মধু মালতী ডাকে আয়…
বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর তার কথা, কবিতা ও গানে প্রায়ই মালতীর প্রসঙ্গ তুলে এনেছেন। বাদল বাতাসে মাতে মালতীর গন্ধে/ শিউলি এলো ব্যস্ত হয়ে, এখনো বিদায় মিললো না মালতীর/ মোর আঙিনাতে মালতী ঝরিয়া পড়ে কিংবা ঐ মালতী লতা দোলে পিয়াল তরুর কোলে, পূব হাওয়াতে। সদ্য মুক্তি পাওয়া চলচ্চিত্র ‘প্রিয় মালতী’ দেখবার পর আমিও এখন ভুগছি ‘মালতী’ জ্বরে।
পর্দার মালতীর সুঘ্রাণ বার বার আমার মনের আঙিনাতে ছলকে ওঠে। বাড়ি ফেরার পর আমি জীবন্ত, প্রস্ফুটিত মালতীকে মিস করি। পলাশকে মিস করি। হয়তো সে কারণেই আজ আবার টিকিট কেটে সস্ত্রীক ‘মালতী’ দর্শন করবো। এ নিয়ে তৃতীয়বার। প্রতিবারই পরিচালক শঙ্খ দাশগুপ্তের গুপ্ত কিছু ভাষা, অব্যক্ত কিছু অনুভূতি আমি আবিষ্কার করি। পরিচালক চেনা এক ঘটনাকে পুঁজি করে দর্শককে এমন এক অস্বস্তিকর প্রশ্নের ঘেরাটোপে বন্দী করেছেন, যে প্রশ্নের উত্তরগুলো হয়তো আমাদের জানা, সহজেই হাতছানি দেয়। অথচ আমরা অযত্নে, অবহেলায় ফেলে রাখি। আর সেই সুযোগে মালতীর মত অসংখ্য মালতী বার বার পিছলে পড়ে। কিন্তু যে মালতীরা সবকিছু হারিয়েও স্বপ্ন দেখতে পারে, কোমলমতী যে মালতীরা বার বার হোঁচট খাবার পরও ইস্পাত কঠিন সততা ধারণ করতে পারে, তাদের কি হারিয়ে দেয়া অত সহজ? কখনোই নয়। মালতীদের স্বপ্নগুলো ফুলের সুবাসের মতই প্রেরণা ছড়িয়ে যায়। প্রজন্মের পর প্রজন্ম অক্ষত রাখে সেই স্বপ্নগুলো।
পরিচালক শঙ্খ দাশগুপ্তের প্রথম সিনেমার কেন্দ্রীয় চরিত্র একজন মা। ‘মা’ থেকে মালতী। মায়েরা যেমন সবকিছুর পরও সন্তানের জন্য, কাছের মানুষের জন্য দুর্বল হতে পারে, আবার এই মায়েরাই নিজের সর্বোচ্চ শক্তি দিয়ে সন্তানের জন্য সুন্দর ভবিষ্যতের ইন্তেজাম-ও করতে পারে। আপাতদৃষ্টিতে ‘প্রিয় মালতী’ একজন নারীর জীবনের আখ্যান মনে হলেও, আমার কাছে ‘প্রিয় মালতী’ সিনেমা নয়, জীবন। আমাদের যাপিত নগর জীবনের সমস্যাগুলোই মালা গেঁথে ফুলের মত পরিবেশন করেছে মালতী। সেটি অগ্নিকান্ডে ভস্মীভূত পরিবারের প্রতি প্রশাসনের অবহেলা হোক, কাগজপত্রের দোহাই দিয়ে সমাধানের পথ না বাতলে সমস্যাকে দ্রবীভূত করাই হোক কিংবা ট্র্যাফিক জ্যামের মত ঘাতক ব্যাধি, হাসপাতালের সিট পাবার জন্য দালাল ধরা, অকস্মাৎ বাড়িওয়ালার ভাড়া বাড়িয়ে দেয়া, সত্যকে মিথ্যার প্রলেপ দিয়ে সেই মিথ্যাকে আবার সত্যতে রূপান্তরের ঐকিক নিয়ম-সবকিছুই আমরা দেখেছি মালতীর চোখ দিয়ে। নিজ প্রয়োজন মাফিক ধর্ম ব্যবহার তো আছেই। কিছু মানুষ গোঁড়ামিতে বিশ্বাস করে, আবার একই ধর্মের মানুষ শান্তির পথ খোঁজে। নিদারুণ এই সমীকরণগুলো এই অস্থির সময়ে পর্দায় দেখতে পারাটা যে কতটা প্রশান্তি দিয়েছে, শুধুমাত্র সে জন্য কাহিনীকারকে এবং চিত্রনাট্যকারকে (,পরিচালক নিজেই) অকুণ্ঠ ধন্যবাদ জানাতে চাই। পরিচালক শঙ্খ যে তার নিজের যাপিত জীবনের দর্শন চিত্রনাট্যের পরতে পরতে রাঙিয়ে তুলেছেন, তা অনুমেয়। এই দর্শন অবশ্য খুব রঙিন নয়। সাদা, কালো কিংবা ধূসর। এমনিতেই নারীকেন্দ্রিক গল্প নিয়ে সচরাচর কেউ সিনেমা করার দুঃসাহস করেনা, অথচ পরিচালক এই সিনেমায় যুক্ত করেছেন নাচ-গান বিবর্জিত সংগ্রামের গল্প; যে গল্পে যৌন সুঁড়সুঁড়ি নেই, নায়িকার দেহসৌষ্ঠব অনুপস্থিত, পুরুষের সাথে নারী সমান্তরালে অবস্থান করলেও তাদের মধ্যে একটি মুহূর্তের জন্যও খুচরো প্রেমের উদয় হয় না। মালতী-রাজ্জাকের চরিত্র দুটি যেন স্বর্গ থেকে আসা পবিত্রতার কথা বলে। এমন অ-জনপ্রিয় রাস্তায় হেঁটেছেন বলেই পরিচালক শঙ্খ দাশগুপ্ত সহ প্রযোজক আদনান আল রাজীব, চরকির রেদওয়ান রনি এবং কার্যনির্বাহী প্রযোজক হিসেবে দীপ সাহা, হাবিবুর রহমান তারেক সহ প্রত্যক্ষ-পরোক্ষভাবে যারা এই সিনেমার সঙ্গে ছিলেন, সবাইকে স্যালটু জানাতে চাই।
যে সিনেমায় সবকিছুর ঊর্ধ্বে সত্যিকারের মানুষ হবার তাড়না নতুন করে জাগিয়ে তোলে, যে সিনেমা আমাদের সন্তানদের সমাজের লোভ-পাপ-হিংসা-অনৈতিকতার বেড়াজাল ছিন্ন করে বিশুদ্ধ বাতাসে মুক্ত বিহঙ্গের মত বেড়ে ওঠার স্বপ্ন দেখায়, যে সিনেমার বক্তব্যে এত সততা, সেই সিনেমাকে যদি আমরা আপন করে না নেই, কোন সিনেমাকে নেব? ‘প্রিয় মালতী’র প্রায় দুই ঘন্টার সফরে আমি মন ছুঁয়ে যাওয়া একটি প্রেমের গল্প পেয়েছি। যে প্রণয় শেষ নি:শ্বাসের পর আরো জীবন্ত হয়। ‘প্রিয় মালতী’ নিখাদ বন্ধুত্বের কথা বলে। জাত-বর্ণ-ধর্ম ভুলে মনের ভেতর অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশের অনুরণন তৈরি করে। মালতীর আনপ্রেডিক্টেবল রোলার কোস্টার রাইডে আমি থ্রিলার গল্পের স্বাদ পেয়েছি। পূর্ণ উত্তেজনা নিয়ে শেষ পর্যন্ত কখনো ভেসেছি, কখনো ডুবেছি। অপেক্ষা করেছি, মালতীর শেষ গন্তব্য জানবার। প্রস্তুত ছিলাম না এরকম সমাপ্তির। হয়তো সে কারণেই আর দশজনের মত আমার মন-ও সিক্ত হয়েছে। ক্ষরণ হয়েছে মালতীর জন্য।
‘প্রিয় মালতী’ দেখে প্রিয় অভিনেত্রী আফসানা মিমি গণমাধ্যমে বলেছেন, মেহজাবীন চৌধুরী হয়তো ভবিষ্যতেও আরো অনেক ভালো কাজ করবে। তবে তার ক্যারিয়ারগ্রাফে ‘মালতী’ সবসময়ই অন্যতম শ্রেষ্ঠ চরিত্র হয়ে থাকবে। আমিও প্রগাঢ়ভাবে সে কথাটি বিশ্বাস করি। মেহজাবীন চৌধুরীকে বড় পর্দায় দেখার জন্য আমি অপেক্ষা করেছি ৫৪৪৬ দিন। লাক্স-চ্যানেল আই সুপারস্টারের মুকুট যেদিন তিনি পরলেন, তার পর থেকে। অপেক্ষার ফল শুধু মিষ্টিই হয়নি, আরেক গুণী অভিনেত্রী জয়া আহসানের মত আমিও বলবো, হয়তো ‘মালতী’ চরিত্রের ভার বহন করার জন্যই মেহজাবীন এত বছর সিনেমা করেনি। এতটা মেদহীন অভিনয়, চরিত্রের ভেতর বাস করার অবিশ্বাস্য ম্যাচুওরিটি, এক কথায় ভীষণ নান্দনিক। অপূর্ব! সংখ্যাতত্ত্বের হিসাবে একটি মজার যোগসূত্র আবিষ্কার করেছি। ১৯-২০-২১-২২! ১৯ এপ্রিল মেহজাবীনের জন্মদিন, ২০ ডিসেম্বর ২০২৪ প্রথম সিনেমা মুক্তি, ২১ ফেব্রুয়ারি ২০১০ প্রথম নাটক প্রচার এবং ২২ জানুয়ারি ২০১০ ‘লাক্স চ্যানেল আই সুপারস্টার’-এর খেতাব জয়। প্রকৃতিই হয়তো সবকিছু লিখে রেখেছিল। মেহজাবীন ১৪ বছরে তার সুপ্ত মেধাকে শাণিত করে দিন-দিন শুণ্য থেকে অনন্য হয়ে উঠেছেন। এই মেহজাবীন অপ্রতিরোধ্য। ‘মালতী’ চরিত্রটি ব্যর্থ হলে পুরো গল্পই বিশ্বাসযোগ্যতা হারাতো। মেহজাবীন তা হতে দেননি। ৫ কেজি ওজনের কৃত্রিম পেট সঙ্গে করে ভীষণ সংবেদনশীলভাবে অন্ত:সত্তা নারীর চরিত্রে অভিনয় করেছেন। বিশেষ করে সংলাপবিহীন দৃশ্যগুলো (ক্লান্ত মালতী যখন বাসায় হেলান দিয়ে শূণ্যদৃষ্টিতে ভাবতে বসে, বার্মিজ আচার খাওয়ার দৃশ্যে তার চোখের অভিব্যক্তি, বাথরুমের সিটকিনি বারংবার আটকানোর চেষ্টা, জুয়েলারীর দোকানে জনৈক চরিত্র কিতাবের কথায় কান না দিয়ে গহীন চিন্তায় ডুব দেয়া কিংবা পার্কে তার তাচ্ছিল্যের হাসি) প্রমাণ করে, মেহজাবীন কতটা তুখোড় অভিনেত্রী। আন্তর্জাতিক মানের অভিনেত্রী।
অবশ্য ‘প্রিয় মালতী’ শুধু যে মেহজাবীনেরই অর্জন হয়ে থাকবে, তা নয়। পরিচালক শঙ্খ দাশগুপ্ত প্রত্যেক অভিনেতার কাছ থেকে তাদের সেরাটুকু বের করে নিয়েছেন। যে কারণে ইসলামিয়াতের শিক্ষক ‘রাজ্জাক’ চরিত্রে শাহজাহান সম্রাটকে ভালোবাসতে বাধ্য হবেন সবাই। ‘লাল মোরগের ঝুঁটি’ সিনেমা কিংবা ‘বোধ’ ওয়েব সিরিজেও তিনি দুর্দান্ত ছিলেন। তবে ‘প্রিয় মালতী’র পর আশা করি তাকে নিয়ে নির্মাতারা নতুন করে ভাববেন। তার পরিমিত অভিব্যক্তি, বাচনভঙ্গি, সংলাপ প্রক্ষেপণের ক্ষমতা, বলিষ্ঠ কণ্ঠস্বর -অসাধারণ। ‘প্রেম’ বিবর্জিত এরকম প্রধান পুরুষ চরিত্র সাধারণত বাংলা সিনেমায় দেখা যায় না। শাহজাহান সম্রাট এই লোভনীয় চরিত্রের পূর্ণ সদ্ব্যবহার করেছেন।
রিজভী রিজু এর আগে ‘হাওয়া’ সিনেমায় ‘পারকেস’ হয়ে আনন্দ দিয়েছিলেন। এবার কষ্ট দিয়েছেন। ‘পলাশ কুমার দাস’ একটি মায়াময় চরিত্র। ব্যাপ্তি কম, অথচ পুরো সিনেমা জুড়ে তিনি বিরাজ করেন। মেহজাবীনের সঙ্গে রিজু দারুণভাবে মানিয়ে গেছেন। শুনেছি টানা তিন দিন রাত আড়াইটা থেকে গরমের মধ্যে পরদিন রাত দেড়টা পর্যন্ত প্রস্থেটিক মেকআপ নিয়ে থাকতেন তিনি। এমন চরিত্রে বিশ্বাসযোগ্য অভিনয় করার জন্য মেধা প্রয়োজন। যা রিজভী রিজুর পূর্ণ মাত্রায় রয়েছে। ‘পলাশ’ কিংবা ‘রাজ্জাক’ চরিত্রের জন্য নির্মাতারা চাইলেই বাজার কাটতি কোনো নায়ককে নিতে পারতেন। সেই লোভ সংবরণ করে সত্যিকারের অভিনেতাদের কাস্ট করার জন্য ‘দম’ লাগে। কৃতজ্ঞতা নির্মাতাদের প্রতি, তারা সেই সাহস আমাদের দেখিয়েছেন।
পার্শ্ব চরিত্রগুলোর মধ্যে আজাদ আবুল কালামের চরিত্রে সাদা, কালো, ধূসর সব রং খেলা করে। এই চরিত্রে প্রিয় অভিনেতার বিশ্বাসযোগ্য অভিনয় দেখাও একটা সুখের অভিজ্ঞতা। সর্বোচ্চ পুরস্কার পাবার যোগ্য দাবীদার তিনি। মাসুম বাশার, শহীদুল আলম সাচ্চু, নাদের চৌধুরী, হান্নান শেলী, সোমু চৌধুরী কিংবা ‘কিতাব’ চরিত্রে আনিসুল হক বরুণ অথবা ‘সুধীর’ চরিত্রে সায়েম বিন মুজিব-প্রত্যেকেই গল্পকে এগিয়ে নিয়ে গেছেন অবিশ্বাস্য দক্ষতার সাথে। শেষাংশে ‘সুধীর’-এর হাল ছেড়ে দাঁড়িয়ে থাকার দৃশ্যটি কলিজা খামচে ধরে। লেখক প্রতিটি চরিত্রের চরিত্রায়ণ করেছেন অসামান্য দক্ষতায়, সব সিনেমায় যা আমরা পাইনা।
তবে দৃশ্যমান প্রত্যেক অভিনয়শিল্পী যদি ‘প্রিয় মালতী’র গল্প বলার জন্য ‘নায়ক’ হন, নেপথ্যের কলাকুশলীরাও এই সিনেমার অন্যতম নায়ক। ‘প্রিয় মালতী’ সেই গুটিকয়েক সিনেমার মধ্যে অন্যতম, যেখানে একটি বিভাগও ব্যর্থ হয়নি। শাঁখারীবাজার থেকে বরিশালের লঞ্চ, পুরান ঢাকার অলিগলি, সেখানকার স্থানীয় লোকজন, ট্র্যাফিক জ্যাম, অগ্নিকান্ড-সবকিছুই কত জীবন্ত! বরকত হোসেন পলাশের প্রতিটি ফ্রেম কী নান্দনিক, যেন জীবনের রূঢ় বাস্তবতার চিত্র তুলে ধরে। রাজেশ সাহা আর সজীব রঞ্জন বিশ্বাস কী দারুণ সাউন্ড ডিজাইন করেছেন। খুব সম্ভবত প্রায় পুরো সিনেমাই লোকেশন সাউন্ডে ধারণ করা। সেখানে পুরনো ঢাকার নয়েজ দারুণভাবে ডিল করা হয়েছে। এ ক্ষেত্রে সাউন্ড মিক্সে রাজেশ সাহার সঙ্গে রাশিদ শরীফ শোয়েবও ছিলেন দুর্দান্ত। সালেহ সোবহান অনীম বরাবরই নির্ভরযোগ্য নাম। ‘প্রিয় মালতী’র সম্পাদক হিসেবে তিনিও বড় পর্দায় নতুন কিছু দেখিয়েছেন। আবহ সংগীতে রুসলান রেহমান বরাবরই আমার প্রিয়। চলচ্চিত্র অভিষেকে অপার সম্ভাবনার ইঙ্গিত দিয়েছেন তিনি। ‘অতি’ শব্দটি ভুলে ভীষণ রকম পরিমিতবোধ দেখিয়েছেন। কস্টিউম এবং মেকআপ এ সিনেমার আরেকটি সম্পদ। চরিত্র অনুযায়ী পোশাক পরিকল্পনার জন্য ইদিলা ফরিদ তুরিন আরো একবার জাতীয় পুরস্কার পেলে অবাক হবো না। তবে এই সিনেমার মেকআপ (তারেক আহমেদ) এবং বিশেষ করে প্রস্থেটিক মেকআপ (স্বর্ণা ভৌমিক) আমাকে সত্যিই বিস্মিত করেছে। যারা এতদিন বিদেশের সিনেমায় মেকআপ দেখে আফসোস করেছেন, তারা ‘প্রিয় মালতী’ দেখে নিশ্চিতভাবে গর্ব অনুভব করবেন। শিল্প নির্দেশনা (তারেক বাবু), রঙ বিন্যাস (উম্মীদ আশরাফ) সহ প্রায় প্রতিটি বিভাগই ‘প্রিয় মালতী’র জয়যাত্রায় উজ্জ্বল ধ্রুবতারা হয়ে থাকবে সবসময়।
সব সিনেমার গন্তব্য এক নয়। কিছু সিনেমা কালোত্তীর্ণ হয়। প্রজন্ম থেকে প্রজন্ম সে সিনেমার কথা বলে। ‘প্রিয় মালতী’ তেমনই একটি সিনেমা। কবি গুরু বলেছেন, ‘রঙ যেন মোর মর্মে লাগে, আমার সকল কর্মে লাগে’। ‘প্রিয় মালতী’র সাথে যুক্ত প্রত্যেক শিল্পী, কলাকুশীলারাও মৃত্যুর পর বেঁচে থাকবেন এই সিনেমার প্রতি তাদের বিশ্বাসের জন্য। সততার জন্য।
অভিনন্দন শঙ্খ দাশগুপ্ত ও টিম !