Select Page

বছর শেষে ধস

বছর শেষে ধস

image_134_48022টানা অবরোধ-হরতালের কারণে সিনেমা ব্যবসায় ধস নেমেছে। বছর জুড়ে চলচ্চিত্র ব্যবসা নিয়ে ইতিবাচক কথা কেউ কেউ বললেও- বছর শেষে তা ম্লান হয়ে গছে। দেশজুড়ে চলছে জ্বালাও পোড়াও ও গাড়ি ভাঙচুর এসব কারণে মানুষ আতঙ্কে আছে। আর এক্ষেত্রে অন্য সব ব্যবসার সঙ্গে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে চলচ্চিত্র ব্যবসাও। বিপাকে আছেন সিনেমা হল মালিকরাও। প্রতিদিন বেশ লোকশান গুনতে হচ্ছে তাদের।

হল মালিকরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বেশ কিছু সিনেমাহল খোলা রেখেছেন। কিন্তু সেখানে দর্শক নেই বললেই চলে। তারমধ্যে নতুন ছবি মুক্তি দেয়াটাও এখন ঝুঁকি মনে করছেন নিজ নিজ ছবির প্রযোজকরা।

এরমধ্যে নতুন কোনো ছবি মুক্তি পাইনি। নতুন কয়েকটি ছবি মু্ক্তির ঘোষণা এলেও শেষ মুহুর্তে পিছিয়ে গেছে। হলে হল মালিক ও প্রযোজকরা হচ্ছেন ক্ষতিগ্রস্ত। সনি সিনেমাহল মালিক-প্রযোজক মোহাম্মদ হোসেন বলেন, একটি ছবি আটকে থাকা মানে ছবির ব্যয় ক্রমশ বৃদ্ধি পাওয়া। আর আটকে না রেখে এমন অস্থির পরিস্থিতিতে রিলিজ করা মানে ছবিটিকে গলা টিপে হত্যা করা। এ অবস্থায় আমরা কি করতে পারি আমি জানি না। দর্শক দেশের এ রকম পরিস্থিতিতে সিনেমা হলে আসবেন না- এটাই স্বাভাবিক। সব মিলিয়ে সিনেমার লোকেরা আমরা এখন পুরোটাই অন্ধকারে আছি। এ অন্ধকার থেকে কিভাবে বের হবো জানি না। আমাদের আলোর পথ দেখান প্লিজ। সাধারণ সময়ে আমাদের যে কালেকশন হতো তা এখন ৫ ভাগে নেমে এসেছে। এ অবস্থা চলতে থাকলে আমাদের পথে বসতে হবে।

হল মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মিয়া আলাউদ্দিন বলেন, আমি যতটুকু জানি অধিকাংশ হলই এখন বন্ধ থাকে। আর যারা খোলা রাখেন তারাও ঠিকমতো ব্যবসা করতে পারছেন না। প্রতি শো-তে মাত্র ১০-১৫ জন দর্শক হয়। কিন্তু এই অতি সামান্য পরিমাণ দর্শক দিয়ে তো আর সিনেমা হল চলতে বা শো চলতে পারে না। বরং এক্ষেত্রে ক্ষতিই বেশি হয়। আমরা এই অবস্থার অবসান চাই।


মন্তব্য করুন