মুখে মুখে আন্তরিকতা সবাই দেখায়
‘আলেয়া’ কিংবা ‘চন্দ্রমুখী’র কথা ভাবলেই যার ছবি চোখের সামনে ভেসে ওঠে তিনি হলেন প্রখ্যাত অভিনেত্রী আনোয়ারা। অভিনয় জীবনের পূর্ণতা নিয়ে কথা বলেছেন আলাউদ্দীন মাজিদের সাখে। বাংলাদেশ প্রতিদিনে প্রকাশিত সাক্ষাতকারটি বিএমডিবি-র পাঠকদের জন্য হুবহু তুলে দেয়া হলো-
দীর্ঘ চার দশকের অভিনয় জীবনে চলচ্চিত্র জগৎকে কতটা পূর্ণতা দিতে পেরেছেন বলে মনে হয়?
সেটা বিচার করবে দর্শক। নিজে যখন যে চলচ্চিত্রে কাজ করেছি, চেষ্টা করেছি চরিত্রের সঙ্গে মিশে যেতে এবং ভালো কিছু করতে। হয়তো কিছুটা সফল হয়েছি। তা না হলে দর্শক এখনো আমাকে ভালোবাসত না, মনে রাখত না।
চলচ্চিত্র জগৎ আপনাকে কতটা পূর্ণতা দিয়েছে?
চলচ্চিত্র জগৎ আমার জীবনকে সুশোভিত করেছে। শতভাগ পূর্ণতা দিয়েছে। চলচ্চিত্রে না এলে আজকের এই সম্মান বা পরিচিতি কোনোটিই হয়তো পেতাম না। তাই চলচ্চিত্র অভিনেত্রী পরিচয়ে আমি গর্বিত।
এমন কোনো চরিত্র আছে, যা করা হয়নি?
আসলে শিল্পীর ক্ষুধা কখনো মিটে না। একজন শিল্পী যত ভালো বা গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রেই অভিনয় করুক না কেন, তার শুধুই মনে হয়, ইস্ অমুক চরিত্রটি যদি করতে পারতাম। শিল্পীর জীবনে এই হাহাকার চিরদিনই থাকে। আমারও আছে। যখন ‘মাদার ইন্ডিয়া’ এবং ‘পাকিজা’ দেখি তখন ভাবি, আহারে আমি যদি নারগিস ও মীনা কুমারীর রোল দুটো প্লে করতে পারতাম।
নির্মাণে আসবেন?
ইচ্ছা আছে। বাংলার মাটির সঙ্গে মিশে থাকা গল্প নিয়ে নির্মাণে আসতে চাই। তবে চলচ্চিত্র নির্মাণ সহজসাধ্য নয়। তাই আগে নাটক নির্মাণের মাধ্যমে অভিজ্ঞতা সঞ্চয় করে তবেই চলচ্চিত্র নির্মাণ করব।
বয়স হয়ে গেলে শিল্পীদের খবর কেউ রাখে না, এ ব্যাপারটি কতটা ভাবায়?
বয়স কম থাকতেই তো কেউ কারও খবর রাখে না। আর যখন বয়স হয়ে যায় তখন তো নানা কারণে শিল্পীরা নিজেই নিজেকে আড়াল করে (হা…হা…হা…)। আসলে বয়স কম বেশি যাই বলেন, মুখে মুখে আন্তরিকতা সবাই দেখায়, মন থেকে খুব কমই একে অপরের জন্য এগিয়ে আসে_ এটিই মনে হয় নিয়ম হয়ে গেছে। যা সত্যিই মনকে পীড়া দেয়।
আপনি শিল্পী সমিতির সহ-সভাপতি, শিল্পীদের কল্যাণে নিশ্চয়ই ভূমিকা রাখছেন?
সীমিত সুযোগের মধ্যে যথাসাধ্য চেষ্টা করছি। শাকিব খান ও অপু বিশ্বাস শিল্পী সমিতির কল্যাণ ফান্ডে তাদের সাধ্যমতো অর্থ প্রদান করেছেন। তা দিয়ে দুস্থ শিল্পীদের কল্যাণে কাজ করে যাচ্ছি। সব শিল্পীই যাতে সুস্থ ও স্বচ্ছল থাকেন, সৃষ্টিকর্তার কাছে সে দোয়াই করছি।
সুত্র: বাংলাদেশ প্রতিদিন