মেহেদী সমাচার
নায়ক মেহেদীর নাম শুনলেই দর্শক মুখ ফিরিয়ে নেবে বলবে এ নায়ককে নিয়ে লেখার কি আছে! এ তো অশ্লীল সময়ের নায়ক। কিন্তু তারও কিছু ভালো ছবি ছিল। বলার মতো উল্লেখযোগ্য ছবিই ছিল এবং তার অভিনয়ও ভালো ছিল সেসব ছবিতে।
মূলনাম নাজমুল হক শামীম। জন্ম কিশোরগঞ্জে। নব্বই দশকে আসা মেহেদির শুরুটা বেশ ভালোই ছিল চলচ্চিত্রে।
মেহেদির চলচ্চিত্রে আগমন শিশুশিল্পী হিসেবে। শিশুশিল্পীর অভিনয় সে দারুণ করত এটা ছিল অবাক করা। তখন পরিচিত ছিল মাস্টার শামীম নামে। শিশুশিল্পী হিসেবে উল্লেখযোগ্য ছবি – জন্ম থেকে জ্বলছি, জারকা, অন্যায়, মহান, হাসু আমার হাসু, ধনদৌলত, নান্টু ঘটক, মর্যাদা, বিধাতা, কাবিন, নাগজ্যোতি, কসম।
‘পাগল মন মন রে
মন কেন এত কথা বলে
মনকে আমার যত চাইরে বোঝাইতে
মন আমার চায় শুধু তোমায় দেখিতে’
একক নায়ক হিসেবে প্রথম ছবি ‘পাগল মন’। এ ছবির নাম জানে না এমন দর্শক কমই হবে। মেহেদির অভিনয় এ ছবিতে ভালো ছিল। জনপ্রিয় ছবির মধ্যেও আছে। অন্তরার বিপরীতে এ ছবি ছাড়াও ‘বালিকা হলো বধূ’ নামের আরো একটি চমৎকার ছবি আছে। মেহেদি-অন্তরা জুটিই ছিল ছোট আকারে। এর বাইরে সোনিয়ার বিপরীতেও ছোট আকারে জুটি হয়েছিল তার। এ জুটির দুটি ছবি ‘পরাণ কোকিলা’ এবং ‘শত জনমের প্রেম।’ মেহেদি-সোনিয়ার রসায়ন এত ভালো ছিল যে তাদের আরো ছবি হতে পারত। ‘শত জনমের প্রেম’ ছবিতে ‘যেটুকু সময় তুমি থাকো কাছে’ কালজয়ী এ গানটি ব্যবহৃত হয়েছিল এবং জনপ্রিয়তা পেয়েছিল। ছবিতে গানটি গেয়েছিল সাবিনা ইয়াসমিন ও আগুন। শাবনূরের বিপরীতে ‘শুধু তোমারি’ ছবিটিও মেহেদির অন্যতম উল্লেখযোগ্য ছবি ছিল। এ ছবিতেও তার অভিনয় ভালো ছিল।
নব্বই দশকে মুক্তিপ্রাপ্ত তার আরো কয়েকটি ভালো ছবি – মর্যাদার লড়াই, অচেনা মানুষ। ২০০০ পরবর্তী সময়ে তার ভালো মানের ছবির মধ্যে ছিল ‘প্রিয়া আমার প্রিয়া, আমার চ্যালেঞ্জ, বাবার জন্য যুদ্ধ’।
২০০০ পরবর্তী সময়ে অশ্লীলতার সাথে জড়িয়ে যায় মেহেদি তারপর আর ক্যারিয়ার দাঁড়ায়নি।
মেহেদি অশ্লীলতার আগ পর্যন্ত মানসম্মত ছবির নায়ক ছিল এবং সেই অধ্যায়টাই জানাবার জন্য এ আয়োজন।