Select Page

যেন চলচ্চিত্র দেখে পুলিশ সম্পর্কে বিরূপ ধারণার সৃষ্টি না হয়: ডিএমপি কমিশনার

যেন চলচ্চিত্র দেখে পুলিশ সম্পর্কে বিরূপ ধারণার সৃষ্টি না হয়: ডিএমপি কমিশনার

বুধবার সকালে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) হেডকোয়ার্টার্সে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র প্রযোজক, পরিচালক ও শিল্পী নেতাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায়  ডিএমপি কমিশনার মোহা. শফিকুল ইসলাম বললেন, ‘সংস্কৃতি একটা জাতির বা সমাজের চলার পথে দর্পণ হিসেবে কাজ করে। তাই চলচ্চিত্রে পুলিশের কার্যক্রমকে শৈল্পিকভাবে চিত্রায়িত করুন। যেন চলচ্চিত্র দেখে মানুষের মনে পুলিশ সম্পর্কে বিরূপ কোনো ধারণার সৃষ্টি না হয়।’

প্রযোজক, পরিচালক ও শিল্পী নেতাদের শুভেচ্ছা জানিয়ে ডিএমপি কমিশনার বলেন, ‘আপনারা সব সময় পুলিশের বাস্তবসম্মত কাজের চিত্র দর্শকদের কাছে সুন্দরভাবে ফুটিয়ে তুলবেন। সমাজ পরিবর্তনে পুলিশ যে ভূমিকা রাখছে, তা চলচ্চিত্রে চিত্রায়ণের মাধ্যমে দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে হবে আপনাদের। স্বাধীনতাযুদ্ধে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে প্রথম প্রতিরোধ যুদ্ধ শুরু করেছিল বাংলাদেশ পুলিশ। এ যুদ্ধে পুলিশের অনেক সদস্য দেশপ্রেমের টানে শহীদ হন। পুলিশের এই আত্মত্যাগের চিত্র চলচ্চিত্রে উপস্থাপন করা হয় না, যার ফলে বিষয়টি জনগণের কাছে সঠিকভাবে পৌঁছায়নি। এই বিষয়গুলো চলচ্চিত্রের মাধ্যমে জনগণের কাছে তুলে ধরুন।’

‘নবাব এলএলবি’র ভাইরাল ভিডিও সম্পর্কে কমিশনার বলেন, ‘ভিডিওতে পুলিশের কার্যক্রমকে যেভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে, তা বাস্তবসম্মত নয়। উক্ত ভিডিও চিত্রে পুলিশের কার্যক্রম দেখলে থানায় পুলিশের কাছে সহায়তার জন্য যেতে নিরুৎসাহিত হবেন নারীরা। আপনারা জানেন, প্রতিটি থানায় নির্যাতনের শিকার নারীদের জন্য নারী সহায়তা ডেস্ক রয়েছে। যেখানে ২৪ ঘণ্টা পুলিশের নারী সদস্যরা সেবা প্রদান করে যাচ্ছেন। চলচ্চিত্রের মাধ্যমে সমাজকে যে সংবাদটি দিচ্ছেন, তা সমাজের কাছে গ্রহণযোগ্য হতে হবে। আমাদের কাজগুলো নীতিগতভাবে বা শৈল্পিক দৃষ্টিতে উপস্থাপন করুন। হিংস্র বা অবাস্তব কোনো বিষয় উপস্থাপন করা থেকে বিরত থাকুন। এ ধরনের বিষয় সমাজকে কলুষিত করে।’

এ সময় কমিশনার আরও বলেন, ‘আপনি যখন রাতে স্ত্রী-সন্তান নিয়ে নিরাপদে ঘুমাচ্ছেন, তখন আমরা সংসার–পরিজন ছেড়ে আপনাদের নিরাপত্তা দিতে নিরলসভাবে পরিশ্রম করে যাচ্ছি। রমজানে আপনারা যখন পরিবারের সঙ্গে ইফতার করার জন্য বাসার উদ্দেশে রওনা হন, তখন আমরা রাস্তায় আপনাদের চলাচল নির্বিঘ্ন করতে কাজ করি। আর এ কাজ করতে গিয়ে আমাদের রাস্তায় দাঁড়িয়ে ইফতার করতে হয়। মনে রাখবেন, যেকোনো দুর্দিনে আমরা সর্বদা আপনাদের পাশে আছি। আমরা কখনো চাই না আপনারা ভয়ভীতি নিয়ে কাজ করেন। সব সময় সত্য প্রচারে নির্ভয় থাকবেন আপনারা।’

সভায় ডিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (সিটিটিসি) মো. মনিরুল ইসলাম, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (প্রশাসন) মীর রেজাউল আলম, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস) কৃষ্ণপদ রায়, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ডিবি) এ কে এম হাফিজ আক্তার, অতিরিক্ত পুলিশ কশিনার (ট্রাফিক) মো. মুনিবুর রহমান, বাংলাদেশ চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতির সভাপতি মুশফিকুর রহমান গুলজার, সাধারণ সম্পাদক বদিউল আলম খোকন, সালাউদ্দিন লাভলু, ইরেশ জাকের, তানভীন সুইটি, তানিয়া আহম্মেদ, মুনিরা ইউসুফ মেমী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।


মন্তব্য করুন