Select Page

নেগেটিভ আলোচনায় মামলার হুমকি, পরে তুলে নেয়া হলো পোস্ট

নেগেটিভ আলোচনায় মামলার হুমকি, পরে তুলে নেয়া হলো পোস্ট

পরিচালক-কলাকুশলীরা বলছেন সিনেমা হাউজফুল, প্রমাণ হিসেবে ভিডিও ও স্থিরচিত্র হাজির করা হচ্ছে। কোনো কোনো দর্শক প্রশংসায় ভাসিয়ে দিচ্ছেন, সেগুলো শেয়ারও করছেন সংশ্লিষ্টরা। আবার দর্শক খরার কারণে কোনো কোনো শো বন্ধ থাকছে। এমন পরিস্থিতিতে ‘নেগেটিভ আলোচনা’র জন্য আইনের আশ্রয়ের হুমকি দিলেন ‘সুলতানপুর’ পরিচালক সৈকত নাসির। পরে তিনি পোস্ট তুলেও নেন।

গত শুক্রবার (২ জুন) মুক্তি পেয়েছে সিনেমাটি। সীমান্ত এলাকা কেন্দ্রিক নির্মিত ‘সুলতানপুর’ সেন্সরের আপত্তির মুখে নাম ও কিছু আনতে বাধ্য হয়েছিল।

গতকাল রোববার (৪ জুন) সৈকত নাসির ফেসবুকে লেখেন, ‘সিনেমা রিলিজ হলে সেই সিনেমা নিয়ে মার্কেটিং করা কি অন্যায়? কিছু মানুষ সিনেমার রিলিজের দুইদিন না যেতেই উল্টাপাল্টা নেগেটিভ আলোচনা করে নিজেদের আলোচনা আনতে চায়।

একটা সিনেমার মুক্তির অন্তত দুই সপ্তাহ পরে, সিনেমার নেগেটিভ পজিটিভ নিয়ে আলোচনা করা উচিত। এর পূর্বে আপনার আলোচনায় সিনেমা ব্যবসায়িক কোনো ক্ষতির কারণ হলে সিনেমার প্রযোজক আপনার বিরুদ্ধে আইনের আশ্রয় নিতে পারেন।

আমরা কিছু মানুষের লিস্ট করেছি যারা ইউটিউবে/সোশ্যাল মিডিয়ায় দুইটা টাকার জন্য আমাদের কোটি টাকার সিনেমার ব্যবসায়িক ক্ষতি করছে। তাদের বিরুদ্ধে আমরা আইনের আশ্রয় নিতে বাধ্য হচ্ছি।’

অবশ্য তুমুল আলোচনা-সমালোচনার মুখে আজ সোমবার (৫ জুন) পোস্টটি তুলে নিয়েছেন পরিচালক।

এ দিকে ‘সুলতানপুর’ দেখতে গিয়ে দর্শক খরার কারণে প্রদর্শিত না হওয়ায় ফিরে আসেন অভিনেতা ও লেখক আহসান কবির। সেই পোস্ট নিয়েও শুরু হয় বিতর্ক।

‘সুলতানপুর ট্রাজেডি’ শিরোনামে ফেসবুকে আহসান কবির লেখেন, ‍‘বাজারের টাকা মেরে খুব ছোটকাল থেকে বাংলা ছবি দেখা শুরু করেছিলাম। এই নেশা আজও কাটেনি! তবে আজকের মতো অভিজ্ঞতা কখনো হয়নি জীবনে।

২০১৯ সালে একবার ভারতের ত্রিপুরাতে আংশিক এমন হয়েছিল। বাংলাদেশ থেকে যাওয়া আমরা চারজন বিগ বাজারের (এখন স্মার্ট বাজার) উপরে সিনেপ্লেক্সে টিকেট কেটে বসে আছি। ছবি শুরু হচ্ছে না। নির্দিষ্ট সময় পার হবার পর জানতে চাইলাম- কী কারণ? হলের একজন জানালেন অন্ততঃ এসি খরচ উঠাতে সাতটা টিকিটে বিক্রি হতে হবে! যাই হোক পরে আরও চারজন আসাতে ছবিটি দেখতে পেরেছিলাম।

আজ (০৩ জুন) নয়টার আগে গিয়েছিলাম মধুমিতা হলে সুলতানপুর দেখতে। সম্ভবত এসি খরচ ওঠেনি বলে ছবিটা চালানো হয়নি। ট্রাজেডি হলেও কমেডি এই যে টিকেটের টাকা ফেরত পেয়েছি! জয় হোক বাংলা ছবির।’

সেই পোস্ট শেয়ার করেছেন সাংবাদিক গোলাম রাব্বানী। সেখানে সৈকত নাসির মন্তব্যের ঘরে বলেছেন, ‘Vai Jan apnader eto anondho keno?.. Ekta cinema apnara dekhte Jan na manush gonte Jan? Ekhon jati onek kiso e buje. Goto 1bosore 9 tar show te kotojon lok silo khuj niye dekhen.(ভাইজান আপনাদের এতো আনন্দ কেন? একটা সিনেমা আপনারা দেখতে যান না মানুষ গুনতে যান? এখন জাতি অনেক কিছুই বুঝে। গত এক বছরে ৯টার শোতে কতজন লোক ছিলো খোঁজ নিয়ে দেখেন)।’

ওই মন্তব্য ঘিরেও বেশ তর্ক দেখা যায়। যেখানে গোলাম রাব্বানী বলেন, ‘সৈকত নাসির, কাউকে ব্যক্তিগত আক্রমণ ভালো কাজ না। তিনি টাকা দিয়ে টিকিট কেটে সিনেমা দেখতে গেছেন। তিনি তার মত প্রকাশের অধিকার রাখেন। এইটুকু সহ্য করার ক্ষমতা আপনাদের নাই?’

অবশ্য অন্য এক পোস্টের মন্তব্যের ঘরে মধুমিতা সিনেমা হলের সাউন্ড ও প্রজেক্টর নিয়ে বিরক্তি প্রকাশ করে সৈকত নাসির বলেন, ‘আমি খুবই খুশি হয়েছি আপনি ছবিটি দেখতে পারেননি’।

সব মিলিয়ে নানা ধরনের আলোচনায় ফেসবুক মাতিয়ে রেখেছে ‘সুলতানপুর’।

ছবির মূল গল্প লিখেছেন পরিচালক। চিত্রনাট্য ও সংলাপ আসাদ জামান। অভিনয় করেছেন আশীষ খন্দকার, অধরা খান, সানজু জন, রাশেদ মামুন, মৌমিতা মৌ, ফারুখ সুমন, বিলাস খান, সেতু, শাহিন মৃধা প্রমুখ।


মন্তব্য করুন