Select Page

প্রেমকাহন: অশ্লীল কাহিনি-অঙ্গভঙ্গিসহ পাঁচ কারণে নিষিদ্ধ

প্রেমকাহন: অশ্লীল কাহিনি-অঙ্গভঙ্গিসহ পাঁচ কারণে নিষিদ্ধ

নির্মাতা রুবেল আনুশকে ‘প্রেমকাহন’ ছবিটি নিষিদ্ধের পাঁচটি কারণ জানিয়েছে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সেন্সর বোর্ড।

গত ২৭ অক্টোবর ছবিটি দেখার পর ২ নভেম্বর ‘জনসাধারণের মধ্যে প্রদর্শন উপযোগী নয়’ উল্লেখ করে প্রযোজককে চিঠি দেয় বোর্ড।

সেন্সর বোর্ডের সচিব মো. মমিনুল হক স্বাক্ষরিত চিঠিতে উল্লেখিত কারণগুলো হলো— চলচ্চিত্রটির কাহিনি অসংলগ্ন ও অশ্লীল; চলচ্চিত্রটিতে যুব-কিশোরদের অনৈতিক কাজে উদ্বুদ্ধ করা এবং অশ্লীল অঙ্গভঙ্গি ও সংলাপ রয়েছে; মানুষের যৌন জীবনকে বিকৃতভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে; সামাজিক ও ধর্মীয় সম্প্রতি বিনষ্ট হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে; চলচ্চিত্রটি প্রদর্শিত হলে সামাজিক শৃঙ্খলা, মূল্যবোধের অবক্ষয় ও সংহতি বিনষ্ট হওয়াসহ জনমনে অসন্তোষ সৃষ্টি হতে পারে।

চিঠিতে বলা হয়, এ সব মতের ভিত্তিতে এবং ‘দ্য সেন্সরশিপ অব ফিল্মস অ্যাক্ট, ১৯৬৩ (২০০৬ সংশোধনী)’ এবং ‘দ্য বাংলাদেশ সেন্সরশীল অব ফিল্মস রুলস, ১৯৭৭’-এর বিধি ১৩ এর অধীনে প্রণীত তথ্য মন্ত্রণালয়ের এসআরও নং-৪৭৮-এল/৮৫, তারিখ: ১৬ নভেম্বর, ১৯৮৫ এর আই (এফ) (জে), তিন, চার(বি) (এক) দফায় বর্ণিত উপাদান ‘প্রেম কাহন’ এ বিদ্যমান থাকায় ছবিটি ‘জনসাধারণের মধ্যে প্রদর্শন উপযোগী নয়’ বলে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

আরও বলা হয়, একই সিদ্ধান্তের পরিপ্রেক্ষিতে ‘দ্য বাংলাদেশ সেন্সরশিপ অব ফিল্মস রুলস, ১৯৭৭’ এর বিধি ১৬(৫) অনুযায়ী ‘প্রেমকাহন’-এর সেন্সর আবেদনপত্র অগ্রাহ্য করা হয়েছে।

এও উল্লেখ করা হয়, ‘দ্য সেন্সরশিপ অব ফিল্মস অ্যাক্ট, ১৯৬৩ (২০০৬ সংশোধনী) এর ৪বি(১) ধারা অনুযায়ী প্রযোজক চাইলে চিঠি পাওয়ার ৩০ দিনের মধ্যে আপিল করতে পারবেন।

‘নিষিদ্ধ প্রেমের গল্প’ নামে ২০১৪ সালের আগস্টে সিনেমাটির শুটিং শুরু হয়। এরপর নানা কারণে বাধার মুখে পড়ে নির্মাণ। ছবিটির বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন সিমলা, শিমুল খান, রুমাই নোভিয়া, মামুন, আবুল হায়াত প্রমুখ।


মন্তব্য করুন