Select Page

‘বিউটি সার্কাস’ প্রসঙ্গে অমিতাভ রেজা: জয়ার আরো ভালো করার সুযোগ ছিল

‘বিউটি সার্কাস’ প্রসঙ্গে অমিতাভ রেজা: জয়ার আরো ভালো করার সুযোগ ছিল

মাহমুদ দিদার পরিচালিত ‘বিউটি সার্কাস’ সিনেমায় অভিনয়ের জন্য ২০২২ সালের জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারে সেরা অভিনেত্রী নির্বাচিত হয়েছেন জয়া আহসান। যৌথভাবে পুরস্কারটি ভাগিদার হয়েছে ‘শিমু’র রিকিতা নন্দিতা শিমু।

জয়ার পুরস্কার প্রসঙ্গে নির্মাতা অমিতাভ রেজা চৌধুরী বলেন, এ সিনেমায় জয়া আহসানের আরো ভালো করা সুযোগ ছিল।

বিষয়টি উঠে এসেছে বার্তা সংস্থা ইউএনবির একটি প্রতিবেদনে। সেখানে নিজের মন্তব্যের পক্ষে ব্যাখ্যাও দিয়েছেন তিনি।

অমিতাভ বলেন, ‘জয়া আহসান একজন দারুণ অভিনেতা। কিন্তু বিউটি সার্কাসে তিনি শতভাগ দিয়ে অভিনয় করতে পেরেছেন বলে আমার মনে হয় না। কারণ দুই থেকে তিন বছর ধরে সিনেমাটি নির্মাণ করা হয়েছে। একজন অভিনেতার জন্য এতদিন ধারাবাহিকতা ধরে রাখা কঠিন। তিনি যে অভিনয় খারাপ করেছেন সেটি একদমই নয়। আমি বলছি তার আরও ভালো করার সুযোগ ছিল।’

সবগুলো বিভাগের মতো সিনেমার টেকনিক্যাল দিকগুলোতে এবারের জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারের বিচারটা আরও গুরুত্ব পাওয়ার প্রয়োজন ছিল বলে মনে করছেন অমিতাভ রেজা।

তিনি বলেন, ‘সিনেমার সর্বোচ্চ রাষ্ট্রীয় সম্মাননা জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার। একটি বিষয় আমার অবাক লাগে এবার যেভাবে শিল্প নির্দেশনা বা চিত্রগ্রাহক বিভাগগুলোতে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে সেভাবে টেকনিক্যাল জায়গায় বিচারটা ঠিকমতো হয়নি আমার মনে হয়। কিছুদিন আগেই এফডিসির এক পুরস্কার অনুষ্ঠানের আমি জুরি ছিলাম। সেখানে সবগুলো সিনেমাই আমার দেখা হয়েছে। সেই জায়গা থেকে বলছি।’

অন্যদিকে নতুন সিনেমা নির্মাণের কোনো খবর নেই এই নির্মাতার। এ প্রসঙ্গে বলেন, ‘আসলে সিনেমা বানানো তো সবচেয়ে আনন্দের কাজ। কিন্তু দর্শকদের রুচি ও মনন যেদিকে যাচ্ছে এতে সিনেমা নির্মাণের অনুপ্রেরণা পাচ্ছি না। তবে ওটিটিতে কাজ করছি। গল্প নিয়ে এখন কাজ চলছে। সামনে হয়তো কিছু জানাতে পারব।’

গত ২০২১-২২ অর্থবছরে অর্থবছরে প্রযোজক হিসেবে সর্বোচ্চ ৭৫ লাখ টাকা অনুদান পেয়েছিলেন অমিতাভের বোন মাহজাবিন রেজা চৌধুরী। ‘১৯৬৯’ নামের সিনেমাটি পরিচালনা করার কথা অমিতাভের। এর মধ্যে প্রায় দুই বছর কেটে গেলেও সিনেমাটি কী অবস্থায় রয়েছে এ নিয়ে কোনো প্রশ্ন ছিল না ওই প্রতিবেদনে।

এর আগে ২০২০-২১ অর্থবছরে অনুদানে নির্বাচিত একটি সিনেমা নির্মাণের কথা ছিল অমিতাভ রেজার। সে দফায় হুমায়ূন আহমেদের ‘পেন্সিলে আঁকা পরী’ উপন্যাস নিয়ে সিনেমা নির্মাণের জন্য ৬০ লাখ টাকা অনুদান দিয়েছিল সরকার। তবে এই সিনেমা নির্মাণ না করে অনুদানের টাকা সরকারকে ফেরত দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি। মূলত হুমায়ূন পরিবারের সদস্যদের স্বত্ব বিষয়ক শর্তের কারণে সরে আসেন ‘আয়নাবাজি’-খ্যাত নির্মাতা।


মন্তব্য করুন