রিভিউ: সাবরিনা
‘সাবরিনা’ বানিয়েছেন আশফাক নিপুণ
প্রথম কথা, ‘সাবরিনা’ আর ‘মহানগর’ এক কাতারের কনটেন্ট না। তাই দেখার আগে এক্সপেকটেশনে ‘তুলনা’ আসে নাই। তবু নির্মাতার প্রডাক্ট হিসাবে যদি বলি ‘সাবরিনা ইজ বেটার দেন মহানগর’।
‘সাবরিনা’ এক নাম, দুজন মেয়ের গল্প তবে থিমেটিকভাবে প্রায় সব নারীরই গল্প। কারন, নারী নিরাপত্তা ইস্যুতে আমাদের দেশে সব শ্রেণী আর বয়সেই অনিরাপদ। গল্পের দুই নারীর একজন ভিকটিম আর অন্যজন রেসকিউ করতে চাওয়া ডাক্তার। তবে ডাক্তার সাবরিনার ব্যক্তিগত ও পেশাগত দুইটা ব্যাকগ্রাউন্ড আছে। আর ভিকটিম সাবরিনার একটা সরলতা, সততা আর অধিকার সচেতনতার স্টান্ড আছে। এই দুইটাকে নির্মাতা পারিবারিক গণ্ডি থেকে বের করে কিছুটা সামাজিক আর অনেক বেশি রাজনৈতিক ও রাষ্ট্রীয় আবহে আট পর্বে দেখিয়েছেন।
বর্তমান সময়ে যদি নির্মাতাদের আপনি সাহসের ফিল্টারে একপাশ দিয়ে পাস করেন, ওপাশ দিয়ে আশফাক নিপুণ বাদে কয়জন বের হতে পারবে! নির্মাতা যদি সময়ের কথা না বলতে পারেন, তাকে কে মনে রাখবে! সিরিজ মানেই থ্রিলার, টুইস্ট আর ক্লিপ হ্যাঙ্গার না। রাইটার হিসাবে আমি একমত, থ্রিলার থেকে ড্রামা দাঁড় করানো কঠিনতর। সেই জায়গায় নিপুন প্রশংসনীয় কাজ করেছেন।
দূর্বলতা বলতে গল্পটা সম্পূর্ণ না, আবার এটা হাহুতাশেরও কিছু না। কারণ এখানে খুব জটিল কোন ধাঁধাই নাই। এই সিজনে যতটা দেখানো হইছে ভালো, কয়েকটা ক্যারেক্টার আরেকটু বিল্ড আপ করতে পারলে আরো ভাল হইতো। হইচইয়ের বিশ মিনিটের চক্করে পড়ে কিছু পর্বের হ্ঠাৎ শেষ হওয়াটা বাজে লাগছে! কয়েকটা সাবপ্লট খুব বোরিং ও অর্থহীন লেগেছে। ইমোশন বিল্ড আপ করার টুলসগুলো খুব কমন ছিল। স্ক্রিনপ্লের শেষদিকে তাড়াহুড়া করেছে বোঝা গেছে।
তবে এই সিরিজে আপনি দু একজন বাদে (ডিবি চরিত্রে ডা.এজাজ আর ফারুক) কারো পারফরমেন্স এ আঙ্গুল তুলতে পারবেন না।
মেহজাবীণ চৌধুরী, নাজিয়া হক অর্ষা, ইন্তেখাব দিনার দারুণ অভিনয় করেছেন। তবে অর্ষাকে বেশি এগিয়ে রাখব আমি, তার প্লেসমেন্ট আর স্ক্রিনটাইম বিবেচনায়। রুনা খান, হাসান মাসুদ, রোহান আপ টু দ্য মার্ক। ইয়াশ রোহানের ক্যারেক্টারে করার তেমন কিছু ছিলও না। চমক দেখিয়েছে সৈয়দ জামান শাওন।
সেকেন্ড সিজনে শাওন, মনির খান শিমুল আর মেহজাবিনের ক্যারেক্টারে অনেক ওপেন এঙ্গেল থাকলো!
রেটিং- ৭/১০