুষ) – সাইদুর রহমান বয়াতী (নদীর নাম মধুমতি),
সেরা সঙ্গীতশিল্পী (নারী) – কনক চাঁপা (লাভ স্টোরি)।।

জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার ১৯৯৬
সেরা চলচ্চিত্র – পোকা মাকড়ের ঘর বসতি (প্রযোজক ববিতা),
সেরা পরিচালক – মোহাম্মদ আখতারুজ্জামান (পোকা মাকড়ের ঘর বসতি),
সেরা অভিনেতা – সোহেল রানা – (অজান্তে),
সেরা অভিনেত্রী – শাবনাজ (নির্মম),
সেরা পার্শ্বচরিত্রে অভিনেতা – বুলবুল আহমেদ (দীপু নাম্বার টু),
সেরা সঙ্গীত পরিচালক – সত্য সাহা (অজান্তে)

খুব ভালো করে উপরের তথ্যগুলো একটু দেখুন। এতগুলো তথ্য কেন আপনাদের দিলাম? কারন আমাদের চলচ্চিত্র শিল্প ধ্বংস যুগে প্রবেশের শেষ ৫ বছরের সংক্ষেপে কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য আপনাদের দেয়া, প্রমান স্বরূপ যে আমাদের চলচ্চিত্র শিল্প কারিগরি উন্নতি ব্যতীতই ভালোভাবেই এগুচ্ছিল। খুব ভালো করে লক্ষ্য করুন মূলধারার বাণিজ্যিক মসলাদারের মধ্যে যেমন সেরা ছবিগুলো পুরস্কৃত হয়েছে ঠিক তেমনি বিকল্পধারার আগুনের পরশমণি, শঙ্খনীল কারাগার, গোধূলি, পদ্মা নদীর মাঝি, অন্যজীবন, পোকা মাকড়ের ঘর বসতি, মুক্তির গান এর মতো চলচ্চিত্রগুলোকে জাতীয় পুরস্কার দিয়ে সম্মানিত করা হয়েছে। আবার পদ্মা মেঘনা যমুনা, পিতা মাতা সন্তান, ত্রাস, চাঁদাবাজ, অন্ধ প্রেম, দাঙ্গা, বাংলার বধু, দেশপ্রেমিক, আজকের প্রতিবাদ, কমান্ডার, ঘৃণা, অজান্তে ছবিগুলোর মতো গতানুগতিক মাশালাদার ছবিগুলোর মধ্যে থেকেও সেরা ছবিগুলোকে পুরস্কৃত করে সম্মানিত করা হয়েছে এবং বাণিজ্যিক ধারার ভালো ছবিগুলোকে উৎসাহ দেয়া হয়েছে।

লক্ষ্য করুন ১৯৯৩ সালের শ্রেষ্ঠ ছবি ‘পদ্মা নদীর মাঝি’ কিন্তু শ্রেষ্ঠ পরিচালক এ জে মিন্টু (বাংলার বধু) হয়েছেন। অর্থাৎ বাণিজ্যিক ছবির ভিড়ে পদ্মা নদীর মাঝি যে সেরা ছবি সেটা নিয়ে কোন দ্বিমত হয়নি ঠিক তেমনি বাংলাদেশের চলচ্চিত্রের অন্যতম সেরা পরিচালক এ জে মিন্টু সেটা নিয়েও জুরি বোর্ড কোন পক্ষপাত করেনি। অথচ সেই সময়ে ‘চাঁদাবাজ’ ছবিটিকে আমাদের কাছে মনে হয়েছিল শ্রেষ্ঠ ছবিসহ পরিচালক, অভিনেতার গুরুত্বপূর্ণ পুরস্কারগুলো পেয়ে যাবে। কিন্তু না, কাজীর চাঁদাবাজ পুরস্কৃত হয়েছে, কাজীও পুরস্কৃত হয়েছেন কিন্তু মিন্টুর অসাধারন নির্মাণের কাছে কাজীকে পরাজিত হতে হয়েছিল। মিন্টুর ছবিটি ছিল পারিবারিক গল্পের যে ধরনের পারিবারিক টানাপোড়নে গল্পের সাথে দর্শক এর আগেও পরিচিত ছিলেন কিন্তু মিন্টু সেটাকেও হার মানিয়েছিলেন শুধু মাত্র তাঁর অসাধারন নির্মাণের জন্য। সরকার যদি চাইতো তাদের রাজনৈতিক ধারায় আদর্শে বিশ্বাসী এমন কাউকে পুরস্কৃত করার তাহলে অবশ্যই তা পারতো কিন্তু সেই সময়ে আমাদের চলচ্চিত্র সহ সাংস্কৃতিক অঙ্গন শিল্পীদের রাজনৈতিক পরিচয়টা বড় হয়ে উঠেনি। কাজকে গুরুত্ব দেয়া হতো যা পরবর্তীতে রাজনৈতিক কলুষতায় ধ্বংস হয়ে যায়।

‘চাঁদাবাজ’ ছবিটি কি ছিল? ‘চাঁদাবাজ’ ছবিটি সহজে বলতে গেলে আমাদের কলুষিত রাজনীতি ও সরকারের বিরুদ্ধে একটি জোরালো বক্তব্য প্রধান একটি ছবি। সরকার চাইলে সেই ছবিটিকে পুরস্কার দেয়া তো দুরের কথা নিষিদ্ধ করে দিতে পারতো। শুধু কি চাঁদাবাজ? ভালো করে লক্ষ্য করুন চাঁদাবাজ, ত্রাস, দাঙ্গা, দেশপ্রেমিক সবগুলো ছবি রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গদের মুখোশ উম্মোচনের ছবি ছিল। যে ছবিগুলো আজকের বর্তমান যুগের প্রেক্ষাপটের সাথে সম্পূর্ণ মিলে যায় অথচ সেইগুলো নির্মাণ করার কল্পনাও আজ করা যায় না সেই ছবিগুলোকে সেই সময়ের গণতান্ত্রিক সরকার পুরস্কৃত করেছে যা একজন পরিচালক, শিল্পীর ন্যায্য প্রাপ্য। ১৯৯১ সালের শ্রেষ্ঠ ছবি ‘পদ্মা মেঘনা যমুনা’ যার পরিচালক ছিলেন চাষী নজরুল ইসলাম যিনি সেই সময়কার সরকারের রাজনীতির আদর্শে বিশ্বাসী ছিলেন ও এখনও আছেন। অথচ দেখেন ‘পদ্মা মেঘনা যমুনা’ ছবিটি আরও কয়েকটি শাখায় পুরস্কৃত হয়েছিল কিন্তু শ্রেষ্ঠ পরিচালকের পুরস্কারটি চাষী নজরুল পায়নি। এমনও নয় যে চাষী নজরুলকে শ্রেষ্ঠ পরিচালকের পুরস্কার দিলে সেটা গ্রহণযোগ্য হবে না। চাষী নজরুল কে শ্রেষ্ঠ পরিচালকের পুরস্কার দিলে কোন বিতর্ক হতো না। কিন্তু সরকার তাতে কোন প্রভাবিত হয়নি বরং শ্রেষ্ঠ পরিচালক হিসেবে এ জে মিন্টু’র ‘পিতা মাতা সন্তান’ ছবিটির জন্য পুরস্কৃত করেছিল অথচ মিন্টু সরকার দলীয় রাজনীতির সাথে যুক্ত নন। ‘পদ্মা মেঘনা যমুনা’ নদীর বুকে জেগে উঠা চরের গরীব মানুষগুলোর জীবন ও তাদের নিয়ে রাজনীতির একটি দুর্দান্ত ছবি পক্ষান্তরে ‘পিতা মাতা সন্তান’ ছবিটি সম্পূর্ণ পারিবারিক গল্পের ছবি এবং এখানেও মিন্টু নির্মাণের ক্ষেত্রে দারুন । অথচ সেই সময়ে ‘দাঙ্গা’ ছবির মতো আগুন ঝরানো ছবি যেমন ছিল ঠিক তেমনি অচেনা, সান্ত্বনা, লক্ষ্মীর সংসার, মা মাটি দেশ, মাটির কসম, গাড়িয়াল ভাই, বিশ্বাস অবিশ্বাস, বাসনা, বিদায় ছবিগুলোর মতো অসংখ্য ভালো ভালো ও দর্শক নন্দিত ছবি ছিল কিন্তু মিন্টুর ‘পিতা মাতা সন্তান’ ছবিটি সবাইকে ছাড়িয়ে যায় গল্প, শিল্পীদের অভিনয়, সংলাপ, চিত্রনাট্য সহ হৃদয় ছোঁয়া নির্মাণের জন্য, যার ফলে কেউ প্রশ্ন করেনি মিন্টুকে শ্রেষ্ঠ পরিচালক কেন দেয়া হলো? অর্থাৎ সরকার কোন ধরনের হস্তক্ষেপ করেনি। সেই সময়ের সরকার দলীয়কে আজ অনেকে মুক্তি যুদ্ধের বিপক্ষের শক্তি বলে মনে করে অথচ সেই সরকারই আগুনের পরশমণি, মুক্তির গান, একাত্তরের যীশু, কমান্ডার, ঘাতক ছবিগুলোর মতো মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক বিকল্পধারা ও বাণিজ্যিক ধারার ছবিগুলোকে পুরস্কৃত করে।

আপনারা শুনলে বিস্মিত হবেন যে ১৯৯৮ সালে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারে মাত্র দুটো শাখায় পুরস্কার দেয়া হয় এবং সেই দুই শাখায় পুরস্কার পাওয়া একমাত্র চলচ্চিত্রটি হলো ‘হঠাৎ বৃষ্টি’। প্রশ্ন জাগতে পারে সেই সময়ে কি ‘হঠাৎ বৃষ্টি’ ছাড়া আর কোন ছবি ছিল না? ছিল, অবশ্যই ছিল। ১৯৯১-৯৬ সাল পর্যন্ত পুরস্কারের তালিকায় থাকা যে ধরনের বাণিজ্যিক ছবিগুলোর নাম দেখছেন ঠিক সেই ধরনের ছবিও ৯৮ সালে ছিল কিন্তু কাউকে কোন ধরনের সম্মান জানানো হয়নি বরং সেই সময়ে রাজনৈতিক পরিচয়টা বড় করে দেখা হতো যা এর আগে কোনদিন চলচ্চিত্র শিল্পে দেখা যায়নি। যার ফলে সুস্থাধারার চলচ্চিত্রের পরিচালকগন চলচ্চিত্র থেকে ধীরে ধীরে মুখ ফিরিয়ে নেয়।

আমাদের চলচ্চিত্রে যে সুবাতাসটি শুরু হয়েছিল সরকার পরিবর্তনের পর তা আর বেশিদিন টিকেনি।আমাদের চলচ্চিত্র শিল্প প্রবেশ করে এক অন্ধকার বিভীষিকাময় যুগে। যে যুগটাকে পরোক্ষভাবে রাষ্ট্র মদদ দিয়েছিল যারা এই সুস্থধারাটি পরবর্তীতে ধ্বংস করে দিয়ে আমাদের চলচ্চিত্র শিল্পকে শুধু রাজনৈতিকভাবে কলুষিত করেনি করেছে পুরো শিল্পকে ধ্বংস।


মন্তব্য করুন