Select Page

বুলবুলও মনে করেন ‘অসামাজিক’ গানে সুর করেছেন

বুলবুলও মনে করেন ‘অসামাজিক’ গানে সুর করেছেন

# হাজীর বিরিয়ানি গান নিয়ে আপত্তি পৌঁছেছে তথ্য প্রতিমন্ত্রী বরাবর
# প্রতিবাদ শুরু করেছেন আহমেদ ইমতিয়াজ বুলবুল। তার বিরুদ্ধেও অশ্লীল গান তৈরির অভিযোগ উঠেছে
# বুলবুলও মনে করেন তার সুর করা কিছু গান ‘অসামাজিক’ ছিল, ২০০১ সালে ওই ধরনের গান থেকে বের হয়ে আসেন
# কবির বকুল বলছেন, তার গানের কথা অশ্লীল ছিল না। দৃশ্যায়ন অশ্লীল ছিল

মুক্তিপ্রতীক্ষিত ‘দহন’ সিনেমার ‘হাজির বিরিয়ানী’ গানে কিছু শব্দ ব্যবহার নিয়ে সমালোচনা হচ্ছে। এর প্রতিবাদ করছেন অনেক সংগীত সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা। সেই প্রতিবাদ গিয়ে পৌঁছেছে তথ্য প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিমের টেবিলে। অনুরোধ জানানো হয়েছে গানটিকে যেন সেন্সর ছাড়পত্র না দেয়া হয়।

এর আগে দেশের জনপ্রিয় গীতিকার ও সুরকার আহমেদ ইমতিয়াজ বুলবুল ফেসবুকে স্ট্যাটাসের মাধ্যমে প্রতিবাদ জানান। গানটি অসামাজিক বলেও তিনি উল্লেখ করেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে কেউ কেউ উল্টো তার সমালোচনা করতে শুরু করেছেন।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভিডিও প্রকাশ করে বলা হচ্ছে আহমেদ ইমতিয়াজ বুলবুল নিজেই অসামাজিক গানের সুর করেছেন। তার সেসব সুর করা গানে ঠোঁট মিলিয়েছেন খলনায়ক ডিপজল।

অবশ্য ডিপজলের ঠোঁট মেলানো গানগুলোকে তিনি নিজেও অসামাজিক বলে মনে করেন। তবে ‘হাজির বিরিয়ানী’র মতো নয়। আহমেদ ইমতিয়াজ বুলবুল বলেন, ‘সে সময় ভিলেনরা কিছু সংলাপ ব্যবহার করতেন। সেই সব সংলাপের ওপর আমাদের গান লিখতে ও সুর করতে বলা হতো। ‘সানডে মানডে ক্লোজ কইরা দিমু’ ‘সাবান ডইলা দিমু’, ‘পুত কইরা দিমু’ এসব গান তো খারাপ না। ‘পুত’ মুখের একটি শব্দ। ভিলেন কাউকে মেরে ফেলার সময় এই সংলাপটি বলতেন। এসব গানে ভিলেনের সংলাপকে প্রতিষ্ঠিত করা হয়েছে। কখনো দেয়ালে ‘হিসু’ করার কথা তো বলিনি। যদিও আমি মনে করি ওসব গান অসামাজিক। সে কারণে আমি ২০০১ সালে ফিল্ম থেকে বেরিয়ে এসেছি।’

অভিযোগকৃত গানটি চরিত্রকে বোঝানোর জন্য ব্যবহার করা হয়েছে। একজন মাতাল তো অনেক বিব্রতকর, খারাপ কিছু করতেই পারে। বুলবুল আরও বলেন, ‘ইয়াবা আমাদের সমাজকে ধ্বংস করে দিচ্ছে। এটা নিয়ে তো সরকার বিভিন্ন সময়ে অভিযান পরিচালনা করছেন। এখন সিনেমায় যদি সেই ইয়াবাকে হাইলাইট করা হয়, মালে পানি ঢালতে বলা হয় তাহলে এই সমাজের মানুষ কি শিখবে? আর গানটি তো আমাদের দেশের না।’

বিভিন্ন জায়গায় গানটির বিপক্ষে প্রতিবাদলিপি পাঠানো হচ্ছে বলে জানান তিনি। তিনি আশা করছেন গানটিকে তথ্য মন্ত্রনালয় নিষিদ্ধ ঘোষণা করবে। তাহলে দেশে শুদ্ধ সংগীত চর্চা ত্বারান্বিত হবে।

তথ্য প্রতিমন্ত্রীর কাছে প্রতিবাদকারীদের মধ্যে জনপ্রিয় গীতিকার কবির বকুলও আছেন। তার বিরুদ্ধেও রয়েছে অশ্লীল গান লেখার অভিযোগ। এ প্রসঙ্গে তিনি আত্মপক্ষ সমর্থন করে সারাবাংলাকে বলেন, ‘আমার গানগুলো মোটেই অশ্লীল ছিল না। গানগুলোর দৃশ্যায়ন অশ্লীল ছিল। আমার গানের কথা কখনোই অশ্লীল ছিল না। কেউ প্রমাণ দিতে পারবে না।’

‘দহন’ পরিচালনা করেছেন তরুণ র্নিমাতা রায়হান রাফি। অভিনয় করেছেন জাকিয়া বারী মম, সিয়াম আহমেদ, পূজা চেরীসহ আরও অনেকে। প্রযোজনা করেছে জাজ মাল্টিমিডিয়া।

সূত্র : সারাবাংলা ডটনেট


মন্তব্য করুন