Select Page

বিগ বাজেটের হতাশা “মাই নেম ইজ খান”।

বিগ বাজেটের হতাশা “মাই নেম ইজ খান”।

My-Name-Is-Khan-B-217x275দেখলাম “মাই নেম ইজ খান”।

বদিউল আলম খোকনের সিনেমায় নাটকীয়তার ব্যাপারে সুখ্যাতির কথা আগেই শুনেছিলাম। কিন্তু “মাই নেম ইজ খান” এ খোকন সাহেব বোধহয় অতি নাটকীয় সব ব্যাপার-স্যাপার দেখানোর বিষয়ে বদ্ধপরিকর ছিলেন।

বাংলা সিনেমার কাহিনীর ধারা বদলালেও, বদলায়নি তা চিত্রায়নের ধরণ। কাহিনীর ধারাও যে খুব একটা বদলেছে তা নয়। সেই চিরাচরিত চৌধুরী আর খান পরিবারের বংশের মান-মর্যাদা আর মিথ্যে আভিজাত্যের অহংকার মাখা সংলাপ আমাদেরকে আজও শুনতে হচ্ছে।

আড়াই কোটি টাকা বাজেটের ছবিতে গাড়ি বিষ্ফোরনের দৃশ্য দেখাতে বিদেশী সিনেমার কাট-পিছ এর সাহায্য নিতে হয়; একজন বাঙালী সিনেমাপ্রেমী দর্শক হিসেবে সে দৃশ্য দেখতে আমাদের ভীষণ লজ্জা লাগে।

দিনে দিনে বর্হিঃবিশ্বের চলচ্চিত্র শিল্প যেখানে প্রযুক্তিগত উৎকর্ষতার শীর্ষে আরোহন করছে সেখানে বাংলা চলচ্চিত্র অঙ্গনে ডিজিটাল সিনেমার ধাক্কায় এখন অ-ডিজিটাল সিনেমা গুলোও পেক্ষাগৃহ গুলোর পেশাদারীত্ব হারিয়ে প্রদর্শিত হচ্ছে মাল্টিমিডিয়া প্রজেক্টরের সাহায্যে। পেক্ষাগৃহে গিয়ে যখন ক্লাসিক মিডিয়া প্লেয়ারে চালানো সিনেমা দেখতে হয়, তখন অভিযোগ করার ভাষাও থাকে না। বর্গাকৃতির ঘোলাটে সাদা পর্দাজুড়ে নেই ৩৫ মিলিমিটারের স্বাদ। প্রশ্ন থেকে যায়, ঢালিউডের শীর্ষ সব তারকা অভিনীত ঈদের ছবি সিনেমাস্কোপ ছাড়া রিলিজ হয় কিভাবে ?

শাকিব খান এক টেলিভিশন টক শো তে বাংলা চলচিত্রকে ঘিরে তার স্বপ্ন প্রসঙ্গে বলছিলেন যে, উনি এমন দিনের প্রত্যাশায় আছেন, যখন আমরা ইউরোপ, আমেরিকা বা মধ্য-প্রাচ্যের কোন সিনেমা হলে বসে হলিউড মানের বাংলা সিনেমা দেখতে পারব।

বাস্তবতা হচ্ছে, আমাদের চলচ্চিত্র যেভাবে এগুচ্ছে, তাতে বর্তমান হলিউড মানের সিনেমা বানাতে আমাদের যে সময় লাগবে ততদিনে মানুষ হয়ত মঙ্গল গ্রহে কোন সিনেপ্লেক্স তৈরী করে সিনেমা দেখবে।


মন্তব্য করুন