Select Page

‘পাঠান’-এর ৮৫ লাখ টাকার টিকিটে কত লাভ অনন্য মামুনের?

‘পাঠান’-এর ৮৫ লাখ টাকার টিকিটে কত লাভ অনন্য মামুনের?

 ‘পাঠান’ বাংলাদেশে মুক্তির আগে বক্সঅফিস কার্যকরের কথা দিয়েছিল পরিবেশক সংস্থা অ্যাকশন কাট এন্টারটেইনমেন্ট। প্রথম দিনের আয়ের হিসাব ভারতীয় গণমাধ্যম দিলেও এবার সপ্তাহের অঙ্ক নিয়ে মুখ খুললেন প্রতিষ্ঠানটির কর্মকর্তা অনন্য মামুন।

হিন্দি ছবির ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি আয় করা ছবির তালিকায় জায়গা করে নিয়েছে ‘পাঠান’; আর অঙ্কটি হলো এক হাজার ৫০ কোটি রুপি। অনন্য মামুন জানান, প্রথম সপ্তাহে (১২ থেকে ১৮ মে) বাংলাদেশে ৪১টি সিনেমা হল মিলিয়ে ৮৫ লাখ টাকার টিকিট বিক্রি (গ্রস) হয়েছে।

টিকিট বিক্রির মোট অর্থকে গ্রস বলা হয়, সেখান থেকে করসহ বিভিন্ন খরচ বাদ দিয়ে আয় বের করা হয়। সিনেমাটি প্রথম দিনের আয় ভারতীয় গণমাধ্যম বলিউড হাঙ্গামা জানালেও মুখ খোলেননি অনন্য মামুন। সেখান থেকে জানা যায়, মুক্তির দিনেই বিক্রি হয়েছে ২৫ লাখ টাকার টিকিট।

টিকিট বিক্রির হিসাব কীভাবে করা হয়েছে—জানতে চাইলে অনন্য মামুন জানান, মাল্টিপ্লেক্সে ই–টিকিটিং থাকায় সহজেই হিসাব পাওয়া গেছে। আর একক হলে আমাদের প্রেরিত প্রতিনিধি টিকিট বিক্রির দেখভাল করেছেন। ফলে টিকিট বিক্রির হিসাবটা সঠিকভাবে পাওয়া গেছে। সপ্তাহখানেক পর একক সিনেমা হলেও ই–টিকেটিং চালু করবেন বলে জানান তিনি।

এই ৮৫ লাখ টাকা গ্রস হওয়ায় সেখান থেকে বাদ যাবে প্রদর্শক ও সরকারি কর বাবদ একটা অংশ। বিশেষ করে আয়ের বড় হিস্যা মাল্টিপ্লেক্সের হওয়ায় সেখানে বড় একটি অংশ রেখে আসতে হবে অনন্য মামুন। সিনেমাটি সিঙ্গেল স্ক্রিনে প্রত্যাশামাফিক সাড়া পায়নি।

লাভের হিসাব ধরলে প্রথম সপ্তাহে খরচের কাছাকাছিও যেতে পারেনি অনন্য মামুন। সিনেমাটি মুক্তির আগে আমদানি ব্যয় নিয়ে একটি ধারণা দেয় সারা বাংলা ডটনেট। সেখান থেকে জানা যায়, বাংলাদেশে বিতরণে অনন্য মামুনকে গুনতে হয়েছে এক কোটি টাকারও বেশি।

ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, অগ্রিম বুকিং মানি হিসেবে ‘পাঠান’ পরিবেশক ৫০ লাখ টাকার অধিক টাকা ইতোমধ্যে আয় করেছেন বলে জানা গেছে। সরকারি কাগজপত্রে ১০ হাজার ডলারে ছবিটি আমদানি করা হয়েছে বলা হলেও একটি বিশেষ সূত্র বলছে ১ লাখ ডলারে আনতে হয়েছে ছবিটি। যার কারণে পরিবেশক সংস্থা হল মালিকদের কাছ থেকে অধিক শেয়ার বা ভাড়া নিচ্ছেন। এর প্রভাব গিয়ে পড়েছে টিকিটের দামে।

এর পাশাপাশি অনন্য মামুনকে পিআর বাবদ বড় অঙ্কের টাকা গুনতে হয়েছে। বিশেষ করে অনলাইনে বিভিন্ন গ্রুপ ও সিনেমা হলে প্রচারণায় নামাতে হয়েছে একটি বিশেষ শ্রেণীকে। এ ছাড়া কয়েক মাস বা বছরের চেষ্টায় পুরো প্রক্রিয়া গুছিয়ে আনতে কতটা খরচ হয়েছে; তা অনুমান কষ্টকর। তবে ‘পাঠান’ আনা বাবদ যা-ই খরচ হোক, পুরোটাই ভবিষ্যতের বিনিয়োগ। কারণ, এর ধারাবাহিকতায় শিগগিরই একের পর এক হিন্দি সিনেমা আনতে যাচ্ছেন অনন্য মামুন। তার ‘পরিচালিত’ সিনেমা খুব একটা লাভের মুখ না দেখলেও আমদানি করা হিন্দি সিনেমা নিশ্চয় তা পুষিয়ে দেবে।

দক্ষিণ এশিয়ার আঞ্চলিক মুক্তবাণিজ্য চুক্তির (সাফটা) আওতায় মুক্তি পাওয়া স্পাই থ্রিলার ‘পাঠান’ দ্বিতীয় সপ্তাহেও দেশজুড়ে চলছে। যতদূর জানা যায়, দ্বিতীয় সপ্তাহে দুটি হল বাড়লেও শো ২০৬ থেকে ১৮৫টিতে নেমেছে।

সূত্র : প্রথম আলো ও সারা বাংলা


মন্তব্য করুন