Select Page

নারীদের কলিজা কি পুরুষদের চেয়ে বড়?

নারীদের কলিজা কি পুরুষদের চেয়ে বড়?

‘বরবাদ’-এর পর আরো একজন নারী প্রযোজক শাকিব খানের ছবি প্রযোজনায়। খান সাহেবের ছবি মানেই এখন বিশাল বাজেট। ‘বরবাদ’ তো শুনেছি ১৫ কোটি টাকার ছবি। শাকিবের আরো একটা ছবির কথা চলছে। ওটার বাজেট নাকি ৮ কোটি টাকা। বর্তমান নারী প্রযোজকের বাজেট কত আমি জানি না।

তবে অতীতের নারী প্রযোজকদের কথা বলতে পারি।

২০০৮ সালে ‘মনে প্রাণে আছ তুমি’ দর্শকপ্রিয় হওয়ার পর এই ছবির প্রযোজক তাপসী ফারুকের সঙ্গে দারুণ বোঝাপড়া তৈরি হয় খান সাহেবের। পরের বছর ২০০৯ সালে একই ব্যানার থেকে তৈরি হয় ‘আমার প্রাণের প্রিয়া’। ২০১১ সালে তাপসী ফারুক নির্মাণ করেন ‘মনের জ্বালা’। ২০১২ সালে তিনি বানান ‘খোদার পরে মা’। ২০১৩ সালে ‘ফুল এন ফাইনাল’। ২০১৫ সালে ‘লাভ ম্যারেজ’।

‘মনের জ্বালা’ ছাড়া সবগুলো ঈদের ছবি। ২০১৬ সালের ঈদেও শাকিবের ছবি করার কথা তাপসীর সঙ্গে। কিন্তু খান সাহেব চলে গেলেন ‘শিকারী’ করতে। বড় ধাক্কা খেল হার্টবিট। ২০১৮ সালে আবার শাকিব, এবারের ছবি ‘সুপার হিরো’। এই ছবির পর আবার শাকিবের সঙ্গে দূরত্ব তাপসীর। এবার তিনি কলকাতা থেকে বনিকে এনে ছবি করলেন। সেই ছবি তার জীবনের সবচেয়ে বাজে ছবি হয়ে গেল। ছবির নাম ‌’মনে রেখ আমায়’, কিন্তু তাপসী ফারুক মনে রাখতে চাইবেন না ছবিটিকে।

তাপসী ফারুকের স্বামী ফারুক ঠাকুরও বড় বাজেটের ছবি করতেন। ‘সোহরাব রুস্তম’ তাদের ব্যানারের ছবি। খুনের মামলায় ঠাকুর কারাগারে যাওয়ার পর অনেকদিন ছবি হয়নি তাদের ঘর থেকে।

ফিরে এসে তাপসী অনেকগুলো ভাল ছবি ও বড় বাজেটের ছবি ইন্ডাস্ট্রিকে উপহার দেন। নারী প্রযোজক হিসেবে তিনি টানা সাফল্যের পরিচয় দিয়েছেন।

তাই বলছিলাম, নারী প্রযোজকদের কলিজা পুরুষদের চেয়ে বড় কি না।

তবে প্রত্যাশা হচ্ছে, নিয়মিত যেন নারী প্রযোজকরা ছবি করেন, যেমনটা তাপসী করতেন। একটা ছবি করে চলে গেলে হবে না। তাপসীর মতো বাঘের বাচ্চা হতে হবে। প্রতি ঈদে বড়-বড় প্রযোজকদের ছবির সঙ্গে টেক্কা দিয়ে তিনি আসতেন এবং ট্রফিটা হাতে করে চলে যেতেন।


About The Author

মাহফুজুর রহমান

চলচ্চিত্র বিষয়ক লেখক

Leave a reply