Select Page

‘নোনা জলের কাব্য’র কী খবর?

‘নোনা জলের কাব্য’র কী খবর?

রেজওয়ান শাহরিয়ার সুমিতের প্রথম সিনেমা ‘নোনা জলের কাব্য’ পেল টরিনো ফিল্ম ল্যাব অডিয়েন্স ডিজাইন ফান্ড ২০২০। এর অধীনে সুমিত তাঁর চলচ্চিত্রকে বিশ্বের দর্শকের কাছে পৌঁছে দেওয়ার জন্য পেয়েছেন ৪৫ হাজার ইউরো। বাংলাদেশি মুদ্রায় যা প্রায় ৪৫ লাখ টাকার সমান। এ ছাড়া অনলাইনে ছয় দিনের একটি কর্মশালায়ও অংশ নেবেন তিনি। আর নভেম্বরে টিএফএল কো–প্রোডাকশন মার্কেটে ছবিটি পিচ করারও সুযোগ পাবেন। এ খবর দিয়েছে প্রথম আলো

সুমিত এবং ছবির ফরাসি প্রযোজক ইলান জিরাদ একসঙ্গে এ ফান্ডের জন্য গত জুন মাসে আবেদন করেন। তাঁরা বাংলাদেশ, ফ্রান্স ও বিশ্বের অন্যান্য দেশের দর্শকদের কাছে কীভাবে ছবিটি পৌঁছে দেবেন, সেই বিপণন ও প্রচারণা নিয়ে একটি পরিকল্পনা জমা দেন। নোনা জলের কাব্যের সব কাজ শেষ। শিগগির ছবিটি আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবগুলোতে পাঠানোর প্রক্রিয়া শুরু হবে। এরপর মহামারিকাল শেষ হলে বাংলাদেশের সিনেমা হলে মুক্তি দেওয়া হবে ছবিটি।

নোনা জলের কাব্যর চিত্রনাট্য লেখা ও সরেজমিন গবেষণা চলেছে চার বছর ধরে। চিত্রনাট্যের জন্য এ ছবি পেয়েছিল ‘স্পাইক লি রাইটিং গ্রান্ট’। ২০১৮ সালের ১৩ জুলাই অর্ধশতাধিক শিল্পী ও কলাকুশলী মিলে ঘোর বর্ষায় পটুয়াখালী ও চট্টগ্রামে শুটিং শুরু হয়ে শেষ হয় সেপ্টেম্বরের ৩ তারিখে। জেলেপাড়ার জীবন নিয়ে এই ছবিতে অভিনয় করেছেন ফজলুর রহমান বাবু, তিতাস জিয়া, তাসনুভা তামান্না, শতাব্দী ওয়াদুদ, অশোক ব্যাপারী, আমিনুর রহমান মুকুলসহ আরও অনেকে। ছবির সংগীতায়োজন করেছেন শায়ান চৌধুরী অর্ণব। প্রযোজক ও কলাকুশলীদের অনেকেই ভিনদেশি।

এ ছবি সরকারি অনুদান পেয়েছিল ৫০ লাখ টাকা। আরও প্রায় ৭৫ লাখ টাকা এসেছিল ফরাসি সরকারের সিএনসির সিনেমা ‘দ্যু মন্ড গ্রান্ট’ থেকে। এই ছবির ফরাসি প্রযোজক এর আগে অস্কারজয়ী তথ্যচিত্র মার্চ অব দ্য পেঙ্গুইনস প্রযোজনা করেছেন। এ ছাড়া বাংলাদেশ থেকে ছবিটি প্রযোজনা করেছে হাফ স্টপ ডাউন। সম্পাদনা করেছেন রোমানিয়ার লুইজা পারভ্যু ও ভারতের শঙ্খজিৎ বিশ্বাস। শব্দ ও রং সম্পাদনার কাজটি হয়েছিল ফ্রান্সের দুটি বিখ্যাত স্টুডিওতে। যেখানে নিয়মিত ডিজনির ছবিরও সম্পাদনা হয়।

এরই মধ্যে সুমিত তাঁর পরের ছবি ‘আ নিউ প্রফেট’-এর জন্য পেয়েছেন স্লোন ফাউন্ডেশন গ্র্যান্ট। ১ লাখ ডলার, মানে প্রায় ৮৪ লাখ ৫৫ হাজার টাকা। এই বিজ্ঞাননির্ভর গল্পটির প্রেক্ষাপট জাদুর শহর ঢাকা।

এর আগে বাংলাদেশ থেকে রুবাইয়াৎ হোসেন তাঁর ‘মেড ইন বাংলাদেশ’ প্রকল্পের জন্য এই অনুদান (টরিনো ফিল্ম ল্যাব অডিয়েন্স ডিজাইন ফান্ড) পেয়েছেন।

 


মন্তব্য করুন