মুসাফির : একটি মিশ্র অনুভূতি
(স্পয়লারবিহীন পর্যালোচনা। তবে আমার মতামতের সাথে সবার মতামত না ও মিলতে পারে)
আমি কোন সিনেমার ব্যাপারে আশাবাদী হলে তার ফার্স্ট শো মিস করি না। তাই মুসাফিরের জন্য আজকেও বলাকায় সকাল সাড়ে দশটার শো ধরলাম।
আজকে কেন জানি বলাকায় স্ক্রীনের ব্রাইটনেস কম ছিল এবং বারবার সাউন্ড কমে যাচ্ছিলো। তাই একটু মনোক্ষুণ্ণ হচ্ছিলাম। কিন্তু আসলে খারাপ লেগেছে অন্য কারণে।
একটা সিনেমার প্রাণ হল তার গল্প, চরিত্রগুলোর অভিনয় এবং সংলাপ। কিন্তু মুসাফিরের গল্পটা প্রচুর অসংগতিপূর্ণ ছিল। জাস্ট একটা অসংগতির কথা বলি। নায়ক ২ টা গুলি বুকে খেয়েও সীমান্ত এলাকা থেকে ঘন্টা দুয়েকের মধ্যে কিভাবে ঢাকায় ব্যাক করে এবং বিন্দুমাত্র চিকিৎসা না নিয়ে ভিলেনের সাথে মারামারি করে তা আমার জানা নেই!!!
গল্প যেমন দুর্বোধ্য ও অসংগতিপূর্ণ ছিল তার চেয়ে বেশি ছিল নায়িকার ন্যাকামিপূর্ণ অভিনয়। মানছি নায়িকার প্রথম সিনেমা এটা, কিন্তু তাই বলে একটু চর্চা করে মাঠে নামলে ভালো হত না? নায়িকার কন্ঠস্বরও বিরক্তিকর এবং তিনি আরেকটু স্লিম হলে ভালো লাগত।
তবে কিছুই যে ভালো লাগে নাই, তা না।
মিশা সওদাগরের অভিনয় ও সংলাপ বলা দুর্দান্ত। উনি বর্তমানে আমাদের ইন্ডাস্ট্রির সবচেয়ে স্মার্ট খলনায়ক। তার পাশাপাশি শুভ অভিনয়, ফাইটিং, নাচ খুবই ভালো করেছেন। অপরদিকে টাইগার রবি চরিত্র অনুযায়ী ভালো করেছেন। এই ৩ জনের কারণেই মুসাফির উপভোগ করতে পারসি।
এছাড়া শিমুল খান খুব ক্ষুদ্র সময় স্কিনে থেকেও চমৎকার অভিনয় করছেন।
ভিএফএক্স এর কাজ আগের দুটি সিনেমার তুলনায় কিছুটা ভালো করেছেন আশিকুর রহমান। পরিচালনাতেও তিনি ধীরে ধীরে উন্নতি করছেন। কিছু সংলাপ খুবই দুর্দান্ত ছিল।
তবে আবারও বলব নায়িকা চয়নে আরেকটু সাবধান হলে এবং গল্প আরেকটু শক্তিশালী হলে মুসাফির আরও বেশি ভালো লাগত।
বাংলা সিনেমার আরও উন্নতি চাই বলেই সমালোচনা করলাম। সবাই মুসাফির অবশ্যই দেখবেন। আমরা বাংলা সিনেমা দেখে তার প্রশংসা ও গঠনমূলক সমালোচনা করলেই বাংলা সিনেমা আরও উন্নত হবে।
আমি মুসাফিরকে ১০ এ ৭ দিলাম।
সিমান্ত এলাকায় গুলি খেয়ে শুভ কিন্তু চিকিৎসা নিয়েছিল । আর ওখানে দেখানো হয় ডান ঘাড়ে গুলি খাওয়ায় সে মারাত্বক আহত হয়নি ।