Select Page

বুসানে কিম জি সুক অ্যাওয়ার্ডের জন্য মনোনীত ফারুকীর ‘নো ল্যান্ডস ম্যান’

বুসানে কিম জি সুক অ্যাওয়ার্ডের জন্য মনোনীত ফারুকীর ‘নো ল্যান্ডস ম্যান’

২৬তম বুসান আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে ‘কিম জি সুক অ্যাওয়ার্ড’ এর জন্য মনোনীত হয়েছে দক্ষিণ এশিয়ার দাপুটে সাত নির্মাতার সাতটি চলচ্চিত্র। তারমধ্যে আছে মোস্তফা সরয়ার ফারুকীর তারকাবহুল প্রথম আন্তর্জাতিক সিনেমা ‘নো ল্যান্ডস ম্যান’।

সোমবার ‘কিম জি সুক অ্যাওয়ার্ড’ এর জন্য মনোনীত সাতটি সিনেমার নাম ঘোষণা করে উৎসব কর্তৃপক্ষ। ফারুকীর ‘নো ল্যান্ডস ম্যান’ ছাড়াও এই পুরস্কারের জন্য লড়বে ফিলিপিন্সের বিখ্যাত পরিচালক ব্রিলান্ডে মেন্ডোজা, জাপানী পরিচালক নাওমি ওগিগামি এবং ভারতের অপর্ণা সেনের ‘দ্য রেপিস্ট’।

বুসান চলচ্চিত্র উৎসবের সাবেক পরিচালক কিম জি সুক, ২০১৭ সালে তার মৃত্যুর পর সম্মান জানিয়ে তার নামেই এই পুরস্কার দেয়া শুরু করে উৎসব কর্তৃপক্ষ। চতুর্থবারের মতো দেয়া হচ্ছে এই পুরস্কার। বিজয়ী সিনেমাটিকে অর্থমূল্য হিসেবে দেয়া হবে ১০ হাজার মার্কিন ডলার।

‘কিম জি সুক অ্যাওয়ার্ড’ এর জন্য মনোনীত হওয়ার দিনে ‘নো ল্যান্ডস ম্যান’ এর কেন্দ্রীয় চরিত্র নওয়াজউদ্দিন সিদ্দিকীর ফার্স্ট লুক প্রকাশ করেছেন নির্মাতা। যা প্রকাশের পর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও সাড়া পড়ে বেশ।

সিনেমাটি নিয়ে ফারুকী তার নিজের অনুভূতি জানিয়ে বলেন, ‘নির্মাতা হিসেবে নিজের ব্যক্তিগত কিছু অনুভূতিকে সিনেমায় ব্যাখ্যা করেছি! যা মানসিক আঘাত আমার পৃথিবী নিয়ে ভাবনার এবং দেখার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে।’

“আমার জন্ম হয়েছে দেশের দক্ষিণাঞ্চল নোয়াখালীতে। এই এলাকার মানুষদের নিয়ে বহু বছর ধরেই ট্রল করা হয়। তাই, খুব কম বয়সেই আমি বুঝে গেছি, এই ট্রলের হাত থেকে নিজেকে রক্ষা করার উপায় খুঁজে বের করতে হবে! কোন এলাকা থেকে এসেছি তা নিয়ে মিথ্যা বলা শুরু করলাম। আমার স্কুলের কোনো বন্ধুকে বাড়িতে আনতাম না, তারা যেন আমার বাবা মায়ের আঞ্চলিক ভাষা শুনে আমার এলাকা সম্পর্কে ধারণা করতে না পারে। বড় হতে হতে বুঝতে পেরেছি এটা মনের ওপর কেমন প্রভাব ফেলে, কীভাবে আমাদের হৃদয়ে একটি শূন্যস্থান তৈরি করে দেয় যখন আমরা নিজের পরিচয়ে পরিচিত হতে পারি না, নিজেকে গ্রহণ করতে পারিনা, নিজের পরিচয় নিয়ে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করতে পারি না। এই বিষয়টি আমার কাজে অনুপ্রেরণা জুগিয়েছে। ছোটবেলার এই অস্তিত্বহীনতার ব্যথা ‘নো ল্যান্ডস ম্যান’ -এর কেন্দ্রীয় চরিত্র অনুভব করে।”

বর্তমানে সিনেমাটির পোস্ট-প্রোডাকশনের শেষ সময়ের কাজ নিয়ে কলকাতা আছেন ফারুকী।


মন্তব্য করুন