Select Page

বাজেটে অবহেলিত চলচ্চিত্র শিল্প

বাজেটে অবহেলিত চলচ্চিত্র শিল্প

image_44116২০১২ সালের এপ্রিলে প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশের চলচ্চিত্রকে শিল্প ঘোষনা করেন।  তথ্যমন্ত্রী শুনিয়েছিলেন নানা আশার বাণী।

শিল্প ঘোষনার ২ মাস পর ২০১২-১৩ অর্থবছরের বাজেটে উপেক্ষিত হয় চলচ্চিত্র শিল্প।  কিন্তু ২০১৩-১৪ সালের অর্থবছরের বাজেটেও কোন আশার বাণী মেলে নি।

২০১২-১৩ অর্থ বছরে সর্বসাকুল্যে মাত্র ৫৯ কোটি ১৮ লক্ষ টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়। যা দিয়ে হাতেগোনা কিছু যন্ত্রপাতি ক্রয় করা হয়।

বর্তমান তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু দায়িত্ব গ্রহণের পর এই শিল্পের উন্নয়নে বিভিন্ন প্রতিশ্রুতির কথা শোনা গেছে নানান সময়ে। এরই মাঝে তিনি কলকাতা দিল্লিও ঘুরে আসলেন বাংলাদেশের চলচ্চিত্র শিল্পের উন্নয়ন লক্ষ্যে। সক্রিয়তা দেখা গেছে ভারত থেকে চলচ্চিত্র আমদানি করে এ দেশের প্রেক্ষাগৃহে প্রদর্শনের উদ্যোগে। এই চলচ্চিত্রগুলো একদমই বাজার পায়নি।

চলচ্চিত্র সেক্টরকে শিল্প ঘোষনার এক বছর আগে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন চলচ্চিত্র শিল্পের উন্নয়নে সরকার জাতীয় চলচ্চিত্র নীতিমালা প্রণয়ন করবে। প্রধানমন্ত্রীর সেই ঘোষনার অনুকূলে ২ বছর পর চলতি বছর মে মাসে জাতীয় চলচ্চিত্র নীতিমালা প্রস্তুতের জন্য একটি কমিটি গঠন করা হয়। তথ্য মন্ত্রণালয়ের সচিবকে আহ্বায়ক ও চলচ্চিত্র উন্নয়ন করপোরেশনের এমডিকে সদস্য সচিব করে ১০ সদস্যের কমিটিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, সাংবাদিক, চলচ্চিত্র ব্যক্তিত্বদের সদস্য হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। নীতিমালার খসড়া প্রস্তুত করতে কত সময় লাগবে কেউ জানে না।

প্রযুক্তিগত উৎকর্ষতা, অবকাঠামো উন্নয়ন, দীর্ঘমেয়াদী ঋণ গ্রহণের সুবিধা, কর অবকাশ, শক্তিশালী বিপনন ব্যবস্থা, উদার নিয়ন্ত্রনসহ অন্যান্য সহায়ক বিভাগের উন্নয়নের মাধ্যমে শিল্প হিসেবে চলচ্চিত্র মাথা তুলে দাঁড়াবে বলে মনে করেন চলচ্চিত্র সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিবর্গ।

একটি আধুনিক ফিল্ম সিটি, ফিল্ম ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠার দাবি দীর্ঘ দিনের। গাজীপুরে ফিল্ম সিটি স্থাপনের জন্য ভূমি বরাদ্ধ হয়েছে কয়েক বছর আগে। কিন্তু প্রকল্পের কোন খবর নেই। বিষয়টি ভূমি বরাদ্ধ পর্যন্তই রয়ে গেছে। প্রস্তাবিত বাজেটে এসব গুরুত্বপূর্ণ উন্নয়নে কার্যকর কোন উদ্যোগ কিংবা দিক নির্দেশনা নেই।

ডিজিটাল চলচ্চিত্রের যুগে চলচ্চিত্র প্রদর্শন ব্যবস্থায় আমুল পরিবর্তন আনতে হয়। হলগুলোর কারিগরি ব্যবস্থা পুরোপুরি পরিবর্তন করতে হয়। এই কাজটিও বেসরকারি একটি প্রতিষ্ঠানের হাতে চলে গেছে। অর্থাৎ প্রদর্শন ব্যবসা এখন একটি প্রতিষ্ঠানের হাতে জিম্মি হয়ে পড়ার সমূহ ঝুঁকির মধ্যে আছে।

প্রেক্ষাগৃহগুলো ডিজিটালাইজড করার দায়িত্ব বর্তায় চলচ্চিত্র উন্নয়ন কর্পোরেশনের উপর।

নতুন নতুন নির্মাতার আগমনে চলচ্চিত্র শিল্পে নতুন সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। কিন্তু সরকার কোন উদ্যোগ না নিলে সেই সম্ভাবনা প্রকাশের পথ খোলা থাকবে না।

সুত্র: কর্পোরেট নিউজ


মন্তব্য করুন