বাংলা নাটকের সফল ট্রেডমার্ক ‘বানিয়েছেন আশফাক নিপুণ’
এই সময়ে বাংলাদেশের টেলিভিশনে যে কয়জন নির্মাতা ভিন্নধর্মী কাজ নিয়ে দর্শকদের কাছে ব্যাপক জনপ্রিয়তা লাভ করেছেন তাদের অন্যতম আশফাক নিপুণ। নির্মাণের মুনশিয়ানা, ভিন্নধর্মী কিন্তু বাস্তবতার আলোকে লেখা কনটেন্ট যা আমাদের সমাজ ব্যবস্থার নানা দিক অত্যন্ত সুনিপুণভাবে তুলে নিয়ে আসা এবং দেশসেরা গুণী এবং দক্ষ অভিনয়শিল্পীদের চেনা ছকের বাইরে এনে অন্যভাবে তুলে ধরা— এ সব নানা কারণেই তার নাটক বা টেলিফিল্ম নিয়ে সবার মধ্যেই আলাদা একটা আগ্রহ লক্ষ্য করা যায়।
নির্মাতা হিসেবে যাত্রা শুরু করেছিলেন ২০০৬ সালে, সেই হিসেবে কিছুদিন আগে ১৫টি বছর পার করলেন এই তিনি।
নাটক বা সিনেমার মাধ্যম ব্যবহার করে কেউ গল্প বলেন, আবার কেউ গল্প দেখান, কিন্তু আশফাক নিপুণ তার মুনশিয়ানা দিয়ে আমাদের খুব সহজেই গল্পের ভেতরে নিয়ে যান। এই যাওয়াটা যেন একটা জার্নি, যে জার্নিটা আমাদের পরিচিত, খুব চেনা, কিন্তু কেন যেন কখনো সেভাবে মনোযোগ দিয়ে দেখা হয়নি। তাই হয়তো ভালো লাগার পরিমাণটা অনেক বেশি কাজ করে। কারণ এই নতুনভাবে দেখাটাই আমাদের অন্যরকম আনন্দ দেয়, ভিন্ন অনুভূতি এনে দেয়। নির্মাতার সার্থকতা বা দক্ষতা মনে হয় একেই বলা হয়। আর এই সূত্রে তিনি শতভাগ সফল। বিশেষ করে তার বিগত কিছু কাজ তো অসাধারণ মাত্রা যোগ করেছে।
ইউটিউব, অনলাইনের নানা প্ল্যাটফর্ম এবং ভিউ-এর ভিত্তিতে জনপ্রিয়তা পরিমাপ করার এই অস্থির সময়ে অনেকটাই বেসামাল পরিস্থিতি পার করছে আমাদের টেলিভিশন ইন্ডাস্ট্রি। ইন্টারনেট ও রিমোটের কল্যাণে এখন চোখের পলক ফেলার আগেই বিশ্বের যে কোনো প্রান্তের যে কোনো কনটেন্ট দেখার সুযোগ আমাদের হাতের মুঠোয়। তাই অবাধ সংস্কৃতির যুগে দর্শকদের পালস বোঝা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটা বিষয়। জনপ্রিয় তারকাদের উপস্থিতির কারণে ভিউ হয়তো বাড়ানো যায় তবে নতুনত্ব বা ভিন্নতা নিয়েই মানসম্পন্ন ও স্বতন্ত্র কাজ সব সময়ই আলোচনা এবং প্রশংসা কুড়ায় যা যুগের পর যুগ বাঁচিয়ে রাখে শিল্পীদের। বিগত কয়েক বছর ধরেই নিজের স্বতন্ত্রতা বজায় রেখে ধারাবাহিকভাবে মানসম্মত কাজ উপহার দিচ্ছেন এই মেধাবী নির্মাতা।
সমাজের নানা অসংগতি বা সমস্যা যা আমাদের খুব পরিচিত সেসব বিষয় অসাধারণ নৈপুণ্যের মাধ্যমে তুলে ধরেছেন নিপুণ। রোমান্টিক নাটকের জোয়ারের মাঝেও তার নাটকে ধর্মীয় সাম্প্রদায়িকতা, গুজব এবং সমাজে তার প্রভাব, প্রশ্নপত্র ফাঁস, গুম ইত্যাদি নানা বিষয় উঠে এসেছে। গৎবাঁধা গল্পের বাইরে এসে এই অকুতোভয় ও দুঃসাহসী পদক্ষেপ তাকে অন্য সব নির্মাতাদের থেকে আলাদা করেছে অনায়াসেই।
২০০৬ সালে চ্যানেল ওয়ানে প্রচারিত ছবিয়াল উৎসবে তার পরিচালনার প্রথম টেলি-ফিকশন ‘টু ইন ওয়ান’ প্রচারিত হয়েছিল। সেই ফিকশনে অভিনয়ও করেছিলেন তিনি। প্রথম কাজেই নিজের ভিন্নতা ও নান্দনিকতার ছাপ রেখেছিলেন আশফাক নিপুণ। গতানুগতিক স্রোতে যে তিনি ভাসবেন না তা বুঝিয়ে দিয়েছিলেন ভালোভাবেই। স্রোতের বিপরীতে হেঁটেই তিনি একের পর এক উপহার দিয়েছেন মধুরেণ সপায়েৎ, অবাক ভালোবাসা, দ্বন্দ্ব সমাস, ফেরার পথ নেই, মিস শিউলি, এই শহরে, সোনালী ডানার চিল, পথের মাঝে গল্প, মুকিম ব্রাদার্স, আগন্তুক, সাহেব মেমসাহেব, আলপনা কাজল, মুখ ও মুখোশের গল্পসহ অসংখ্য জনপ্রিয় নাটক। সাম্প্রতিক সময়ে নাট্যজগৎ নিয়ে হতাশ অনেক দর্শকও নাটকগুলো গ্রহণ করেছেন বেশ ভালোভাবেই।
চট্টগ্রামে বড় হলেও নাটক নিয়ে বরাবরই আগ্রহী ছিলেন। নির্মাতা হিসেবে কাজ করার ইচ্ছাই একটা সময়ে ঢাকায় নিয়ে আসে তাকে। নন্দিত ও গুণী নির্মাতা মোস্তফা সরয়ার ফারুকীর ছবিয়ালের মাধ্যমেই নির্মাণে আসেন নিপুণ। আলোচনায় আসেন তাহসান ও মিথিলা জুটিকে নিয়ে নির্মিত ‘মধুরেণ সপায়েৎ’-এর মাধ্যমে। বিজ্ঞাপন ও সে সময়ে বাস্তব জীবনের এই জনপ্রিয় জুটির প্রথম নাটক এটি। আশফাক নিপুণের পরিচালনা, একটু ভিন্ন কনটেন্ট এবং তাহসান-মিথিলা জুটি সব মিলিয়ে বেশ জনপ্রিয়তা পেয়েছিল নাটকটি। এরপর সুখের ছাড়পত্র, ল্যান্ডফোনের দিনগুলিতে প্রেম, সে এবং সে-এর মতো জনপ্রিয় নাটক উপহার দিয়েছেন এই ত্রয়ী।
গায়ক পার্থ বড়ুয়া ও দক্ষ অভিনেত্রী অপি করিমকে নিয়ে খুঁটিনাটি খুনসুটি, অবাক ভালোবাসা নাটক নির্মাণ করে আশফাক নিপুণ প্রমাণ করেন তিনি শুধু ভালো পরিচালকই নন সঙ্গে সঙ্গে বাংলা নাটকে দর্শকপ্রিয় জুটি বানাতেও পারদর্শী। পার্থ-অপি জুটি ব্যাপক জনপ্রিয়তা লাভ করে। জনপ্রিয় জুটি তাহসান-তিশাকে নিয়ে অনেক জনপ্রিয় নাটক উপহার দিয়েছেন আশফাক নিপুণ। পথের মাঝে গল্প, শুনতে কি পাও বা সাম্প্রতিক ‘মুখ ও মুখোশের গল্প’ অন্যতম।
নিপুণের পরিচালিত ধারাবাহিক ‘মুকিম ব্রাদার্স’ অসাধারণ জনপ্রিয়তা লাভ করে। এসব নাটক ও নির্মাণের মুনশিয়ানা দিয়ে টিভি ইন্ডাস্ট্রিতে বেশ শক্ত জায়গা তৈরি করতে সক্ষম হন তিনি। এ ছাড়া ২০১৪ সালে শখ, আবির এবং ইরেশ যাকেরকে নিয়ে নির্মিত কমেডি ঘরানার ‘আলপনা কাজল’ নাটকটি প্রশংসা পায়। তিশা ও আবিরকে নিয়ে ‘রেইনবো’ নাটকটির সাহসী বক্তব্য নিয়ে হাজির হলে চমকে যান অনেকেই। পরবর্তীতে অবশ্য নাটকটি ইউটিউব থেকে সরিয়ে ফেলা হয়।
২০১৭ সালে ‘আয়নাবাজি অরিজিনাল সিরিজ’ এবং ‘ছবিয়াল রিইউনিয়ন’ নামে একটি উৎসব হয়েছিল, এই উৎসবে আশফাক নিপুণ একমাত্র নির্মাতা যার পরিচালিত নাটক দুটি উৎসবেই জায়গা পেয়েছিল। আয়নাবাজি অরিজিনাল সিরিজে ‘দ্বন্দ্ব সমাস’-এর জন্য প্রথমবারের মত নির্মাতা হিসেবে ‘মেরিল প্রথম আলো পুরস্কার’ জিতে নেন। ২০১৮ সালে সামাজিক বাস্তবতার নিরিখে তার পরিচালনায় তিনটি নাটক সোনালি ডানার চিল, ফেরার পথ নেই, কানামাছি ভোঁ ভোঁ প্রশংসা ও জনপ্রিয়তা পেয়েছিল দর্শকদের কাছ থেকে। পাশাপাশি হালকা মেজাজের রোমান্টিক নাটক ‘লায়লা, তুমি কি আমাকে মিস করো’ দিয়ে প্রমাণ করেছিলেন তিনি সব ধরনের সাবজেক্ট নিয়েই কাজ করতে পারদর্শী।
নাটকে অনিয়মিত অপি করিমকে গত বছর অসাধারণ প্রেজেন্টেশনের ‘মিস শিউলি’ টেলিফিল্মটি নতুন করে জনপ্রিয়তা এনে দেয়। এই বছরেই অন্য আরেকটি নাটকে এই প্রজন্মের সামাজিক অবক্ষয় ও ধর্ষণের বিষয়বস্তু নিয়ে ‘আগন্তুক’ সাড়া ফেলে। গুজব ও তার প্রভাব নিয়ে নির্মিত ‘এই শহরে’ নিপুণকে নিয়ে যায় এক ভিন্ন উচ্চতায়। ভালোবাসা দিবসে তাহসান-তিশা জুটি ‘মুখ ও মুখোশের গল্প’ ভালোবাসার সংজ্ঞা নতুন করে আমাদের সামনে নিয়ে আসে। ব্যাপক জনপ্রিয়তা ও প্রশংসা পায় নাটকটি।
বিগত কয়েক বছরে ঈদ বা বিশেষ দিন মানেই আশফাক নিপুণের নাটক নিয়ে দর্শকদের মাঝে এক ধরনের আগ্রহ লক্ষ্য করা যাচ্ছিল। সগত বছরের রোজার ঈদে করোনার কারণে নতুন নাটক না থাকলেও কোরবানির ঈদে দুটি টেলিফিল্ম ও শর্টফিল্ম নিয়ে হাজির হয়েছিলেন। শিল্পী সরকার অপু, ঈশিতা, আফরান নিশো ও আবিরকে নিয়ে ‘ইতি মা’ তার ক্যারিয়ারের অন্যতম সেরা কাজ বলে বিবেচিত হয়। সব শ্রেণির দর্শকদের কাছ থেকে ভূয়সী প্রশংসা পান এই টেলিফিল্ম দিয়ে। গতানুগতিক প্রেম বা রোমান্টিক ঘরানার বাইরে মধ্যবিত্ত পরিবারের গল্প মন ছুঁয়েছে সকলের।
গত ঈদের অন্য কাজটি হচ্ছে ‘ভিকটিম’। মেধাবী অভিনেত্রী অপি করিমকে নিয়ে তার সবগুলো কাজই প্রশংসনীয় ও জনপ্রিয়। ‘ভিকটিম’ এ অপির সঙ্গে আছেন আফরান নিশো, সাফা কবিরসহ আরও। নিরাশ করেননি অপি-নিপুণ-নিশো ত্রয়ী। চেনা গল্পই নির্মাণের মুনশিয়ানা দিয়ে নান্দনিক কাজ হিসেবে স্বীকৃতি লাভ করে। অন্যদিকে সোলাইমান খোকা, সাবিলা নূরকে নিয়ে শর্টফিল্ম ‘অযান্ত্রিক’ করোনাকালের একটি সেনসিটিভ ইস্যু তুলে ধরেছে।
বিনোদনের নতুন মাধ্যম ওটিটিতেও আশফাক নিপুণ হাজির হয়েছেন এই বছরে। ভারতীয় প্ল্যাটফর্ম ‘হইচই’-এর প্রথম পারিবারিক ড্রামা ‘কষ্টনীড়’ দিয়ে আলোচনায় আসেন তিনি। এই ওয়েবফিল্মে একটি বাড়ি, সাতজন মানুষের ভিন্ন ভিন্ন গল্প এবং সেই বাড়িতে একত্রিত হলে তাদের ব্যক্তিগত টানাপোড়েন, নিজেদের গল্প এবং একে অন্যর প্রতি দৃষ্টিভঙ্গি সবকিছুই উপস্থাপন করা হয়েছে খুব চেনা কিন্তু ভিন্নতার সঙ্গেই। আগেই বলেছি, নিপুণ বরাবরই সমসাময়িক ইস্যু কিন্তু আমরা সেভাবে মনোযোগ দিয়ে দেখি না বা খেয়াল করি না, সেসব বিষয় নান্দনিক ফ্রেমে উপস্থাপন করেন।
তবে নির্মাতা হিসেবে আশফাক নিপুণ একটি আলাদা ট্রেডমার্ক গড়ে নিয়েছেন হইচই-এ রিলিজ পাওয়া ‘মহানগর’ দিয়ে। রাজধানী ঢাকায় গভীর রাতে ঘটে যাওয়া একটি ঘটনাকে কেন্দ্র করে কয়েকজন মানুষের জীবনের গল্প এতই স্বতন্ত্রভাবে উপস্থাপন করেছেন তিনি যা এককথায় অসাধারণ। এই কনটেন্ট ওপার বাংলা ও সারা বিশ্বে ছড়িয়ে থাকা বাংলাভাষী দর্শকদের কাছে ব্যাপক প্রশংসা লাভ করে। কলকাতার সুপারস্টার প্রসেনজিৎ থেকে শুরু হইচই-এর স্বত্বাধিকারী সবাই ‘মহানগর’ এর প্রশংসায় পঞ্চমুখ। মোশাররফ করিম, শ্যামল মাওলা, জাকিয়া বারী মম, খায়রুল বাসারের পাশাপাশি এই সিরিজ দিয়ে মোস্তাফিজুর নূর ইমরান ও নাসির উদ্দিন অভিনয় দক্ষতা দিয়ে রীতিমতো আলোচনায়।
আশফাক নিপুণের যে কোনো ফিকশনে আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় লক্ষ্য করা যায়, প্রতিটি চরিত্রই সেটার রানটাইম বড় থাকুক বা স্বল্প সময়ের জন্য হোক তা নজর কাড়ে। এই সময়ে এসে ব্যাপারটা প্রায় উঠেই যাচ্ছিল, তবুও নিপুণসহ কয়েকজন নির্মাতার কল্যাণে এখনো সেটি বজায় আছে।
আশফাক নিপুণের নাটকে অপি করিম, তাহসান, তিশা, মেহজাবীন, আফরান নিশো বা এই সময়ের ইয়াশ রোহান, সাফা কবির, আবির তাদের পরিচিত গণ্ডি থেকে বের হয়ে যেন ভিন্ন এক রূপে হাজির হন। বিশেষ করে একই ধরনের গল্পে একই রকম অভিনয় নিয়ে সমালোচিত মেহজাবীন ও নিশো যেন নিপুণের নাটকে অভিনয়ের মাধ্যমে সকল সমালোচনা ও অভিযোগের জবাব দিয়ে দেন। অভিনেত্রী হিসেবে মেহজাবীনের সফলতার পেছনে আশফাক নিপুণ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন— এ কথা বললে খুব একটা ভুল হয় না।
করোনা পরিস্থিতিতে বাসায় থাকলেও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বেশ সরব ছিলেন দেশ সেরা এই নাট্যনির্মাতা। বিনা কারণে সাংবাদিক কাজল গ্রেপ্তার এবং মত প্রকাশের ক্ষেত্রে হয়রানিমূলক ডিজিটাল আইনের অপব্যবহার নিয়েও বেশ সোচ্চার তিনি। নিয়মিত এ সব ইস্যুতে নিজের বক্তব্য সবার সঙ্গেই শেয়ার করছেন। এ ছাড়া এই ভয়াবহ সময়ে দেশের নানা সেক্টরের অনিয়ম নিয়েও নিজের মতামত জানিয়েছেন সাহসিকতার সঙ্গে। এখানেই ইন্ডাস্ট্রির অন্য অনেকের চেয়ে আলাদা নিপুণ। সত্য বা নিজের মনের কথাটা বলতে ভয় পান না তিনি।
ব্যক্তি জীবনে আলোচিত মিডিয়া ব্যক্তিত্ব ও জনপ্রিয় গায়িকা এলিটার সঙ্গে সুখে সংসার করছেন আশফাক নিপুণ।
নাট্যজগতে সফল পদচারণার পর বেশির ভাগ নির্মাতার লক্ষ্য থাকে সিনেমা নির্মাণের প্রতি। কারণ বিনোদন ইন্ডাস্ট্রির সবচেয়ে বড় ও তাৎপর্যময় মাধ্যম হচ্ছে চলচ্চিত্র। সেই ধারাবাহিকতায় এই মেধাবী নির্মাতাও তার পরিচালিত প্রথম সিনেমার নাম ঘোষণা দিয়েছিলেন কিছুদিন আগে। ‘গোল্লা’ নামের সিনেমাটির প্রি-প্রোডাকশনের কিছু কাজ গুছিয়ে নিয়ে বিস্তারিত জানানোর কথা ছিল তার। তবে এর মাঝেই করোনা পরিস্থিতিতে সব থমকে যাওয়ায় আপাতত কিছুই জানা যায়নি। তবে নাটকের মতোই সিনেমাতেও তিনি তার দক্ষতা এবং মেধা দিয়ে ভিন্নধর্মী কিছু নিয়ে হাজির হবেন তা বলার অপেক্ষা রাখে না। বাস্তবতা অবলম্বনে সামাজিক নানা ইস্যু নিয়ে তার করা কাজ এবং যেকোনো বিষয় ভিন্নভাবে দেখার শক্তি তাকে নিয়ে যাবে আরও অনেক দূর, এটাই আমাদের কামনা।
তার প্রতিটা কাজই ভিন্ন গল্প বলে তবে প্রতিটা গল্পই আমাদের জীবনের সঙ্গে জড়িত গল্প। তাই আমাদের দেশের দর্শকদের এ সব কাজের সঙ্গে রিলেট করাটা সহজ হয়। এই গুণী নির্মাতা তার নাটক, টেলিফিল্মে মধ্যবিত্ত শ্রেণির ইমোশন, চাওয়া-পাওয়ার ব্যবধান, সম্পর্কের টানাপোড়েন এসব বিষয় তুলে ধরেছেন বারবারই। সামনের দিনে ছোট পর্দার পাশাপাশি নিয়মিতভাবে বড়পর্দায় ‘বানিয়েছেন আশফাক নিপুণ’ এই ট্যাগলাইন দেখার অপেক্ষায় আমরা। শুভকামনা রইল এই তরুণ কিন্তু মেধাবী নির্মাতার জন্য।