Select Page

মরণোত্তম: যে গল্প আমাদের সমাজ বাস্তবতার কথা বলে!

মরণোত্তম: যে গল্প আমাদের সমাজ বাস্তবতার কথা বলে!

মরণোত্তম’ দেখার মূল কারণ হচ্ছে সাদাত হোসাইন ও সঞ্জয় সমাদ্দার দাদা। টেলিফিল্মটি সাদাতের একই নামের উপন্যাস থেকে নেওয়া। উপন্যাসটি আমি পড়েছিলাম, ভালোও লেগেছিল। তারপর যখন জানলাম এই উপন্যাস নিয়ে টেলিফিল্মটা হয়েছে, তারপর থেকেই কাজটা দেখার ইচ্ছে হয়েছিলো।

দেখবো, দেখবো করে অনেক সময় চলে গেছে, তারপর আজকে ফাইনালি দেখে নিলাম।

টেলিফিল্মটির গল্প নিয়ে বেশি কিছু বলা যাবে না, কারণ গল্পটা নিয়ে বলতে গেলে স্পয়লার হয়ে যেতে পারে। শুধু এইটুকু বলা যায় যে- গ্রামের স্কুলের একজন প্রধান শিক্ষক, তার একটা নৈতিক দাবি নিয়ে শহীদ মিনারে অনশন করতে যান। তো তার দাবিটা মূলত কী নিয়ে, তার দাবির মূলে কী ঘটনা রয়েছে সেটা জানতে হলে আপনাকে অবশ্যই কাজটি দেখতে হবে।

প্রধান শিক্ষক চরিত্রে ইলিয়াস কাঞ্চন খুব ভালো অভিনয় করেছেন। অনেকদিন পর কোনো কাজে উনার দেখা পেয়ে ভালো লাগলো খুব। কিছু কিছু জায়গায় তার অভিনয় অনেক হৃদয়স্পর্শী লাগবে।

চেয়ারম্যানের চরিত্রে শহীদুজ্জামান সেলিম দারুণ অভিনয় করেছে। কিছু কিছু দৃশ্য আপনাকে তার প্রতি অনেক ক্ষোভ তৈরি করে দেবে। আসলে তিনি চরিত্রটিকে সুন্দর করে ফুটিয়ে তুলতে পেরেছেন।

কবির চরিত্রে ইমতিয়াজ বর্ষণ খুবই উজ্জ্বল ছিলেন। তার চরিত্রের ডায়লগগুলো এই টেলিফিল্মে অন্যরকম এক মাত্রা তৈরি করেছে। বাকি যারা ছোট ছোট চরিত্রে ছিলেন তাদের ঠিকঠাকই লেগেছে।

সঞ্জয় সমাদ্দারের ইদানীং কাজগুলো বেশ ভালো হচ্ছে। তার মেকিং আগের থেকে অনেক বেশি ইম্প্রুভ হয়েছে, তার ইদানীংকালের কাজগুলো দেখলেই বোঝা যায়।

ফাইনালি বলতে গেলে কাজটা আমার কাছে বেশ ভালো লেগেছে। যদিও ছোটখাটো কিছু জায়গা খারাপ লেগেছে, যেমন; ব্যাকগ্রাউন্ড মিউজিক বা কিছু জায়গার সিনেমাটোগ্রাফি। তবে আমাদের টেলিভিশন যা বাজেট দেয়, সে হিসেব করলে যথেষ্ট ভালোই হয়েছে কাজটা।

আপনারা যারা দেখেননি তাদের রেকমেন্ড করবো আমাদের দেশের এই সুন্দর কাজটি দেখার জন্য।


মন্তব্য করুন