‘পাঠান’ আমদানি করে লাভ ৩০ লাখ টাকা!
১২ মে দেশের প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেলো বলিউডের সিনেমা ‘পাঠান’। প্রথম সপ্তাহে ৪১ হলে রোজ ২০৬টি শো চললেও এক মাসের মাথায় চলতি সপ্তাহে সেই শোয়ের সংখ্যা নেমে আসে ৪২-এ। বাংলাদেশের অনেক আগেই বলিউডসহ বিশ্বের শতাধিক দেশে ছবিটি মুক্তি পেয়েছিল। প্রকাশ হয়েছিল আন্তর্জাতিক ওটিটি প্ল্যাটফর্ম অ্যামাজন প্রাইমেও। ফলে বাংলাদেশের প্রেক্ষাগৃহে এটা সাড়া একটু অদ্ভুতই। যদিও মাল্টিপ্লেক্সে ভালো চললেও সিঙ্গেল স্ক্রিনের বেশির ভাগ ছিল ফাঁকা।
‘পাঠান’ বাংলাদেশে মুক্তির সুবাদে দ্য কনটেন্ট স্পেশালিস্ট নামের একটি সার্ভার বা ‘বক্স অফিস’ তৈরি হয়। যার মাধ্যমে এক মাসে ‘পাঠান’ ছবির টিকিট বিক্রির তথ্য মিলেছে। এ সময়ে ‘পাঠান’-এর টিকিট বিক্রি হয়েছে দুই কোটি ৭ লাখ টাকার মতো।
বিষয়টি ‘পাঠান’র আমদানিকারক অ্যাকশন কাট এন্টারটেইনমেন্টের কর্ণধার অনন্য মামুনও বাংলা ট্রিবিউনকে নিশ্চিত করেছেন।
ধারণা করা হচ্ছে, এক মাসে ‘পাঠান’-এর বক্স অফিস সেল ২ কোটি ৭ লাখ হলেও ঈদের আগেই (ঈদে বিদেশি ছবি প্রদর্শন নিষেধ) সেটি পৌঁছাবে ২ কোটি ২০ লাখে। কারণ, এখনও ছবিটির রোজ শো চলছে ৪২টি করে। কিন্তু এর পুরোটাই তো আর আমদানিকারকের ঘরে ঢুকবে না। ভাগ হবে হল মালিকদের সঙ্গে। সে হিসাবে অনুমান করা যায়, আমদানিকারক ঘরে তুলবেন ন্যূনতম ৫০ লাখ।
তাহলে প্রশ্ন আসে, ‘পাঠান’ আমদানি করতে এর পরিবেশক প্রতিষ্ঠান ইয়াশ রাজ ফিল্মসকে দিতে হয়েছে কত। এ নিয়ে নানান জল্পনা রয়েছে বাজারে। অনেকেই বলছেন, কোটি টাকায় আনতে হয়েছে ছবিটি। কেউ বলছেন বক্স অফিস শেয়ারিং হবে।
তবে এক কোটি টাকার কথা অস্বীকার করে মামুন বলেন, ‘ছবিটি যেহেতু অনেক আগেই মুক্তি পেয়েছিল, ওটিটিতেও প্রকাশ হয়েছিল, এরমধ্যে পাইরেসিও হয়েছে; ফলে অনেক কম দামেই আমরা আমদানি করতে পেরেছি। মাত্র ১০ হাজার ডলারে (প্রায় ১৩ লাখ টাকা) ছবিটি এনেছি।’
তার মানে, এটুকু অনুমান করা যায় বক্স অফিস থেকে হল মালিকদের দিয়ে ৫০ লাখ পেলে, ‘পাঠান’ আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান একমাসে লাভ করছে ন্যূনতম ৩০ লাখ টাকা।