বর্ডারের বদলে সেন্সর পেল ‘সুলতানপুর’
মাস তিনেক আগে সৈকত নাসির পরিচালিত ‘বর্ডার’ সিনেমাটিকে প্রদর্শনের অযোগ্য ঘোষণা করে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সেন্সর বোর্ড। এবার সিনেমাটি প্রদর্শনের যোগ্য ঘোষিত হয়েছে। অর্থাৎ, সেন্সর ছাড়পত্র পেয়েছে।
তবে পুরো প্রক্রিয়ার মধ্যে সিনেমাটির নাম বদলে হয়েছে ‘সুলতানপুর’। এ ছাড়া আর কী বদলে গিয়েছে তা অবশ্য জানা যায়নি।
বরং শুক্রবার (২ ডিসেম্বর) পরিচালক বিস্তারিত না জানিয়েছে ফেসবুকে লিখলেন, সেন্সর বোর্ড সদস্যদের ভূয়সী প্রশংসায় সেন্সর পেল সুলতানপুর (বর্ডার)। থ্যাংকস টু অল যারা পাশে ছিলেন সবসময়।
এর আগে গত সেপ্টেম্বরে আপত্তি প্রসঙ্গে নাম প্রকাশ না করার শর্তে সেন্সর বোর্ডের একটি সূত্র বলেন, ছবিটিতে সীমান্তবর্তী এলাকা দেখানো হলেও বিজিবির পরবর্তীতে পুলিশকে আইন-শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণ করতে দেখানো হয়েছে। আবার মাফিয়ারা মন্ত্রী এমপিদের নিয়ন্ত্রণ করছে, এমনটাও দেখানো হয়েছে।
‘বর্ডার’ নিয়ে সেন্সর বোর্ডের এসব বক্তব্যের ব্যাপারে পরিচালক সৈকত নাসির আগেই বলেছিলেন, যেসব ভুলের কথা বলা হচ্ছে তা ঠিক নয়। তিনি বলেন, ‘আমরা সীমান্তবর্তী এলাকার গল্প বললেও সীমান্তের গল্প বলি নাই। আমরা সীমান্তবর্তী এলাকার একটি থানার গল্প বলেছি। সেখানকার একটি বিশেষ ঘটনা নিয়ে পুলিশ কাজ করে। তাছাড়া গল্পে একটা পর্যায়ে পুলিশ সীমান্তে যায়, তখন অফিসার তার অধীনস্থকে জিজ্ঞেস করেন, এটা তো সীমান্ত এলাকায়, এখানে কিন্তু বিজিবির অনুমতি নিতে হবে। তা নেওয়া হয়েছে কীনা? জবাবে তাকে জানানো হয় লিখিত ও মৌখিক দুই ধরনের অনুমতিই নেওয়া হয়েছে। অর্থাৎ আমাদের ভালো করেই ধারণা আছে সীমান্ত এলাকায় কার কী দায়িত্ব।’
‘আর মন্ত্রী, এমপির কোনো গল্পই আমরা দেখাইনি। শুধু দেখিয়েছি একজন পিএসের গল্প। কিন্তু সে কীসের পিএস তা তো আমরা গল্পে বলি নাই। কেউ যদি ধরে নেন সে মন্ত্রী, এমপির লোক- তা তো দুঃখজনক।’
সীমান্তবর্তী এলাকার গল্প নিয়ে নির্মিত (তৎকালীন) ছবি ‘বর্ডার’-এর প্রথম সেন্সর প্রদর্শনী হয় ২২ আগস্ট।
‘সুলতানপুর’-এর কাহিনি লিখেছেন আসাদ জামান। প্রধান চরিত্রে অভিনয় করেছেন আশীষ খন্দকার। আরও আছেন সুমন ফারুক, সাঞ্জু জন, অধরা খান, রাশেদ মামুন অপু, মৌমিতা মৌ, শাহিন মৃধা। প্রযোজনা করেছেন ম্যাক্সিমাম এন্টারটেইনমেন্ট।