Select Page

শাকিব-অপু বিবাহ বিচ্ছেদ ও কিছু প্রশ্ন

শাকিব-অপু বিবাহ বিচ্ছেদ ও কিছু প্রশ্ন

শাকিব খান-অপু বিশ্বাসের বিবাহ বিচ্ছেদ হয়ে গেল সোমবার। অবশ্য এ নিয়ে কথা উঠেছে— তৃতীয় সালিশের দিন নাকি বিচ্ছেদের নোটিশ পাঠানোর ৯০ দিনে বিচ্ছেদ কার্যকর হয়েছে? পাশাপাশি কিছু প্রশ্ন তুলেছেন অপু ও অন্যরা।

গত বছরের ২২ নভেম্বর অপুকে বিবাহবিচ্ছেদের চিঠি পাঠান শাকিব। এরপর ঢাকা সিটি করপোরেশনের (অঞ্চল-৩) প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা হেমায়েত হোসেন সালিশি বৈঠকের জন্য দুইবার ডাকেন। এতেও কোনো সুরাহা হয়নি। পূর্ব নির্ধারিত তারিখ অনুযায়ী ডিভোর্সের তৃতীয় ও শেষ শুনানি ছিল সোমবার (১২ মার্চ)। কিন্তু এতে শাকিব খান কিংবা অপু বিশ্বাস কেউ-ই উপস্থিত হননি। দুই পক্ষের প্রতিনিধি হিসেবেও কেউ ছিলেন না। তাই আইন অনুযায়ী শাকিবের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ডিভোর্স চূড়ান্ত হয়েছে ঢাকাই চলচ্চিত্রের জনপ্রিয় এই দুই তারকার। এখন থেকে আর স্বামী-স্ত্রী নন শাকিব-অপু।

এদিকে হেমায়েত হোসেনের বক্তব্যের বিরোধিতা করে একজন আইনজীবী সংবাদমাধ্যমকে জানান, অপুকে পাঠানো তালাকের নোটিশে দেখা যায়, সেখানে তালাকের তারিখ ‘২২ নভেম্বর ২০১৭’ উল্লেখ করা হয়েছে। তা ছাড়া গণমাধ্যমেও শাকিবের আইনজীবী বলেছেন, শাকিবের পক্ষে ‘২২ নভেম্বর ২০১৭’ তারিখে তিনি অপুকে ও ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনকে তালাকের লিখিত নোটিশ প্রেরণ করেন।

আইনের বিধান মোতাবেক, ৯০ দিন সময় গণনা ওই ২২ নভেম্বর থেকেই শুরু হয়েছে। যেহেতু তালাকটি সমঝোতা বা অন্যভাবে প্রত্যাহার হয়নি, সে হিসাবে ‘২০১৮ সালের ২০ ফেব্রুয়ারি’ ৯০ দিন (নভেম্বর ’১৭-এর ৮ দিন + ডিসেম্বর ’১৭-এর ৩১ দিন + জানুয়ারি ’১৮-এর ৩১ দিন + ফেব্রুয়ারি ’১৮-এর ২০ দিন = ৯০ দিন) পূরণ হয়েছে এবং ২০১৮ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি শাকিব-অপুর তালাক কার্যকর হয়েছে।

তবে শাকিব-অপুর তালাক নিয়ে সংশয় এখনো রয়ে গেছে বলে দাবি হেমায়েত হোসেনের। তিনি বলেন, ‘অপু বিশ্বাস দাবি করেছেন শাকিবের আবেদনে যে স্বাক্ষর রয়েছে তা শাকিব খানের নয়। স্বাক্ষরটি শাকিবের কী না সেই ব্যাপারে আমরাও নিশ্চিত হতে পারিনি। শাকিব ও তার উকিলকে বেশ কয়েকবার তলব করেও এই ব্যাপারে কোনো সদুত্তর মিলেনি। তাই অপু যদি চ্যালেঞ্জ করেন এবং স্বাক্ষরটি শাকিবের নয় বলে প্রমাণ হয় তবে ডিভোর্স আবেদন বাতিল হয়ে যাবে। তা ছাড়া একটি ডিভোর্স কার্যকর করার জন্য যেসব তথ্য ও প্রমাণ দরকার তার অনেক কিছুই শাকিব খান প্রদান করেননি। এটা নিতান্তই নির্ভর করছে অপু বিশ্বাসের উপর। কারণ তিনি সংসার টিকিয়ে রাখতে চ্যালেঞ্জ বা মামলা করতেও পারেন কিংবা নাও করতে পারেন। আর যদি মেনে নেন তবে ডিভোর্স কার্যকর হয়ে গেছে।’

এ বিষয়ে অপু বলেন, ‘বিয়ে আর ডিভোর্স কীভাবে হলো দুইটাই আমার কাছে অজানা। কারণ বিয়ের কোনো কাগজ আমার কাছে নেই। এমনকি এগুলো শাকিব খান কোথাও দেখাননি। তা ছাড়া শাকিবের আবেদনে যে সাক্ষরটা দেয়া হয়েছে তা শাকিবের না। তাই দুটো বিষয় আমার কাছে ধোঁয়াশা তৈরি করেছে। এই বিষয়টি নিয়ে আমি আর কথা বলতে চাচ্ছি  না।’

শাকিব খান ও অপু বিশ্বাস ২০০৮ সালের ১৮ এপ্রিল বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন। দীর্ঘ আট বছর গোপনে সংসার করার পর অপুর কোলজুড়ে আসে পুত্র আব্রাহাম খান জয়। প্রায় বছরখানেক আগে অপু বিশ্বাস সংবাদমাধ্যমে তাদের বিয়ের খবর জানান। এরপর থেকেই শাকিব-অপুর সম্পর্কটা ভালো যাচ্ছিল না।

সূত্র : প্রথম আলো ও রাইজিং বিডি


মন্তব্য করুন