Select Page

ফেরদৌসের অপেশাদার আচরণের কারণে কলকাতার ছবি হারালেন শুভ

ফেরদৌসের অপেশাদার আচরণের কারণে কলকাতার ছবি হারালেন শুভ

বিভূতিভূষণের বিখ্যাত ‘অপু’ চরিত্রে কলকাতার শুভ্রজিৎ মিত্রের ‘অভিযাত্রিক’ সিনেমায় অভিনয় করার কথা ছিল আরিফিন শুভর। ১৫ মে শুটিংয়ে অংশ নেওয়ার কথাও ছিল।

কিন্তু শুটিংয়ের চার দিন আগে শুভকে না করে দেওয়া হলো। প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান গৌরাঙ্গ ফিল্মস জানিয়েছে, অনভিপ্রেত সামাজিক ও রাজনৈতিক কারণে আরিফিন শুভর সঙ্গে তারা কাজ করতে পারছে না। তবে এই সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে শুভর সঙ্গে আলোচনা করেছে প্রযোজনা সংস্থাটি।

জানা গেছে, অভিনেতা ফেরদৌসের অপেশাদার আচরণের কারণে এমনটা হলো। ওয়ার্ক পারমিটের শর্ত ভেঙে কিছুদিন আগে তিনি অংশ নেন ভারতের নির্বাচনী প্রচারণায়। এ কারণে  বাংলাদেশি অভিনয়শিল্পীদের আপাতত ওয়ার্ক পারমিট ভিসা না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ভারতীয় দূতাবাস।

পরিচালক শুভ্রজিৎ মিত্র গণমাধ্যমকে জানান, ‘ফেরদৌস আর নূরের (সিরিয়াল অভিনেতা) বিতর্কিত কাণ্ডের কারণে কোনো বাংলাদেশি শিল্পীকে ওয়ার্ক পারমিট দেয়া হচ্ছে না। সে জন্য ছবিটিতে আরিফিন শুভর অভিনয় করা হচ্ছে না। ফেরদৌস ও নুর যে কেন তখন নির্বাচনে প্রচারণায় অংশ নিতে গেলেন! প্রচুর টাকা ক্ষতি হয়ে গেল আমাদের। সব চূড়ান্ত করে ফেলেছিলাম আমরা। মে মাসের ১৫ তারিখ থেকে শুটিং শুরু হওয়ার কথা ছিল। আমদের পুরো টিম কিংকর্তব্যবিমূঢ় হয়ে পড়েছে। এখন রাতারাতি কাউকে রিপ্লেসমেন্টও করা যাচ্ছে না। গত কয়েকমাস ধরে ছবিটি নিয়ে পুরো টিম পরিশ্রম করে যাচ্ছিল। এখন সেই পরিশ্রমটাই বৃথা গেল। আমরা দিল্লিতে শুভর ভিসার বিষয়ে আলাপ করেছিলাম। কিন্তু কাজ হয়নি। এই পরিস্থিতিতে ছবির কাজটা পিছিয়ে গেল। এ বছর ছবির কাজ শুরুই করতে পারব না।’

এ বিষয়ে শুভ প্রিয়.কমকে বলেন, ‘আমার কারো প্রতি কোনো বিদ্বেষ নাই। আমি বিশ্বাস করি যে আরও ভালো কিছু সামনে আছে। তবে এটা আমি মনগড়াভাবে বিশ্বাস করি না। আমার জীবনের পেছনটা দেখেই কিন্তু কথাটা বলেছি। এই যে এ কাজটা হয়নি, আমাকে এবং আমার দর্শকরা যারা আমাকে ভালোবাসে, তাদের সবার জন্যই একটা কথা—এটা যদি আমার দোষে হতো তাহলে আমি মাথা পেতে নিতাম। কিন্তু এটা আমার দোষে হয়নি।’

তিনি বলেন, ‘কেন হয়েছে, কী কারণে হয়েছে, সেটা বলব না। ঘটনার পেছনের ঘটনা, কোন ঘটনার কারণে ঘটনা, কিছুই বলব না। কাজটা করতে পারছি না, এটাতে কিছুটা দুঃখ লাগছে, বুকটা যেন ভেঙে গেছে। এখন এসব ভুলে সামনে তাকানোর পালা। আবার এটাও ঠিক আমার মতো একজন শিল্পীকে কিংবদন্তি একটি চরিত্রের জন্য ভাবা হয়েছিল, এটা আমর জন্য অনেক বড় অনুপ্রেরণার।’

বিভূতির ‘পথের পাঁচালি’ ও ‘অপরাজিত’ উপন্যাসকে সত্যজিৎ রায় তিন ভাগে ভাগ করে ট্রিলজি (‘পথের পাঁচালি’, ‘অপরাজিত’ ও ‘অপুর সংসার’) নির্মাণ করেন, জনপ্রিয়তাও পায়। শুভ্রজিৎ মিত্র ‘অপরাজিত’ উপন্যাসের শেষ ১০০ পৃষ্ঠা অবলম্বনে ‘অভিযাত্রিক-দ্য ওয়ান্ডার লাস্ট অব অপু’ নামের ছবিটি নির্মাণের পরিকল্পনা করেছেন।


Leave a reply