Select Page

‘পাঠান’-এর জন্য দেশি সিনেমা নিতে চাচ্ছে না হল মালিকরা

‘পাঠান’-এর জন্য দেশি সিনেমা নিতে চাচ্ছে না হল মালিকরা

সব পক্ষকে ‘ম্যানেজ’ করা ভারতীয় সিনেমা ‘পাঠান’ নিয়ে চলছে লুকোচুরি। সংশ্লিষ্ট নির্দিষ্ট করে কোনো তারিখ না বললেও দেশের একাধিক প্রেক্ষাগৃহ বলছে, ৩ মার্চ মুক্তি পাবে শাহরুখ খান ও দীপিকা পাড়ুকোনের গান ‘বেশরম রং’ নিয়ে আলোচিত সিনেমাটি। এ কারণে তারা দেশীয় সিনেমা ‘ওর ৭ জন’কে হল দিতে রাজি নয়।

শোনা যাচ্ছিল, ২৪ ফেব্রুয়ারি ‘পাঠান’ মুক্তি পাবে। পরে বলা হয়, ফেব্রুয়ারি ‘ভাষার মাস’ বিধায় মুক্তির অনুমতি মেলেনি।

এখন অনেক হল আগেই প্রচারণায় নেমেছে। এর মধ্যে রয়েছে ময়ময়নসিংহে ছায়াবাণী সিনেমা হল। সদরে অবস্থিত এই হলটির ভিতরে ঢুকলেই চোখে পড়বে ‘পাঠান’র পোস্টার। বড় অক্ষরে লেখা আগামী ৩ মার্চ ‘পাঠান’-এর শুভমুক্তি।

জানা গেছে, সার্ভার নিয়ন্ত্রণে আছে এমন অল্প সংখ্যক সিঙ্গেল স্ক্রিনে ৩ মার্চ চলবে ‘পাঠান’! সেইসঙ্গে চলবে দেশের সিনেপ্লেক্সের সবগুলো শাখাতে। সার্ভার সংকট মিটিয়ে ১০ মার্চ থেকে বড় পরিসরে সিঙ্গেল স্ক্রিনগুলোতে চলবে।

যদিও ‘পাঠান’র আমদানির মাধ্যমে মুক্তি দেওয়ার সঙ্গে যুক্তরা দেশের সেন্সর বোর্ড থেকে মুক্তির অনুমতি না পাওয়া পর্যন্ত কিছু বলতে চান না।

ছায়াবাণী সিনেমা হলের ম্যানেজার শফিকুল ইসলাম বলেন, মুক্তির আগে প্রচারণার জন্য পোস্টার নিজেরা লাগিয়েছি। দৈনিক দর্শক এসে জানতে চায় ‘পাঠান’ রিলিজ কত তারিখ। ৩ মার্চ মুক্তি পাবে এই খবর জেনেছি। ইতিবাচক সংকেত পেয়ে পোস্টার লাগিয়ে রেখেছি।

এ দিকে তারিখ প্রকাশ না করেই রাজধানীর যমুনা ব্লকবাস্টার সিনেমাসের ফেসবুক পেজে ‘পাঠান’-এর প্রচারণা চালানো হচ্ছে।

এখন ৩ মার্চ মুক্তি পেতে যাওয়া ‘ওরা ৭ জন’ এর পরিচালক খিজির হায়াত খান বলেন, ‌‘পাঠান’-এর কারণে বড় বড় সিঙ্গেল স্ক্রিনে ‘ওরা ৭ জন’ নিতে চাচ্ছে না। মুক্তির পাঁচদিন বাকি থাকলেও এখনও হল পাইনি। ‘পাঠান’ এলে সিনেপ্লেক্সে হয়তো শো পাবো না, সিঙ্গেল স্ক্রিনেও আমাদের ছবি দেখাতে পারবো না, তাহলে আমরা কী করবো?

বাধ্য হয়ে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন অভিনেতা ও ‘জাগো’ ছবির নির্মাতা খিজির হায়াত খান।

তিনি বলেন, “প্রথমে ভাষার মাসে, আর এখন স্বাধীনতার মাসে তারা হিন্দি সিনেমাকে এই দেশের সিনেমা হলে মুক্তি দেওয়ার জোর প্রচেষ্টা চালাচ্ছে। একটা ‘পাঠান’ এই মুহূর্তে দেশের সংবিধান, আমদানি নীতির বিপক্ষে গিয়ে হুট করে কোনও আগাম বার্তা না দিয়ে হলে মুক্তি দিলে, না আমাদের হল বাঁচবে, না দেশের কোনও সত্যিকারের ফায়দা হবে। হ্যাঁ, কিছু অসাধু ব্যবসায়ী ও দেশবিরোধী মানুষ টাকা বানাবে। আর মাঝে আমরা যারা জীবন দিয়ে বাংলা সিনেমা বানানোর লড়াই করে যাচ্ছি, তারা হেরে যাবে।” 

/তথ্যপূত্র: চ্যানেল আই ও বাংলা ট্রিবিউন


মন্তব্য করুন