![দাগি/ মুক্তি ও প্রায়শ্চিতের গল্প নিয়ে শিহাব শাহীন ও আফরান নিশো](https://i0.wp.com/bmdb.co/wp-content/uploads/2024/12/Daagi-nisho-1db02e8589ef2a364c645cc99ad925e4.jpg?resize=150%2C150&ssl=1)
মরণোত্তর একুশে পুরস্কারে স্বীকৃত আজিজুর রহমান
বিভিন্ন ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ দেশের ১৪ নাগরিককে ‘একুশে পদক ২০২৫’ দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। এর মধ্যে চলচ্চিত্রের অসাধারণ অবদান করার স্বীকৃতি স্বরূপ এ পদক পাচ্ছেন খ্যাতিমান নির্মাতা প্রয়াত আজিজুর রহমান।
![](https://i0.wp.com/bmdb.co/wp-content/uploads/2017/06/azizur-rahman.jpg?resize=646%2C360&ssl=1)
গতকাল (৬ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয় থেকে ২০২৫ সালেরর মরণোত্তর একুশে পদকের জন্য মনোনীতদের নাম ঘোষণা করা হয়।
এ বছর ক্রীড়ায় একুশে পদক পাচ্ছে বাংলাদেশ জাতীয় নারী ফুটবল দল। আর গবেষণায় পাচ্ছেন মঈদুল হাসান (মূলধারা ৭১ এর রচয়িতা), ভাষা ও সাহিত্যে শহীদুল জহির (মো. শহীদুল হক) (মরণোত্তর) ও হেলাল হাফিজ (মরণোত্তর), সংস্কৃতি ও শিক্ষায় ড. শহীদুল আলম (ফটোগ্রাফার, মানবাধিকার কর্মী এবং দৃকের প্রতিষ্ঠাতা), বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে মেহেদী হাসান খান (অভ্র’র জনক), সাংবাদিকতায় মাহফুজ উল্লা (মরণোত্তর) এবং সাংবাদিকতা ও মানবাধিকারে মাহমুদুর রহমান।
শিল্পকলার চলচ্চিত্রে আজিজুর রহমান (মরণোত্তর) (ছুটির ঘণ্টা এবং আরও অনেক ছবির পরিচালক), সংগীতে উস্তাদ নীরদ বরণ বড়ুয়া (মরণোত্তর) ও ফেরদৌস আরা, আলোকচিত্রে নাসির আলী মামুন এবং চিত্রকলায় রোকেয়া সুলতানা। শিক্ষায় পাচ্ছেন ড. নিয়াজ জামান এবং সমাজসেবায় মোহাম্মদ ইউসুফ চৌধুরী (মরণোত্তর)।
আজিজুর রহমান নির্মিত সবচেয়ে আলোচিত সিনেমা ‘ছুটির ঘণ্টা’ ১৯৮০ সালে মুক্তি পায়। সিনেমাটি সব শ্রেণির দর্শকের কাছে তুমুল জনপ্রিয়তা লাভ করে। বাস্তব ঘটনা অবলম্বনে সিনেমাটির গল্প লেখা হয়। ঈদের ছুটি ঘোষণার দিন স্কুলের বাথরুমে সবার অজান্তে তালাবদ্ধ হয়ে আটকে পড়ে একটি ১২ বছর বয়সের ছাত্র। আর তালাবদ্ধ বাথরুমে দীর্ঘ ১১ দিনের ছুটি শেষ হওয়ার প্রতিক্ষার মধ্য দিয়ে। হৃদয় বিদারক নানা ঘটনা ও মুক্তির কল্পনায় ১০ দিন অমানবিক কষ্ট সহ্য করার শিশুটি মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে। এমনই একটি করুণ দৃশ্য তুলে ধরা হয়েছে এ সিনেমায়।
নির্মাতা আজিজুর রহমান ২০২২ সালের ১৪ মার্চ মারা যান। তিনি ১৯৩৯ সালের ১০ অক্টোবর বগুড়ার সান্তাহার রেলওয়ে জংশন শহরে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতার নাম রূপচান প্রামাণিক। তিনি স্থানীয় আহসানুল্লাহ ইনস্টিটিউট থেকে এসএসসি পাস ও ঢাকা সিটি কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করেছেন। চারুকলা আর্ট ইনস্টিটিউটে কমার্শিয়াল আর্টে ডিপ্লোমা করেছেন। তার নির্মিত অন্য সিনেমার মধ্যে রয়েছে মধুমালা, ছুটির ঘণ্টা, স্বীকৃতি, সমাধান, অতিথি, অপরাধ, শাপমুক্তি, কুয়াশা, অমর প্রেম, অশিক্ষিত, অনুভব, মাটির ঘর, মহানগর, জনতা এক্সপ্রেস, সোনার তরী, শেষ উত্তর, অগ্নিশিখা, কথা দাও, বাপবেটা ৪২০, শ্বশুরবাড়ি, শিশমহল, মায়ের আঁচল, মেহমান, যন্তর মন্তর, ডাক্তারবাড়ি ও দুখিনী জোহরা।