Select Page

শাকিবের প্ররোচনায় নকল গল্পে নির্মিত হয় ‘ক্যাপ্টেন খান’!

শাকিবের প্ররোচনায় নকল গল্পে নির্মিত হয় ‘ক্যাপ্টেন খান’!

শাকিব খান ও শাপলা মিডিয়ার কর্ণধার সেলিম খানকে নিয়ে চলচ্চিত্রাঙ্গনে জোর কানাঘুষা চলছে – তাদের মধ্যে পেশাগত ও ব্যাক্তিগত সম্পর্ক আর আগের পর্যায়ে নেই। শোনা যাচ্ছে, তাদের সম্পর্ক এখন অনেকটাই শীতল। এর পেছনে অন্যতম কারণ হিসেবে উঠে এসেছে শাকিবের প্ররোচনায় নকল গল্পে ‘ক্যাপ্টেন খান’ নির্মাণ ও ব্যবসায়িক ব্যর্থতা।

এ বিষয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে চলচ্চিত্র বিষয়ক সাময়িকী ছায়াছন্দ সেখানে বলা হয়, শীতল সম্পর্ক তৈরি হওয়ার নেপথ্যে কাজ করছে গেলো কোরবানী ঈদে মুক্তি পাওয়া সেলিম খান প্রযোজিত ও শাকিব খান অভিনীত “ক্যাপ্টেন খান” ছবিটির ব্যবসায়িক ব্যর্থতা। শোনা যাচ্ছে, ছবিটির নির্মাণ ব্যয় নাকি প্রায় চার কোটি টাকা। কিন্তু ঈদে মুক্তি পাওয়ার পরও ছবিটির পেছনে লগ্নিকৃত এই বিশাল পরিমাণ অর্থ ফেরত পাননি প্রযোজক সেলিম খান।

চলচ্চিত্রাঙ্গনে জোর গুঞ্জন রয়েছে শাকিব খানের পরামর্শেই নাকি সেলিম খান এই ছবিতে এত টাকা খরচ করেছিলেন। তাছাড়া শুরুতে “ক্যাপ্টেন খান” নামেই মৌলিক একটি গল্প নিয়ে ছবিটি পরিচালনা করার কথা পরিচালক উত্তম আকাশের। উল্লেখ্য, উত্তম আকাশের হাত ধরেই “আমি নেতা হবো” ছবিটি প্রযোজনার মাধ্যমে সেলিম খান ও শাপলা মিডিয়ার আবির্ভাব ঢাকার চলচ্চিত্রে। একই পরিচালককে দিয়ে এরপর সেলিম খান নির্মাণ করান “চিটাগাংইয়া পোয়া ও নোয়াখাইল্লা মাইয়া” ছবিটি। উত্তম আকাশ পরিচালিত দুটি ছবির মাধ্যমেই লগ্নিকৃত অর্থ ফেরত আসে।

উল্লিখিত দুটি ছবির সাফল্যে রাতারাতি আলোচনায় চলে আসে শাপলা মিডিয়া এবং সেলিম খান নাম দুটি। দুটি ছবিতেই নায়ক ছিলেন শাকিব খান। সংগত কারণেই সেলিম খানের সঙ্গে সখ্য গড়ে উঠে শাকিব খানের। এদিকে উত্তম আকাশ “ক্যাপ্টেন খান” নামের একটি ছবির নামের ছাড়পত্র নেন পরিচালক সমিতি থেকে। ছবিটি প্রযোজনা করার কথা ছিল সেলিম খানের। কথা ছিলো মৌলিক গল্প নিয়ে ছবিটি নির্মাণ করা হবে। কিন্তু শাকিবের পরামর্শে তামিল ছবি আনজান এর নকল করে “ক্যাপ্টেন খান” নির্মাণে উদ্যোগী হন সেলিম খান। কিন্তু নকল ছবি বানাতে অস্বীকৃতি জানান উত্তম আকাশ। শেষে শাকিবের পছন্দেই এই ছবির পরিচালক নেওয়া হয় ওয়াজেদ আলী সুমনকে।

সেলিম খানের ঘনিষ্ঠ একজন প্রযোজক জানিয়েছেন, শুধুমাত্র শাকিবের পরামর্শেই সেলিম খান “ক্যাপ্টেন খান” ছবির থাইল্যান্ডে আউটডোর শুটিং এ মাত্র ১২ দিনে খরচ করেন ৭০ লাখ টাকা। ইন্ডিয়ার ক্যামেরাম্যান, ফাইট ডিরেক্টর, কোরিওগ্রাফারের পেছনেও খরচ হয় মোটা অংকের অর্থ। সব মিলিয়ে ছবিটির নির্মাণ ব্যয় দাঁড়ায় প্রায় চার কোটি টাকা। কিন্তু জানা যায়, “ক্যাপ্টেন খান” ছবি থেকে এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ আড়াই কোটি টাকার মতো ফেরত পেয়েছেন সেলিম খান। বিশাল অংকের টাকা লোকসান গোনার কারণে সেলিম খান তার প্রোডাকশনের নির্মাণ চলতি এবং নির্মাণ শুরু হতে যাওয়া ছবিগুলো নিয়ে হতাশ হয়ে পড়েছেন।

আর তাই তো ঈদের আগে থাইল্যান্ডে “শাহেনশাহ” ছবির গানের শুটিং করেও এখন পর্যন্ত এই ছবির আউটডোর শুটিং শুরু করার সাহস পাচ্ছেন না। কারণ শাকিবকে নিয়েও ছবির লগ্নিকৃত অর্থ ফেরত না পাওয়ায় সেলিম খান নতুন করে ছবি নির্মাণে আগ্রহ হারিয়ে ফেলেছেন।

জানা গেছে, অর্থ লোকসানের হতাশার কারণেই “শাহেনশাহ” ছবির শুটিং শিডিউল চার বার পরিবর্তন করেছেন। শুধু তাই নয় রাজনীতিতে ব্যস্ত থাকার কারণে এখনও বলতে পারছেন না কবে নাগাদ ছবিটির শুটিং শুরু করবেন। তবে তার নির্মাণ আটকে থাকা আরেক ছবি “একটি প্রেম দরকার মাননীয় সরকার” এর শুটিং আজ ২৫ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হওয়ার কথা বলে জানা গেছে।

সেলিম খান চার বার শুটিং শিডিউল বাতিল করায় শাকিব নিজেও তাই উদগ্রীব হয়ে পড়েছেন। কারণ এই মুহূর্তে সেলিম খান তার শাপলা মিডিয়ার কার্যক্রম স্থগিত রাখলে শাকিব খান সাময়িকভাবে বেকায়দায় পড়বেন। আর তাই বিষয়টি বুঝতে পেরেই শাকিব খান গেলো ২১ সেপ্টেম্বর নিজ উদ্যোগে দেখা করেছেন সেলিম খানের সঙ্গে। কিন্তু তাতেও “শাহেনশাহ” ছবির শুটিং শুরু হওয়ার সিদ্ধান্ত স্থির হয়নি। কিন্তু সেলিম খান “একটি প্রেম দরকার মাননীয় সরকার” ছবির নির্মাণ শুরু করার আশ্বাস দিয়েছেন। তবে “শাহেনশাহ” নিয়ে শাকিব এখনও হতাশ।


Leave a reply