ফুলে-ফুলে যেমন সম্পর্ক, তেমনই শাবনূর-পূর্ণিমা
‘নিশ্বাসে তুমি বিশ্বাসে তুমি’, ‘বলো না ভালোবাসি’, ‘স্বামী স্ত্রীর যুদ্ধ’— এমন কিছু সিনেমায় একসঙ্গে কাজ করেছেন পূর্ণিমা ও শাবনূর। সমসাময়িক হওয়ার কারণে তাদের মধ্যে প্রতিদ্বন্দ্বিতা ছিল, সেটা এখনো দুই নায়িকার ভক্তদের মাঝে দেখা যায়। তবে তারা বলছেন, এই সম্পর্ক ফুলে-ফুলে।
সম্প্রতি স্বামী-সন্তান নিয়ে অস্ট্রেলিয়া ভ্রমণে গেছেন পূর্ণিমা। সেখান থেকে শাবনূরের সঙ্গে ফেসবুক লাইভে এসে দারুণ সারপ্রাইজ দিলেন তিনি। সেখানে দুজনে একে-অন্যের প্রশংসায় পঞ্চমুখ হন। এছাড়া তাদের ঘিরে ছড়িয়ে থাকা গুঞ্জন নিয়েও মুখ খুলেছেন।
হাস্যোজ্বল মুখে পূর্ণিমাকে শাবনূর বলেন, ‘আমাদের সম্পর্কে মানুষের মধ্যে বাজে ধারণা আছে। সবাই মনে করে আমাদের মধ্যে দা-কুমড়া সম্পর্ক। এটা একটু পরিষ্কার করে দাও তো।’
এরপর পূর্ণিমা বললেন, ‘আসলে আমাদের মধ্যে ফুলে-ফুলে সম্পর্ক। তিনি আমার খুব পছন্দের অভিনেত্রী। আমরা তাকে (শাবনূর) দেখেই ইন্ডাস্ট্রিতে এসেছি। তিনি আমাদের জন্য অনুপ্রেরণা, তিনি আমাদের অভিনয়ের ইনস্টিটিউট। আমরা এখনও অভিনয় করতে গেলে সবার আগে শাবনূর আপুর কথা মনে আসে। তিনি কীভাবে, কোন এক্সপ্রেশন দিতেন, সেটা মনে করে কাজ করি। যদিও আমরা বা আমি তার ধারেকাছে যেতে পারিনি। তিনি আসলেই অসাধারণ একজন মানুষ।’
এসব শুনে চুপ থাকতে পারলেন না শাবনূরও। তিনিও পূর্ণিমার প্রশংসায় খরচ করলেন কয়েক বাক্য। তার ভাষ্য, ‘পূর্ণিমার এত গুণ! আমার মনে হয় আমি ওর মতো পারবো না। এত সুন্দর করে কীভাবে কথা বলে, স্টেজে পারফরম্যান্স করে। ওর আসলে গুণের শেষ নেই। দেখতেও সুন্দর। ওর তুলনা ও নিজেই। আমি অনেক খুশি হয়েছি, ওর অস্ট্রেলিয়া আসার খবর শুনে। এরপর আমি ওকে হারিকেন জ্বালিয়ে খুঁজেছি।’
পূর্ণিমার সঙ্গে সিনেমা করার আশ্বাসও দিলেন শাবনূর। তবে সেটা ঢাকায় নয়, বরং অস্ট্রেলিয়ায় হবে। শাবনূর বলেন, ‘আমরা দুজন আবার ছবি করলে কেমন হবে? অস্ট্রেলিয়াতে করবো। ইচ্ছে আছে করার। এখনই বলতে পারছি না, কতদূর করতে পারবো। কিন্তু চেষ্টা করতে অসুবিধা নাই।’
শাবনূরের কথায় সায় দিয়ে পূর্ণিমা নিজের একটি অভিজ্ঞতা বিনিময় করেন। অতীতের স্মৃতি হাতড়ে বলেছেন, “একটা সত্যি ঘটনা বলি, শাবনূর আপু তখন সুপার-ডুপার হিট। তার যন্ত্রণায় আমরা কেউই ইন্ডাস্ট্রিতে পা রাখতে পারছিলাম না! কোনও ছবির ধারে-কাছে যেতে পারছিলাম না। যখনই আমি শুটিং করতাম, তখন নির্মাতা-কোরিওগ্রাফাররা বলতেন, ‘কী এক্সপ্রেশন দাও! শাবনূরের মতো করো। শাবনূরের চোখ কথা বলে, ঠোঁট কথা বলে; তার পায়ের যোগ্যতা নেই।’ এসব শুনে আমি কোনায় গিয়ে কাঁদতাম।”
বেশ লম্বা সময় ধরে সিডনিতে আছেন শাবনূর। এর আগে কণ্ঠশিল্পী মমতাজ ও পরিচালক-অভিনেত্রী দম্পতি মোস্তফা সরয়ার ফারুকী-নুসরাত ইমরোজ তিশার সঙ্গে আড্ডা দিতে দেখা যায়ত তাকে।