Select Page

নির্মাতা চয়নিকা চৌধুরী ‘আটক’

নির্মাতা চয়নিকা চৌধুরী ‘আটক’

নাটক ও চলচ্চিত্র নির্মাতা চয়নিকা চৌধুরীকে রাজধানীর পান্থপথ এলাকা থেকে শুক্রবার সন্ধ্যায় ‘আটক’ করেছে গোয়েন্দা পুলিশ।

বাংলা ট্রিবিউন জনায়, রাজধানীর পান্থপথে গোয়েন্দা পুলিশের কর্মকর্তারা তার গাড়িকে ইশারা করে থামতে বলেন। একপর্যায়ে জিজ্ঞাসাবাদের পর পুলিশ সদস্যরা চয়নিকা চৌধুরীর গাড়িতে ওঠেন। এ সময় গাড়িটি দ্রুতগতিতে এলাকা ত্যাগ করে।

একটি বেসরকারি টিভি চ্যানেলে অনুষ্ঠানে অংশ নেওয়া শেষে সন্ধ্যায় বাসায় ফেরার পথে গোয়েন্দা পুলিশের তল্লাশির মুখে পড়েন পরিচালক চয়নিকা চৌধুরী। পরবর্তীতে তার গাড়িতে কয়েকজন পুলিশ সদস্য ওঠেন এবং ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন।

পুলিশ সদস্যরা চয়নিকা চৌধুরীকে মিন্টু রোড ডিবি কার্যালয়ে নিয়ে যায়। এর আগে পুলিশ সদস্যরা তার সঙ্গে কথা বলতে গেলে তিনি প্রথমে গাড়ির গ্লাস খুলতে রাজি হননি। পরে দরজা খুলে পুলিশ সদস্যরা চয়নিকা চৌধুরীর গাড়িতে ওঠেন।

এ দিকে চয়নিকা চৌধুরীকে আটকের বিষয়টি প্রথম আলোকে নিশ্চিত করেছেন ডিরেক্টর গিল্ডের সভাপতি ও পরিচালক সালাহউদ্দিন লাভলু।

লাভলু জানালেন, ‘আমাকে টেলিভিশন প্রোগ্রাম প্রডিউসার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের সাধারণ সম্পাদক তার আটকের খবরটি জানিয়েছেন।’

চয়নিকা চৌধুরীকে আটক করে নিয়ে যাওয়ার সময় তিনি গাড়ি থেকে আতঙ্কিত হয়ে বলছিলেন, ‘আমাকে কোথায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছে, আমি কিচ্ছু জানি না।’

কয়েকশ’ নাটকের পরিচালক চয়নিকা চৌধুরী ‘বিশ্ব সুন্দরী’ নামে একটি চলচ্চিত্র নির্মাণ করেছিলেন। এই ছবিতে তার অভিনয়শিল্পীরা হলেন পরীমনি, সিয়াম আহমেদসহ আরও অনেকে। এই নির্মাতার ওয়েব ফিল্ম ‘অন্তরালে’র জন্য সম্প্রতি চুক্তিবদ্ধ হন পরী মনি। এর শুটিং শুরু হওয়ার কথা ছিল সেপ্টেম্বরের প্রথম সপ্তাহে।

চয়নিকা চৌধুরী ও পরীমনির মধ্যে যে সখ্য রয়েছে, তা সবারই জানা। চয়নিকা চৌধুরীকে ‘মা’ বলে সম্বোধন করে থাকেন পরীমনি। উত্তরা বোট ক্লাব-কাণ্ডের পর পরীমনির পাশে সব সময় দেখা গেছে তাঁকে। এর আগে বুধবার সন্ধ্যায় বনানীর বাসা থেকে ঢাকাই সিনেমার অন্যতম নায়িকা পরী মনিকে আটক করা হয়। রাত আটটার পর তাকে বাসা থেকে বের করে নিয়ে যাওয়া হয়। এ সময় পরীর সঙ্গে আরও দুজনকে আটক করা হয়েছে। তবে পরী মনি আটকের পর চুপ ছিলেন চয়নিকা চৌধুরী।

এ প্রসঙ্গে তিনি একটি গণমাধ্যমকে বলেন, ‘এবারের ঘটনার সময় আমি ফেসবুকে ছিলাম না। সন্ধ্যার দিকে জানতে পারি। তখন ছয়টার বেশি বাজে। সঙ্গে সঙ্গে ফেসবুকে ঢুকে দেখলাম। কিন্তু কী করব বুঝতে পারছিলাম না। এর মধ্যে লাইভও বন্ধ হয়ে গেছে। র‍্যাব সদস্যরা ঢুকেছেন ওর বাসায়। তখন আমি ছুটে যেতে পারতাম, কিন্তু বাসায় ঢুকতে পারতাম না। এখানে আমার আসলে কিছু করার ছিল না।’

পরী মনির সঙ্গে তার সম্পর্কের বিষয়ে এই নির্মাতা বলেন, ‘পরী মনির সঙ্গে আমার ব্যক্তিগত কোনো সম্পর্ক নেই। তার সঙ্গে কাজভিত্তিক আলোচনা হয়। ব্যক্তিগত বিষয় নিয়ে পরী মনির সঙ্গে কোনো দিনই আলাপ করিনি। আর আমিও তার ব্যক্তিগত বিষয়ে নাক গলাইনি, জানতেও চাইনি।’

আপডেট:

সেই রাতে জিজ্ঞাসাবাদের পর পরিবারের জিম্মায় দেওয়া হয় চয়নিকা চৌধুরীকে।


মন্তব্য করুন